ও নদী জবাব দাও
জলের তৃষ্ণা কতোটা গভীর হলে
গাঙচীল নীড় খুঁজিয়া বেড়ায়
নদীমাতৃক বাংলায়?

স্বাধীনতা - বড্ড ঋণী করে গেলে
শোধ দেব কোন সিন্ধুক হতে !
জন্ম থেকে জন্মান্তরে শেষ হবার নয়
আজ আবার দাড়িয়ে সদর রাস্তায়

একটি দিবস ভালোবাসার
একটি দিবস মায়ের
একটি দিবস ভাষার জন্য
জিবন দেয়া ভায়ের।

তোম‌ায় ভা‌লোবাস‌তে গি‌য়ে বেশ হ‌য়ে‌ছে ঋণ
ঋণের বোঝা মাথায় নি‌য়েই হ‌য়ে‌ছি প্রেমহীন।
ভা‌লোবাসার অর্থ খুঁ‌জেই বাড়লো ম‌নের জ্বালা
‌প্রে‌মের খা‌দে ক্ষত হ‌লো সৃ‌ষ্টি ক‌রে নালা।

বিন্দু।
ক্রমশ জুড়তে জুড়তে
একদিন,একমাস কিংবা বছর ভর পর
সরলরেখা হবে যেদিন,
কিস্তিনামায় থাকবে হিসাব লেখা,
তারপর ফের পরের জোড়ার পালা।

আজি মনের ভেতের বাজিতেছে বিষের বাঁশি,
কারণ,
মোর জীবন হয়ে উঠেছে দুঃখময়,
কল্পনা আর বাস্তবতা,

কালো মেঘের জল দিয়ে
তোমার ফুল ভেজাব না
নিছিদ্র মায়ায়।
প্রেম বাসনার পত্র নিয়ে
নাড়ব না কড়া তোমার
রঙ্গীন দরজায়।

আরে ভাই গনী মিয়া,এত্ত বড় বোঝা নিয়া,
কোথায় চললে মশায়?
শোনো ভাই কাঠুরিয়া,কাইটোনা আর করাত দিয়া,
পরাণ বুঝি যায়!

যাদের ত্যাগে পেলাম যে বাংলা ভাষা,
যে ভাষায় বলি মোরা নিজ মাতৃভাষা।
যে ভাষায় বলে কথা এদেশের চাষা,
যে ভাষা ওদের প্রিয় সব চেয়ে খাসা।

ভাবতেই ভয়ে কেঁপে ওঠে বুক
বন্দি আমরা কারাগারে
শোষকের অত্যাচারে কাটে দিন কাটে রাত
কোথাও নেই একটুকু স্বাধীনতার সুখ ।