শেকড়ের টান

বাংলা - আমার চেতনা (ফেব্রুয়ারী ২০২২)

Jamal Uddin Ahmed
  • 0
  • 0
  • ২৫
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ফুরকান তৃপ্তির ছিপি খোলে, ‘আ-হা, পরানডা জুড়াইয়া গেল, বউ।’

জমিরুন ফোড়ন কাটে, ‘এই আগুন-গরম পানি খাইয়া আপনের পরান জুড়াইয়া গেল?’

কুয়াশা-কাটা সকালের রোদে পিঠ দিয়ে জলচৌকিতে উঠানে বসে ফুরকান গত রাতের কথা ভাবছিল। ভোর রাতে পালা গানের আসর থেকে ফিরে এসে দুই তিন ঘণ্টা ঘুমিয়েছে; কিন্তু তাতে পোষায়নি। তাই মাথাটাও ঝিম ঝিম করছিল। বউয়ের করে দেয়া এক কাপ আদা-চা এখন অমৃতের মতো কাজ করছে। বউয়ের কথার জবাবে সে বলে, ‘তোমরা মুরুক্ষু মানুষ, সব কথা বুঝবা না।’

‘আমার এত বুঝনের দরকার নাই; আপনি বুঝেন। ঘরে একখান টেলিভিশন থুইয়া আপনে শীতের রাইতে নাচ-গান দেখতে এই গেরামে হেই গেরামে চইলা যান। আপনার গেয়ান-বুদ্ধি তো বেশিই অইব।’

ফুরকানের বিরুদ্ধে জমিরুনের এই চিরন্তন অভিযোগ যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু সম্বন্ধীর দেয়া চল্লিশ ইঞ্চির বিদেশি টেলিভিশন তাকে ঘরে টেনে রাখতে পারে না। কোথায় গানের মজমা আর কোথায় জড়ভরত প্লাস্টিকের এক বাক্স। বউয়ের সাঁড়াশি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে ফুরকান বলে, ‘হ, যদি জানতা, এইডা হইল শ্রীমঙ্গলের এক নম্বর গোল্ড চা। বুঝছো? আম পাবলিক এই সব বুঝে না।’

জমিরুন আর দাঁড়ায় না। সে জানে, তার সোয়ামী কথা বলতে শুরু করলে কোথায় গিয়ে শেষ করতে হবে তা ভুলে যায়। সে আত্মভোলা মানুষ। পৈত্রিক জমিজিরেত যা আছে তা নেড়েচেড়ে খেলে চার প্রাণীর সংসারে ডাল-ভাতের ব্যবস্থা হয়ে যায়। তাই বলতে গেলে মাথার উপরে কঠিন দারিদ্রের বোঝা নেই। তবে হ্যাঁ, ইচ্ছে করলে হায়দর, কালাম, মহিউদ্দিনের মতো সেও টুকটাক ব্যবসা করে ফুটানির জন্য হলেও বাড়তি কিছু কামাতে পারত। কিন্তু না, তার ওদিকে মন নেই। সে আছে, কোথায় কোন পালা-যাত্রা, গাজীর গীত, ঘোড়দৌড়, ফুটবল ম্যাচ, নৌকাবাইচ, ওইসব নিয়ে। বউ অনেকবার বলেছে, কিন্তু সে কানে তোলেনি। জমিরুনের অবশ্য তেমন কোনো বায়নাও নেই। তার এক ভাই অনেক দিন ধরে বউ-বাচ্চা নিয়ে ইতালিতে থাকে। সে ঈদ পর্বে সব সময়ই ভালবেসে বোনকে একমুঠ টাকা পাঠিয়ে দেয়। এতেই তার সব বাড়তি চাহিদা ভালভাবেই পূরণ হয়ে যায়। তাছাড়াও সুযোগ পেলেই বোন-ভাগ্নেদের জন্য এটা সেটা পাঠাতেও ভুলে না সে ।

এবার বিজয় দিবসে ঘটা করে গ্রামে মেলা বসেছিল। ছেলে লুকমান আর মেয়ে রাহেলাকে নিয়ে সারা বিকেল মেলায় ঘুরে বেড়িয়েছে ফুরকান। দূর থেকে নাগরদোলার ক্যাচ ক্যাচ শব্দে ছেলে-মেয়ে দুটো লাফিয়ে উঠলেও ফুরকান মেলায় ঢুকে প্রথমেই চার টাকা দিয়ে দুইটি কাঠি-লাগানো কাগজের পতাকা কিনে দিয়ে বলেছে, ‘খবরদার, হারাইয়া ফেলিস না।’ কচি শিশু দুটি পতাকার মর্ম কি আর বোঝে? তাদের মুখে কোনো ভাবান্তর দেখা যায় না। বরং লুকমান ভারী মুখে ফিসফিস করে বলেই ফেলে, ‘নাগরদোলা চড়ুম।’

ফুরকান আবেগি হলেও শিশুমন বুঝতে পারে। সে বলে, ‘আরে, খালি নাগরদোলা না, আরোও কতকিছু আছে; সব দেইখ্যা যামু। কিন্তু বাপ, তুই তো ওয়ান কেলাস পাশ কইরা ফালাইলি, তুই এই জিনিশটা চিনলি না?’

