তোমায় চাইনি একটুও
কিন্তু বড্ড নাছোড়বান্ধা তুমি সেই যে পিছু নিলে আর ছাড়লে না !
ভাবছিলাম একেবারে চাকু ঢুকিয়ে দেই… যাবে সব ঠেলা চুকে,
না থাকবো আমি না থাকবে তোমার আনাগোণা—হলো না কিছুতেই!
মৃত্যু যে বড় বেশী ভয়ঙ্কর, বড় বেশী অচেনা ।

মনে হয়,
তোমার আমার ভাবনার মধ্যে পার্থক্য আছে,
যেমনটা নদীতে মাছ ভাসে আর পাখি গাছে ।

সরল ঐ পথটি ধরে,
চলছো তুমি, যাচ্ছ দূরে,
দেখছো না যে পিছন ফিরে,
বক্র পথে রয়েছে কারা পড়ে ।

রাণী চলল সুদূর এক প্রবাসে,
নতুন এক ছোট্ট অতিথির আগমনের আশায়
মিলিয়ে গেল তার অন্তর্জালা এক অস্থির দীর্ঘশ্বাসে।

মাগো, তুমি আমায় জন্ম দিয়েছ
তোমার বুকের দুধ পাণ করিয়েছ
অনেক কষ্ট করে আমায় তুমি-

কবিতা, আমায় দাও গো ছুটি এবার, আমৃত্যু!
কলম ধরলে, মহাকাপুনি আজকাল ভর করে আঙ্গুলের ডগায়
স্মৃতি জমে রাখা স্নায়ুগুলো হয়ে যায় গাঢ় বৃত্ত
ফাঁস লেগে যায় পারাপার সেতুর ধূসর সাদা পাতায়!

শুধু 'তুই' আসবি বলে,
একজন মমতাময়ী 'মা' প্রচন্ড কষ্ট, প্রচন্ড ব্যথা ভুলে,
এক চিলতে হাসি মুখে, সবকিছু সহ্য করে,
আর তুই বেড়ে উঠিস ধীরে ধীরে,

ভালোবাসি ভালোবাসিগো তোমায়
তাইতো যখন নামাজে যাই
দুহাত তুলে চক্ষু ভিজাই
তোমার কোমল হাতের পরশ

বয়স হয়েছে অনেক তাদের
তবুও তারা পথে,
দুমুঠো অন্যের সন্ধানে
বের হয়েছে কাজে।

আজ মাঝরাতে গভীরে
স্বপ্নের ভেতর খোকা খোকা বলে
মা আমাকে মমতা ভরা কন্ঠে ডাকলো।
তখন সাত আসমানের উপর থেকে
প্রশান্তময় জান্নাতের দরজাগুলো খুলে গেলো