চিঠি লেখার যুগ গিয়েছে বছর দশেক হল
টেক্সট ম্যাসেজে ভালোবাসা চলে মুঠোফোনে।
ইমেইল শেষে কত্ত কি যে নতুন অ্যাপস এল
ফেইসবুকে চ্যাটিং চলে তারুণ্যের প্রানে।

ভালবাসা যুগে যুগে নিজস্ব রূপে
পাড়ি দিয়েছে হৃদয়ের তেপান্তর
চলুন দেখে আসি আজ
কেমন ছিল ভালবাসার সেই যুগীয় রুপান্তর?

তখন সময়েরা থমকে যেত,কথামালার বাহুডোরে
নদীর স্রোত উঁকি দিত ক্ষণিক হেসে
নিঃস্বার্থ স্বপ্নরা বিলীন হত
ভালবাসার কাব্যিক ইথারে।

ছেলেঃ তোমায় আমি অনেক ভালোবাসি
মেয়েঃ সব ছেলেরাই অমন কথা বলে
নতুন কিছু বল।
ছেলেঃ মিথ্যেতো নয়
প্রমান দিতে পারি,
মেয়েঃ দাওতো প্রমান
ফেল্টূ হলে মারবো মাথায় বাড়ি।

একদিন হঠাৎ করে, তুমি বললে
"কোন একদিন আপনার সাথে সেল্ফি তুলব" কথাটি বলার পর থেকে -
অপেক্ষাজনিত স্নায়ু যুদ্ধে আমার প্রহর কাটছে।
সদাইপাতি আগেই করে নিয়েছি, নিয়েছি ঘরের কাজ গুলো গুছিয়ে।

ভালবাসার মুঠোফোনে ডুয়েল সিম
আবেগ আর বিশ্বাস।
ভরপুর নেটওয়ার্কে প্রেরনার স্রোতে
অবিরাম ভেসে আসে
সৃষ্টির উদ্দ্যম আর মিলনের আশ্বাস ।

সময়ের কাছে সমর্পিত জীবন...
ব্যস্ততার হিজিবিজি মোড়কে ঘেরা অমূল্য ক্ষণ;
ফুরসতমেলে নাদুদণ্ড পাশে বসার,
সময়ের হাতে হাতকড়ি পরিয়ে খুলে বসা হয়না হৃদয়ের ঝাঁপি।

সারাক্ষণ তৃষ্ণার্ত দৃষ্টি নিয়ে চোখ গুলো তাকিয়ে থাকে ঐ দিকে
মুঠো ফোনের পর্দায় ভেসে থাকা অর্কিড পুস্প-পুটযেন তোমার অধর যুগল।
বাঁকা চাহনিতে চেয়ে থাকা-

দীর্ঘ প্রতীক্ষা মনে বিশ্বাস আশা যত,
ইতিহাস আজ সব ডিজিটাল কালে।
প্রেম যে এযুগে শরৎ মেঘের মত,
নানান রঙ্গেতে সাজে দ্রুত তালে।

কি-বোর্ডে করি টাইপ তোমায় ভালবাসি
দেখা শোনা কিছু নেই অজানা অচেনা মনেমনে হাসি
কত কি যে লেখা হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা
নাওয়া খাওয়া ভুলে সব উচাটন মনটা