তোমায় চাইনি একটুও কিন্তু বড্ড নাছোড়বান্ধা তুমি সেই যে পিছু নিলে আর ছাড়লে না ! ভাবছিলাম একেবারে চাকু ঢুকিয়ে দেই… যাবে সব ঠেলা চুকে, না থাকবো আমি না থাকবে তোমার আনাগোণা—হলো না কিছুতেই! মৃত্যু যে বড় বেশী ভয়ঙ্কর, বড় বেশী অচেনা । লোকে সম্ভ্রম, সমাজ, লাজলজ্জা আরও কত কীযে বলাবলি করে— বুঝি না কিছুই--হয়ত সবার জন্যে ওসব নয় । জীবনের চেয়ে বড় কী কিছু ? আশ্রয় না থাকলে, ঘর না থাকলে, আমি না থাকলে, সম্ভ্রমও কী থাকে ? এগারো হতেই তাকে চিনি--ওখানেই যে বড় হওয়া, খেয়ে বাঁচা নীতি শিক্ষা, আশ্রয় পাওয়া, কাছে যাওয়া… সব শিক্ষাই তারই দেয়া কাছে যেতেই কখন যে পেটে চলে এলে বুঝতে না বুঝতেই ঘরছাড়া হলাম আমি । ভাবছিলাম পেটকেটে বের করতে পারলেই আবার ঘর ফিরে পাবো, ভাত জুটবে, ফিরে আসবে সেও। একদম চাইনি তোমায়—নিজহাতে পেট চিরে ফেলতে ছুটেছি বার বার তোমার কারনে পথে পথে ঘুরতে হয়েছে দিনরাত পঞ্চদশী আমাকে--কোথায় যাই বলো ? তোমাকেই বা কোথায় রাখি ? ভালোতো বাসিনি একটুও তোমায়—কেনই বা এতো ঝামেলা বইবো নিঃস্ব আমি ? তুমি ভূমিষ্ট হতেই কী যে হলো—মাথাটি যেন পুরো একশ আশি ডিগ্রী ঘুরে গেল সেকেন্ডেই তুমি আমার হলে, রইলো দুণিয়া পরে— একেই বুঝি মাতৃত্ব বলে ? কিসের সমাজ ? কিসের দুণিয়া ? কিসের লোকলজ্জা আমার ? কাউকেতো ধোঁকা দেইনি—তাইতো তোমায় পেয়েছি । তোমার আগমনে একে একে সবই ছুটেছে আমার আর আমি জেনেছি সবচেয়ে মূল্যবাণ জিনিষটি এখনও হারাইনি আমি— সে শুধুই তুমি ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।