জীবন দিয়ে কেনা হল
স্বাধীনতার হাসি,
কাঁটা তারের বেড়ায় হল
ফেলানিদের ফাঁসি।

সুস্মিতা !
আজও বসন্তের হাওয়ায় খুঁজি তোমায়
ভাবি সর্বদা সে স্মৃতির রঙিন মুহূর্ত সব
হতাশা আর ক্লান্তির জড়াজীর্ণতায়
শুনতে পাই পাখিদের কলরব !

তুমি মোর হৃদয়পানে এ কেমন সুর ধরালে,
আমি বুজি অন্ধ হয়ে যাবো ওরে মরে।
আশার ভেলায় চরিলে হেলায়,

ভালবাসা টুটে যায়-অযাচিত চাওয়া পাওয়া
অশুদ্ধতার রাস্তায়-না হোক মোর কভু যাওয়া
মন চেয়েছি তোমার-নিতে চাও অধরে অধর
এতে বুঝে বাড়ে শুনি প্রেম ভালবাসার কদর?

হে মহামানব সভ্যতার মানুষ, আমি ধরণীর বুকে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি, কোন ধার্মিক হয়ে নয়।
আমি বেহেস্ত, স্বর্গ চাই না, আমি চাই ধরণীর বুকে মানুষকে ভালবাসতে, ভালবাসার গান বলতে।
আমি দেখেছি কত অসাহায় প্রেম ঝড়ে গেছে

পলাশ লালের এক বিকেলে-
ফাগুন নিয়ে এলে
মনের দুয়ার পথ বিছালো
নরম আদর ঢেলে।

নিজেকে রক্তাক্ত করে কি যে সুখ! কি যে সুখ প্রতিনিয়ত মৃত্যু বরণে!
মৃত্যু ক্ষুধা নিয়ে নব জন্ম লাভের!
সবাই ছেরে কথা কয়, ছাড়ে না কেবল আধার আমায়।

মানুষের চোখের সামনে আজ
ধুকছে মানবতা,
চোখ থাকতেও দেখছেনা কেউ
যুদ্ধ বিগ্রহ হানাহানিতে
যাচ্ছে শত শত প্রাণ।

তোমাদের অন্ধত্ব
আমার খোলাচোখ বন্ধ করতে পারবে না ।
নির্বাক মিছিলে আর নয় ।
মূক বধিরদের পায়ে পা মিলিয়ে
কি লাভ ?

অজ্ঞানতায় অন্ধ চতুর্দিকে ঘোরে
ক্ষমতার লোভে যষ্টি ঘোরায় প্রহসনে মাতে
শাসনে মগ্ন আনন্দে আত্মহারা।