লুকমান উত্তর দেবার আগেই ছোট রাহেলা বলে ওঠে, ‘ওমা, চিনুম না ক্যান, এইডা আমার সোনার বাংলা পতাকা।’

ফুরকান খুশিতে বাগবাগ হয়ে বলে, ‘তুই চিনলি কেমনে, মা? তুই তো অহনও ইশকুলে যাস নাই।’

রাহেলা ফটফট করে বলে, ‘ক্যান, আমরা টেলিভিশনে দেখি না?’

ফুরকান বলে, ‘বাহ্‌, আমার মায়ের অনেক বুদ্ধি। তয় মা, বড় হইলে বুঝবি এই পতাকার কত দাম! এখন চল, আগে কয়ডা বাতাসা খাইয়া লই, তারপরে নাগরদোলা।’

শুধু নাগরদোলা চড়ানোই নয়, ফুরকান পুরো মেলা ঘুরে বানরের খেলা, বায়োস্কোপ, বাউল গান এবং আর যা যা আছে প্রায় সবই দেখিয়েছে ছেলে-মেয়েদের। লেবেনচুস, হাওয়াই মিঠাই খাওয়ানোও বাদ পড়ে নাই। ফেরার পথে সে ছেলেকে শুধু একটা বাঁশি কিনে দিলেও মেয়ের জন্য কেনে চুলের কাঁটা, লাল ফিতা, ক্লিপ এবং এক গোছা চুড়ি। মেয়ে নিজে এত কিছু পেলেও মায়ের কথা ভুলেনি। সে বলে, ‘বাবা, মায়ের লাইগ্যা কিছু কিনবা না?’

ফুরকান বলে, ‘কিনছি তো। তোর মায়ের লাইগ্যা মুরালি কিনছি, মোয়া কিনছি।’

রাহেলা বলে, ‘না, মায়ের লাইগ্যা চুড়ি কিনো।’

ফুরকান মেয়ের কথায় কিছুটা লজ্জা পেয়ে বলে, ‘ঠিক আছে মা, তোর যহন ইচ্ছা।’

জমিরুন বোঝে, মরদটা লেখাপড়া তেমন করতে না পারলেও তার মনটা ভাল। মেলা থেকে তার জন্য কাচের চুড়ি না আনলেও জমিরুন কিছু মনে করত না। কারণ, ফুরকান প্রায়ই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে এটা ওটা নিয়ে আসে তার জন্য। এজন্য স্বামীকে বকাঝকাও করে মাঝেমধ্যে। বলে, ‘বাড়তি সোহাগ না দেখাইয়া পোলাপানের কথা চিন্তা করেন। বাবা-মার আল্লাদে নিজে তো আর লেখাপড়ায় আগাইতে পারলেন না; পোলাপান গুলারে মানুষ করেন।’

ফুরকান এ কথা স্বীকার করে, রমরমা গেরস্থ পরিবারের ছোট ছেলে হওয়াতে আদর আহ্লাদ একটু বেশিই পেয়েছে সে। এমনিতেই লেখাপড়ার চল পরিবারে তেমন ছিল না, নইলে আট কেলাস পড়েই সে আউলা বাউলা হয়ে পড়ত না। এখন বউয়ের খোঁটা শুনলে আক্ষেপই হয় মাত্র। তাছাড়া বাপ-মা মারা যাওয়ার পর ভাইবোনদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে গেলে আগের সেই জেল্লাও শেষ হয়ে যায়। তারপর থেকে সবাইকে নিজ নিজ নৌকার হাল ধরেই চলতে হচ্ছে। আজ তার থলের মধ্যে দুয়েকটা পাশ থাকলে অন্তত গ্রামের ইশকুলে মাস্টারি করতে পারত। তাতে বাড়তি অর্থের সাথে সম্মানও থাকত।


সকাল থকে বরইতলার খেয়াঘাটে জব্বারের চা-দোকানে এসে শেকড় বসে রয়েছে ফুরকান। এ পর্যন্ত চার কাপ চা খেয়েছে; সাথে বনরুটি, কেক। পরিচিত অনেকেই এসেছে আবার চলেও গিয়েছে। কেউ কেউ ফুরকানের সাথে চা-ও খেয়েছে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও ফুরকানের ওঠার নাম নেই দেখে জব্বারের মনে একটু খটকা লাগে। সে অনেক ভেবেচিন্তে পরে বলেই ফেলে, ‘কিছু মনে না করলে এক খান কথা কইতে চাই, ফুরকান ভাই।’

