এক সময় সবই ছিল ভালো
খুঁজে নিতাম সবকিছুতে ছন্দ।
আর এখন সর্বত্র দিবার আলো
আমি বন্দি আঁধারে চারপাশ অন্ধ।

আঁধার রাতে হেঁটে যেতে
আমি দেখলাম মৃত এক পাখি প্রায়;
কারো যান্ত্রিক আনন্দের শিকার;
কিংবা পরখ করা নিশানা;

মানব,
তুমি বলেছিলে ভালোবাসা মানে
প্রেম আর বিশ্বাসে মোড়ানো বন্ধুত্ব..
আমার মনে হয় ভালবাসা হলো
অদৃশ্য আলোর মাঝে দৃশ্যমান অন্ধত্ব!

দু্:খ ভূলানোর মহাঔষধ,
বাবার মত নাই।
সৃতীভরা আকাশ সমান,
বাবার মত কই!

ঝিরিঝিরি রোদেলা হাওয়া চুমে যায় ঘুমন্ত কিশোরী চোখ
আঁখি ভোর দেখে-দোপাট্টা হাওয়ায় ভাসে-ভাসে আলোকিত ভোর-
স্বর্ণালী শিশির জলে-জ্বলে ঘাসফুল নোলক জ্বলে সহস্র অযুত
কি অপরূপ জিউসের স্বর্ণবৃষ্টি-ড্যানিকে পাবার আশায়-স্নিগ্ধ সকাল!
‘সুপ্রভাত’ ধরণী তোমায়।

ভালো আছো দেব দা?
এখনও কি লাশের গন্ধ পাও,
নাকি ঝলসানো চোখের মত
সব চেতনা লোপ পেয়েছে?

চন্দ্র সূর্য ঠিকই পিদিম আছে
কেবল নেত্রে দেখার দৃষ্টি নাই,
আলো চায়, আলো চায়
কোথা গেলে আলো পায়-
এ দুর্দশারী বা শেষ কোথায় ?

সত্যের ফুল যে ফুটেছে চিরদিন,
আজও ফোটে তাই সত্যফুল রাত-দিন,
তবুও দেখলে না সেই ফুল শুধু তুমি!
সত্যফুল ফোটে চিরকাল-নিশিদিন।

জীবন দিয়ে কেনা হল
স্বাধীনতার হাসি,
কাঁটা তারের বেড়ায় হল
ফেলানিদের ফাঁসি।

চারিপাশে চেয়ে দেখি কত জ্ঞানী-গুণী,
আঁখি বুজে তাহাদের সব কথা শুনি,
প্রার্থনা করি তারা, যত দেয় চাপ,
সবিতে, যেন আমি খেয়ে যাই খাপ ।