কবিরাজ কহিল, ওহে দুলাল,
তোর ছেলের হয়েছে ভয়ানক ব্যাধি।
শেষ আমার সব অভিজ্ঞতার ঝুলি।
বাঁচিবার আশা এখন বড়ই দুরাশা
এ যে এক ভয়ানক প্রানঘাতি কলেরা!
বারে বারে করিছে ভেদ বমি
আমার কাছে আর নাই কোন চিকিৎসা বাকি।
যতদ্রুত পারিস, ওকে শহরে নিয়ে যা
ডাক্তার বিধান বাবুকে দেখা, টিকে আছে যৎকিঞ্চিত আশা।
মা আছাড় খেয়ে পড়িল, বাপকে বলিল,
যেভাবে পার আমার 'মানিক' কে ভাল করে আনো।
বাপ, আকাশ পানে চাহিল, উপায়ান্ত খুজিল
শেষমেষ বুঝিল, তার অন্ধের নড়িকে বাঁচাতে,
যক্ষের কড়ি পৈত্রিক ওই দশ কাঠা জমি।
ছিল যে টুকু্ জমি মোর বাপের ঘটে
সেটুকুও বন্ধক গেল মহাজনের কাছে।
মহাজন নিল টিপ সই, দিল দু'হাজার টাকা
বাপ বুঝিল না কি সর্বনাশ করিল তার, মহাজন ব্যাটা।
দু'মাস বাদে সুস্থ হয়ে, বাড়ি আসিলাম ফিরে
মায়ের মুখে উদ্ভাসের আভা, কোলেতে তুলে
আদর করিল আমায় চুম্বনে চুম্বনে।
সবার মুখে মুখে, এ ছেলে দীর্ঘায়ু হবে
এহেন কলেরায় কেউ কি বাঁচে?
মা খাটে দিনমজুরী, বাপ ফাইফরমায়েশে
দু'বছর ধরে, জোগাড় হইল টাকা কষ্ট-ক্লেশে।
বাপ দ্রুত পায়ে ছুটিল, মহাজনকে খুজিল
মহাজন, কাগজ বাহির করিয়া বলিল,
বন্ধকী ঋণের চুক্তি মোতাবেক দু'বছরে,
তুমি দিবে দশ হাজার টাকা,
না হলে তোমার জমি আমার হইয়া যাবে।
বাপের মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল
মহাজনের জোচ্চুরির সবটা বুঝিল।
জমিহারা শোকে, বাপকে ধরিল এক বিকট অসুখে
সইল না দেরি, চলে গেল অগস্ত পথে
মা টাকেও হারালাম, চলে গেল, বাপের দেখানো পথে।
আমি একা রইলাম পড়ে এই শূন্য পৃথিবীতে-
বাপ-মাকে চিরতরে বিসর্জন দিলাম মহাজনের ঋণে।
৩০ মার্চ - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