সোনা কিংবা রূপোর কাঠি নয়;
ঘুমন্ত তোমার কপাল থেকে চুল সরিয়ে দিতে গিয়ে থেমে গিয়েছিলাম আমি।
হিমালয়সমান দ্বিধা এসে বরফ করে দিয়েছিল আমার হাতকে;
সেই হাত কপালে ছোঁয়ালে চমকে উঠতে তুমি।

ভাদ্রের আগমনেই পাচ্ছি তালপিঠার গন্ধ,
বাহ্ চারদিকে জমেছে বেশ নয়ত মন্ধ।
চোখে দেখলে ভাদ্রের ফল,

বলিনি কখনো?
আমি তো ভেবেছি বলা হয়ে গেছে কবে।
এভাবে নিথর এসে দাঁড়ানো তোমার সামনে
সেই এক বলা

প্রথম দিনের কথা, কী এক ঘোরলাগা দৃষ্টিতে
আমার চোখ বরাবর তাকিয়েছিলে-
আমি কি মৃদু কেঁপে উঠেছিলাম
হয়তো হ্যাঁ হয়তো বা না!

কখনো কিশোরী তুমি, কখনো ষোড়শী,
কখনো শিশু তুমি, কখনো মহীয়সী,
কখনো কখনো তুমি অচেনা প্রেয়সী।

এসো এসো সখী তুমি
আমার এ কুঞ্জমেলায়
গ্রহণ করিব তোমায়
সাজিয়ে বরণ ডালায়।

গোলাপ হাতে নিয়ে পা দুটো কাঁপছে
ঠিক কি বাক্য করে ব্যয় তুলে দেব তোমায়
প্রত্যাখ্যানের আছে ভয়, কম্পিত হৃদয়
যদি ওঠো চিৎকার করে অসভ্য কোথাকার!

আ-হা-হা, আমি একোন সভ্যতায় পা রেখেছি ?
জন্মের কোল ঘেষে বেয়ে চলেছে দ্বিধা আর অজস্র মৃত্যুর ধোঁয়া
বারবার ফিরে পেতে চাই এক নতুন অধ্যায়।

আ-হা-হা, বড়ই অনুতাপে জড়িয়ে রেখেছি নিজেকে
কাঁদলেও আর অশ্রু চোখে ভেড়ে না,