ঠিক সকাল সাড়ে দশটায় কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যাবে, মাকে বাসে তুলে দেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করছি। এই প্রথম বারের মত মা ঢাকায় এসেছে এবং তাকে একা-ই ফিরে যেতে হচ্ছে তাই বার বার ফোন করার কথা বলছিলাম।

কখনও ভাবতে পারিনি,
পারিনি কল্পনাতেও আনতে-
মা থাকবেন পরপারে, আমি ধরাতে।
মাঝে মাঝে অন্যের মাকে না ফেরার দেশে যেতে দেখেছি,
তখন ভেবেছি, ’বিধাতা, পরিবারের সবাই যেন একসাথে মরি!’

আজকের সকালটাও কাল রতের মতো কেমন যেন তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ঐ তো একটু আগে আব্বু ফজরের জন্য ডাকলেন। অন্ধকার থাকতেই অযু করে মসজিদে নামায পড়তে গেলাম। নামায পড়ে এলাম এই অল্প কিছুক্ষণ আগে।

গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে গরুটাকে পেটায় সেকান্দার। স্বযত্নে বানানো মোটা বেতের লাঠি থেতলে গেছে তারপরও থামেনা। এই যুগেও কলের লাঙ্গল চালানোর সামর্থ তার নেই। সম্বল শুধু দু’টো গরু তাও একটি আধমরা।

ব্যাগটা পড়ে ছিল ব্রিজের ঠিক গোড়াটায়, একটু আড়ালে। অন্ধকার। তাই হয়ত কারুর খেয়ালে পড়েনি। নইলে এখুনিই লোপাট। দেখেই বোঝা যায়, একটা দামী হ্যাণ্ডব্যাগ।

রবিন আর তার বোন সাইমা যখন ছোট ছিল তখন তার বাবা মারা যান। মা অনেক কষ্ট করে দুই ভাই- বোনকে পড়ালেখা করাইছে। বোনটা বেশি পড়া- লেখা করতে পারলো না, কিন্তু ভাইটা উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে নিজের এলাকায় চাকরি না পেয়ে শহরে গেছিলো চাকরির খোঁজে।

মা গো-
ঐ দূর আকাশ কি
অনেক ভাল ?
ঐ মিটমিট তারা গুলো
কি আমার সাথে ঠাট্টা করে!

খুব ছোট থাকতে মায়ের ডানদিকে শুতাম আমি । ঐ সময় আমার বা পা খানি তার পেটের উপর উঠিয়ে ঘুমোতাম । ক্লাশ এইট অবধি মায়ের সাথে ঘুমিয়েছি । এরপর নির্বাসনের জীবন ।