নানা আমার মস্ত বড়ো থাকেন অজোপাড়ায়,
মিস্রি কাজ করে নানা সুখের সংসার চালায়।
বাড়ি করেন ইয়া বড়ো দেখতে লাগে বেশ,
নানার আছে তিন মেয়ে দারুন তাদের কেশ।

মনে পরে সেই কথাটি , ছিলাম যখন ছোট্ট অতি।
মা বলিল ওরে খোকা, কোথা গেলি ওরে বোকা।
বাবা এসে দাড়ায় পাশে, দু’জন মিলে কত হাসে !

একদা প্রকৃতির বিরুপ আচরণে-এ ধরা
পড়লো মুসিবতে, যার নাম খরা।

টুঙ্গিপাড়ার মুজিব, নিজেদের গোলার ধান দিয়ে যায়,
মুজিব পিতা কেবলি চায়?

ওগো শিশুর সান্নিধ্যবাসী পিতামাতা ;
তোমরাই তাদের অবলম্বন,তোমরাই ভাগ্যদাতা।
তোমাদের অতল কষ্টে সমস্ত পরিশ্রম;

হাত ধরে হাঁটতে শেখাই-
হাঁটি-হাঁটি, পা-পা ।
নিজ সন্তান সুখে থাকুক
এই কামনা সর্বদা ।।

জীবন রেখেছ বাজি, বিপণ্ণ সময়ে-
দেশ মাতৃকায়; জেগে আপনার টানে
শত দুঃখ লভিয়াছ, ওই মহাপ্রাণে
হাসি মুখে; রাজি আছ দেশমাতা জয়ে!

ধরে শক্ত হাতে পৃথিবীতে তুমি রেখেছো আপন করে
বিপদে আপদে রক্ষা করেছো বুকে জড়িয়ে ধরে।
আছো পাশে ছায়ার মতন সার জীবন ভর
তিলে তিলে গড়লে মোদের শান্তির এ ঘর।