ফুরকান নির্লিপ্তের মতো বলে, ‘কি কইবি, ক’।’

‘জোহরের আজান অইয়া গেছে, বাইত যাইবেন না?’ জব্বার সাহস করে বলে, ‘হেই সকাল থেইকা বইয়া আছেন আর চা খাইতেছেন। ব্যাপার কী? আপনে তো এই সময়ে আসেনও না, চা-ও খান না। কেউর লাইগ্যা অপেক্ষা করতাছেন নাকি?’

শীতকালে শীর্ণ হয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীতে দুই একটা জেলে-নৌকা, মালামাল বহনকারী ইঞ্জিনবোট আসছে যাচ্ছে। ওপারে ঝোপ ঝোপ গাছগাছালির ফাঁকে গ্রামের লোকজনের নৈমিত্তিক চলাচল দেখা যাচ্ছে। বিধানের ইঞ্জিন-লাগানো খেয়া নাও ওপারে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকে; এপারে এলেও তাই। যাত্রী অন্তত পাঁচজন হলেই তবে সে নৌকা ছাড়ে। তবে হাটবারের চিত্র ভিন্ন। সেদিন তার একজন সহকারীও লাগে; অবশ্য সহকারী অন্য কেউ নয়, তারই আপন ছেলে – মদন। ফুরকান কিছুক্ষণ ধরে একমনে নদীর ওপারে তাকিয়ে ছিল। ওখানে একটি ষাঁড়গরুকে বাগে আনার জন্য একটি কিশোরী মেয়ে কঞ্চি দিয়ে বেদম পেটাচ্ছিল। জব্বারের কথা শুনে ফুরকান মাথা ঘুরিয়ে সে তার দিকে তাকায়, কিন্তু কিছু বলে না।

জব্বারও তার প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা না করে দোকানের মালামাল গোছানোর দিকে মনযোগী হয়ে পড়ে। সে সাধারণত এ সময়ে দোকান বন্ধ করে খাওয়াদাওয়া করতে বাড়িতে চলে যায়।

অবশেষে ফুরকানও গাত্রোত্থান করতে করতে পকেট থেকে পঞ্চাশ টাকার একটি নোট বের করে জব্বারকে দিয়ে বলে, ‘তোর কত হইছে, রাখ।’

আপাতদৃষ্টিতে ফুরকানের এত বেশি প্রতিক্রিয়া দেখানোর যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ ছিল না। আর যে কারণে তার এত ফোঁসফোঁস সে রকম একটা সুযোগ পাওয়ার জন্য কত মানুষ পাহাড়-সমুদ্র, বনে-জঙ্গলে প্রাণপাত করে। অথচ ফুরকান এ রকম একটা সুখবর শুনেও ধনুকের মতো বেঁকে গেল। তাই বউয়ের ওপর রাগ করে সকাল বেলা নাশতা না খেয়েই উদ্দেশ্যহীন বেরিয়ে পড়েছিল। এখন বাড়িতে ফেরার ইচ্ছা না থাকলেও শেষপর্যন্ত গোস্বাবোঝাই মাথা নিয়ে বাড়ির পথেই হাঁটা দিল সে।

আসলে ব্যাপারটার সূত্রপাত গতকাল সন্ধ্যারাতে। আড্ডাশেষে বাড়িতে ফিরতেই রাহেলা হরিণশাবকের মতো ছুটে এসে ফুরকানকে জড়িয়ে ধরে বলে ‘বা-বা, আমরা বিদেশ যামু।’ মেয়ের কথা বুঝতে না পেরে ফুরকান হা করে থাকে। তখন জমিরুন মুখে হাসির প্রলেপ মেখে স্বামীর সামনে দাঁড়িয়ে বলে, ‘কী? মাইয়ার কথা বুঝেন নাই?’

