ধরণীর বুকে দ্বিধান্বিত আমি হে আমার প্রভু
নরকের দেখা পাই শুধু স্বর্গের দেখা নাই কভু।

আমি ফুরিয়ে গেলেও
ফুরায় না আমার কথা,
যে বাঁধা এসেছে এই ঘরে
তার খবর রাখনি;

কিছু বিতর্কের জন্য
কিছু দাহ্য অপেক্ষা করে
আমি অবাক হয়ে পাহাড় গুনি
সমতলের অজানা রহস্য

তৃঞ্চার্ত মমতার মত দৃষ্টি তবু তার,
মরিচিকার ছিলনা সেখানে সম্ভার।
চোখ দুটি কবেকার চন্দ্রের মত অবিরত,
ধুলায় ধরিছে তবু যত্র তত্র।

দ্বন্দ্ব আমার স্বপ্ন দেখার, ভালো আর মন্দ
সত্যকে জানার আপ্রাণ চেষ্টায়
দ্বন্দ্বটা সত্যকে উপলব্ধি করার।

কোনো সংশয় নেই ভালোবাসা অথবা ঘৃণা
আমি কোনো রূপকথার গল্প বলছি না অমৃতের সন্তান;
এতোদিন পর ঘোড়ার ডিম পেয়েছি,
মাঙ্গলিক তপস্যা সত্ত্বেও কোমায় গেছে আমার
স্বপ্ন পুরাণ, মায়া মুকুর, স্মৃতি-বিস্মৃতি, যুগান্তরের
ঘূর্ণিপাক; বলতে পারো কেউ ঈশ্বরের পৃথিবী
এতো ছোট কেনো--------------?

রোগ ও রোগী পড়ছিল না ধরা,
ভাগ্যিস ইতিমধ্যে আমি চোখের ডাক্তার
তুমিও দেখাতে এলে চোখ!
আবহাওয়ার পূর্বাভাস-জট কাটছে #
সংকোচের নিন্মচাপ সরিয়ে উড়ে যাচ্ছে দ্বিধার মেঘ।

ক্লাসের বইগুলো বুকের জমিনে জাপটে ধরে
কচি ঘাসের পথ চলা অবিশ্রান্ত এক স্বপ্নের খোঁজে
যে স্বপ্নের সোপানে দরুদ শরিফে শুরু হয়েছিল দিন
আলোকিত বিশ্বের খানিকটা পরশ মিলেছিল পণে।

কত বছর অপেক্ষায় আমি
তোমায় শুধু খুঁজেছি
জনম জনম ধরে প্রিয়া ওগো
তোমায় ভালো বেসেছি।

রাতটা নির্ঘুম-
বাহিরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির আন্দোলন বইছে।
জানালার কার্নিশে নেই কোনো পর্দার আঁচর।
অন্তরীক্ষ থেকে আঁছড়ে পরা আলোকঝটা
জানালার ভাঙা কাঁচ বেয়ে গৃহের অন্দরে
লুটাতেই আঁধারে মলীন হয়ে যাচ্ছে।
থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে ঘরের পুর্বদিকে
থাকা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিটা।