মনে পরে সেই কথাটি , ছিলাম যখন ছোট্ট অতি।
মা বলিল ওরে খোকা, কোথা গেলি ওরে বোকা।
বাবা এসে দাড়ায় পাশে, দু’জন মিলে কত হাসে !

নানা আমার মস্ত বড়ো থাকেন অজোপাড়ায়,
মিস্রি কাজ করে নানা সুখের সংসার চালায়।
বাড়ি করেন ইয়া বড়ো দেখতে লাগে বেশ,
নানার আছে তিন মেয়ে দারুন তাদের কেশ।

বাবা শব্দটি আসলে শব্দ হিসেবেই শিখেছি ছোটবেলা থেকে,
বাবা আমার গত হন, ৫ বছর বয়সে রেখে
পাইনি বাবার আদর, ¯স্নেহ-ভালোবাসা,মায়া, মমতা
বুঝিনি কখন বাবা-সন্তানকে বুকে নিয়ে

ধরে শক্ত হাতে পৃথিবীতে তুমি রেখেছো আপন করে
বিপদে আপদে রক্ষা করেছো বুকে জড়িয়ে ধরে।
আছো পাশে ছায়ার মতন সার জীবন ভর
তিলে তিলে গড়লে মোদের শান্তির এ ঘর।

আধারে ছায়ার ঘনঘটা
মানুষেরা সেথা আলো গড়ে
একটি কৃত্রিম সরল পথ
যা ধরে চিরায়ত চলাচল

মায়ের পরে শিশুরা যে বুলিটি শিখে,
বাবা আর বাবা তারা মুখে-মুখে বলে।
পায়ে ফেলে মাথার ঘাম, আনে যিনি অন্ন,
এতো কষ্ট করে নাতো কভূ তিনি ভিন্ন।

প্রিয় বাবা,
কেমন আছ? এই দীর্ঘ জীবনে কখনও তোমাকে চিঠি লেখা হয়নি। কারণ তোমার উপস্থিতি ও ছায়া এতটাই স্বাভাবিক ছিল যে আজ পর্যন্ত অনুপস্থিতিটুকু মেনে নিতে পারিনা।

হাত ধরে হাঁটতে শেখাই-
হাঁটি-হাঁটি, পা-পা ।
নিজ সন্তান সুখে থাকুক
এই কামনা সর্বদা ।।

খুড়িয়ে চলা জীবন নদীর বাঁকে,
স্বল্প আঁধা্র, রৌদ্র খাবার গিলতে যখন থাকে,
হতাশ মোড়া দীর্ঘ শ্বাসের বুকে,