শেষ সম্বল রমিজ মিয়ার এক বিঘা মোটে জমি
সে তো জমি নয়, যেন সোনা ফলা প্রিয় মাটি,
অভিন্ন দাগের পৈত্রিক জমি খাজনাও পরিশোধ
সারা জীবনের সম্পদ তার, এতদিনও ছিল খাঁটি ।

বয়ে চলেছি অনামিকায়
খয়েরী থেকে কালচে হয়ে যাওয়া রক্তের ছোপ
নখের নীচ থেকে শ্বাপদের লোলুপ হাসি দেয়।
মনে করায় জ্বলে ওঠা ব্যররথতা-
তীব্রস্বরের গোঙ্গানি বেরিয়ে আসে অস্ফুট
অথচ অক্ষম আক্রোশে!

শ্মশানের কয়লাই তার একমাত্র সাক্ষী
এক পৃথিবীর কাছে ঘৃণিত আবর্জনা
আর এই পৃথিবীর চির অবসানের অবশেষ...

বোধের নির্মলতায় যে অপরাজিত; বোধের পরাজয় তার
কাছে নির্মম, অপ্রত্যাশিত, অসহ্য। জীবনের ভাঁজে ভাঁজে
বোধের নানা রং জীবনকে করে বিচিত্র, বিকশিত, সংকোচিত
উদাসীন, উদভ্রান্ত, উদ্বেলিত আর উচ্ছ্বসিত।

ঐ আকাশটা নীল চেয়ে দেখো,
ঐ সাগরের সাথে আছে কতো মিল।
কেনো জানো?
ভালোবাসার জন্য।
চেয়ে দেখো,
ফুটেছে কত রং বেরংয়ের পুষ্প
ঐ পুষ্প কাননে,

অস্তির আমি সেই তোর প্রেমে
বুঝিনি আমার জীবন যাবে থেমে
তুই কি শান্তিতে তাকিয়ে থাকিস
তোর চোখে ই আমায় মারিস ।

আশার ডাকে বাসা-বাঁধতে ছেয়েছি যখন,
তপ্ত বালুতে বলীন হলো সুখের এই স্বপন।
অধিকর্ষে অন্ধ আমি-পুড়া এই মন,
লোকালয়ে তবুও হাসি এইতো জীবন।

কোন এক কথার বিষাক্ততায়,
নির্মল এই মনের,
এই কোন প্রতিক্রিয়া?
এই কোন অস্থিরতা?

জীবন দেখিয়েছে নিজেকে
হাজারো রকম উঠানামা,
চিন্তায় চিন্তায় হয়েছে দিন গুজার
বেড়েছে সব অস্থির কার্যসীমা।

হঠাৎ থরথর করে কেঁপে উঠলো শরীরটা
উদাসীন চোখে ধরা দিল অপ্সরীর হাসি,
এক রখম অস্থিরতা কাজ করছে
ভাবছি আমি কি তার প্রেমে পরে গেলাম
না তা কিভাবে হয়