সকাল হতে না হতেই জীবিকার তাগিদে ছোটাছুটি। অনেকে ছোটে রাতের বেলায়। কর্মস্থলে আজকাল মানুষ বেশি সময় থাকে ভবিষ্যৎ চিন্তা করে।

বলো কি ওরই তো এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। অথচ তার মেয়ে তুমি। আর তুমি নিজেও একজন মা, হায় কপাল আমার! দেখে মনে হচ্ছে উনিও বেশ অসুস্থ? তুমিও অসুস্থ। তোমাদের ওষুধ না নিলে তোমরা সুস্থ হবা কি ভাবে?

একদিন নীল অণিমাদের আম-তলায় বসে আম খাচ্ছিল তখন দেখে আবার এক বাদামী পোশাক পরা লোক সোনা চাচার মুখে চুন কালী মাখিয়ে, গলায় জুতোর মালা পরিয়ে সারা গ্রাম হাঁটাচ্ছে ।

জমিরুন ফোড়ন কাটে, ‘এই আগুন-গরম পানি খাইয়া আপ্নের পরান জুড়াইয়া গেল?’

সেই খালপাড়, শীতের সকাল, ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু, বরুণের ফুল আর মরা পাতা, খালের উপর ঝুকে পরা ডালে মাছের জন্য মাছরাঙার অপেক্ষা। আহা! কি মনোহর দৃশ্য। আহ! জীবন কত সুন্দর।

কামাল স্যার ভাবেন, একটা অভিধান কিনে নেই। একবার আধুনিক হয়ে যাই। ঘুমিয়ে পড়া স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার মনে হয়, থাক, কি হবে এসব শিখে। ওদের পৃথিবীতে না হয় বোবা, বধির, অন্ধ হয়েই থাকি।
বোবার নাকি কোন শত্রু নেই।

তারপর শুরু হবে ভালোবাসার যন্ত্রণা। তাকে আপনি শুরুতে সব অধিকার দিতে চাইবেন না, তবু মানুষটা আপনাকে ভালোবেসে এত বিভোর করে রাখবে যে আপনাআপনি সমস্ত অধিকার সে নিয়েই নেবে।

আমানুল্লার মুখে অবিশ্বাসের হাসি ফুটে ওঠে, আস্ফুটভাবে শুধু বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশ!”

‘ওরে বাবা…তা তোমার ওই অবাঙালী বস আংকেলের হঠাৎ এই বঙ্গ চেতনা জাগলো কেন মানে তিনি আমাদের দরিদ্র বাংলাকে নিয়ে পড়লেন কেন আর যেতেই বা বলছেন কেন তোমাকে?’