চলে গেলাম
যাওয়ার আগে কিছু দ্বিধা রেখে গেলাম
দখিনের জানালায় কিছু রোদ রেখে গেলাম
ঘরের কোনে কিছু শূণ্যতা রেখে গেলাম

কতকাল আকাশ দেখিনা!
দানাবাঁধা মেঘের ফাঁক গলে
উঁকি দেয়া এক টুকরো নীল আকাশ,
বক্ষপুরের ভাঙা কোণে সাধ জাগে
ছুঁয়ে দিতে সেই নীল।

কাঁপা হাতে তাকিয়ে দেখি গুমোট কালো শব্দগুলো জমাট অসহায়
নির্বাক ব্যক্ততার শেকল ওদের পায়ে
কম্পমান অভিব্যক্তি বলে দেয় অথর্ব ভালোবাসার থৈ

দ্বন্দ্ব আমার স্বপ্ন দেখার, ভালো আর মন্দ
সত্যকে জানার আপ্রাণ চেষ্টায়
দ্বন্দ্বটা সত্যকে উপলব্ধি করার।

স্বাধীনতা হলো রৌদ্রদীপ্ত প্রভাতী আলোর স্বচ্ছতা
বাহান্ন আর একাত্তুরের উর্জস্বিনী প্রাণ প্রমত্ততা।

স্বাধীনতা হলো বজ্রকন্ঠ, আকাশছোঁয়া সুবিশাল এক তর্জনী
অনুপ্রাণনার আরাধনার গণ-ঐক্যের বিস্ময়কর জয়ধ্বনি।

ওহে বাবু ! দুটো টাকা দিবেন ?!
খাইতে পারিনি কিছু সকাল থেকে এহেন সন্ধ্যায়
বাড়িতে বিবি আছে খিদেয় প্রাণ যায়।
ছেলেটা শ্কুলে পরে বই কিনে দিবো
একবেলা চালডালে মিলে মিশে খাবো।

উড়ো উড়ো দিন রাত্রি, শুকনো পাতার মত।
মনের পাখি থমকে কাঁদে, ছিল অনেক নৃত্যরত।
নিজের প্রতি বাড়ছে দ্বিধা, বয়েস অনেক হলো।
অমন মনে কে লোকালো, একটু আড়াল খোলো।

কোনো সংশয় নেই ভালোবাসা অথবা ঘৃণা
আমি কোনো রূপকথার গল্প বলছি না অমৃতের সন্তান;
এতোদিন পর ঘোড়ার ডিম পেয়েছি,
মাঙ্গলিক তপস্যা সত্ত্বেও কোমায় গেছে আমার
স্বপ্ন পুরাণ, মায়া মুকুর, স্মৃতি-বিস্মৃতি, যুগান্তরের
ঘূর্ণিপাক; বলতে পারো কেউ ঈশ্বরের পৃথিবী
এতো ছোট কেনো--------------?

ছলকে ওঠা আর্তনাদের তীব্রতা
নিয়তই বয়ে চলি- গায়ে, মাথায়, রক্তের
প্রতিটি বিন্দুতে। অমোঘ মধ্যটানে কেবলই
প্রোথিত হই দৈনন্দিন দ্বিধার জমিনে।

গোলাপ হাতে নিয়ে পা দুটো কাঁপছে
ঠিক কি বাক্য করে ব্যয় তুলে দেব তোমায়
প্রত্যাখ্যানের আছে ভয়, কম্পিত হৃদয়
যদি ওঠো চিৎকার করে অসভ্য কোথাকার!