বিজয়ের পরে

বিজয়ের গৌরব ছড়াবে সৌরভ, আলোকিত হবে দেহ মন

দিগ্নিদিগ নদী ছুঁটে যাবে তার থাকবেনা কোন বাধা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে এলো এ মুক্তি দিবস,
বাজছে বিজয় ঢোল,
কত তাজা প্রাণ হলো শহীদ,
শুন্য হলো কত মায়ের কোল।

বীরের জাতি বাঙালি “ হারতে কখনো শিখে নি ,
রক্ত দিয়ে জীবন দেয়া আছে বীরত্বের কাহিনী !
শোষণ আর নিপীড়ন হয়ে যায় সোচ্চার ,
মিছিল আর মিটিং ছেয়ে যায় পোষ্টার !

মার্চ থেকে ডিসেম্বর, একাত্তর।
সবুজ চত্বরে চত্বরে লাল রক্তের দাগ-
কোনটি দীর্ঘ ঘুমের, কোনটি তাজা!
সেসব রক্তবীজ জেগে ওঠে-

অস্র নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছিল
তারা সবাই,
কারোনা কারো আত্তীয় সজন।
কেউ কাঁদে আবার কেউ কাঁদেনা,
কিন্তু কেন ?

উঠেছে বিজয়ের সূর্য
বাজাও তুর্য,
আসছে রণবীর পতাকা হাতে,
শত্রুরা দেখিয়েছে তাহাদের শৌর্য।

যুদ্ধ
যুদ্ধ চলছে পূর্ব-বাংলায়,
জ্বলছে শহর-পল্লী
পিঁপড়ের মতো মরছে মানুষ
বুলেট আর কামানের গোলায়।

অস্ত্র হাতে বীর বাঙালি
দীর্ঘ ন'মাস যুদ্ধ করে
অবশেষে আসলো বিজয়
একাত্তরের ডিসেম্বরে।

বিজয় দেখে যাই পূর্বাশার আলোয় সোঁদা মাটির গন্ধে
বিজয় নাচে ইতিহাসের পাতায় পাতায় ছন্দে ছন্দে
বিজয় দেখে যাই শহরে অট্টালিকায়, পার্কে অথবা রাজপথে
লাউয়ের মাঁচায়, ঝিঙ্গে গাছের হলুদ ফুলের আলোতে।

নয় পরাধীন, হব স্বাধীন,
নয় শোষনের বাক;
ছাত্র-সেনা-কৃষক এল,
হল বিপ্লবের ডাক।