ফুরকানের না বুঝারই কথা। এসব মা-মেয়ের মশকরাও হতে পারে। সে বোকার মতো মুখ ভেটকিয়ে নিরুত্তর বসে রইলে জমিরুন বলে, ‘হাত-মুখ ধুইয়া আসেন, খাওয়াদাওয়া কইরা ঘটনাটা কমুনে।’

ফুরকান তারপরও নিস্পৃহ হয়ে বলে, ‘ঠিক আছে, পেট ঠাণ্ডা কইরা এক খিলি পান মুখে দিয়া বইসা তোমার রসের কাহিনী শুনুম।’

বউ মোরগ পোলাও রান্না করেছে। এটা ফুরকানের পছন্দের খাবার। কিন্তু খাওয়াদাওয়া পর্ব শেষ হবার আগেই জমিরুন তার উচ্ছ্বাসী কাহিনীর সূচনা করে বসে, ‘আপনি মাথা ঠাণ্ডা কইরা আমার কথা হুইনেন; খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি তো খালি গান বাজনা, উৎসব ফুর্তি এইসব নিয়া থাকতে চান। ভাইজান আগেও দুই একবার কইছিল, আপনি পাত্তা দেন নাই।’

ফুরকান একটু চমকে যায়। সম্বন্ধীর সাথে এমন কী বেয়াদবি সে করেছে তা হুট করে স্মরণ করতে পারে না। সে চোখ বড় করে বউয়ের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘কী আবোলতাবোল কইতাছ?’

জমিরুন বলে, ‘ভাইজান তাড়াতাড়ি আপনার পাসপুট করতে কইছে। তাগো সরকার সুজুগ দিছে। সুজা পেলেইনে যাইয়া নামবেন, সরকারি কাগজপত্র হাতে লইয়া আপনার খুশিমতো কাম করবেন, যহন ইচ্ছা দেশে আইতে পারবেন। আর দুই বছর পরে আমাগোরেও নিয়া যাইতে পারবেন। অহন বুজছেন?’

‘আচ্ছা!’ ফুরকান বলে, ‘এইবার বুজছি এত ফুরফুরা ভাব কি কারণে। তয়, তুমরা আমারে বরফের দেশে কামলাগিরি করতে পাঠাইয়া দিবার চাও? তুমরা খুব অভাবে আছ? না খাইয়া আছ?’

‘এই তো আপনের উলটা পাল্টা শুরু অইয়া গেল।’ জমিরুন বলে, ‘আপনে তো খালি নিজের কথা চিন্তা করেন, পোলাপানের কথা একটু ভাবতে পারেন না?’

ফুরকান এবার রেগে যায়। বলে, ‘পোলাপান কি এতিম অইয়া গেছে?’

জমিরুন মুখে হাত দিয়ে বলে, ‘তওবা তওবা! এইসব কী কন আপনে? এমন সুজুগ কি সবাই পায়? দেশে থাকলেও আল্লা আমাগোরে না খাওয়াইয়া রাখব না। কিন্তুক আপনের কি এই কথা মাথায় আসে না যে আমাগো দুইটা বাচ্চা ইতালিতে গেলে লেখাপড়া কইরা মানুষ অইব; আমাগো মতন মুরুক্ষু অইব না।’

ফুরকান আরোও চটে গিয়ে বলে, ‘তাইলে এই দেশে লেখাপড়া নাই? এই দেশে কেউ মানুষ অয় নাই?’

জমিরুন জানে, সে আর কিছু বললে ফুরকান আরোও বেশি চড়াও হবে। তাই সে মুখ ভার করে অন্যদিকে মাথা ঘুরিয়ে বসে থাকে।

ফুরকানও খাবারের প্লেট ছেড়ে উঠতে উঠতে কয়েক মুহূর্ত মুখ বন্ধ রাখে। পরক্ষণে একটু ধীরগলায় বলে, ‘বউ, তুমি তো আমারে ভালা কইরা চিনো। আমার বড়লোক হওয়ার শখ নাই। আল্লা আমারে যা দিছে তা দিয়া নিজের দেশের মাটিতে আনন্দে জীবন কাটাইয়া দিতে পারুম। আচ্ছা কও তো, অই দেশে গিয়া আমি আড্ডা দিমু কার লগে? আমি বয়াতি পামু কই? বাউল পামু কই? নৌকার মাঝির গান শুনমু কেমনে? যাত্রা-পালা থুইয়া আমি বাচমু কেমনে? আমাগো দেশের মতো নদী-নালা, মাঠ-ঘাট কি অইখানে আছে? আর পোলাপান? হেরা তো অই দেশে গেলে আর ফিরা আইব না। কয়দিন পর নিজের ভাষায় কথাই কইতে পারব না…’

‘আপনে অহন থামেন’, জমিরুন ফুরকানকে আর এগোতে দেয় না। তার চোখের কোণে জল দেখা যায়। ‘আমি বুইঝ্যা গেছি আমাগো কপালে কী আছে’ বলে জমিরুন থালা-বাসন নিয়ে দ্রুতবেগে পাকঘরের দিয়ে চলে যায়।

ফুরকান পানের খিলি মুখে দিতে গিয়েছিল। কিন্তু স্ত্রীর ঝামটায় সেটা মুখে না পুরে টেবিলের উপর ছুঁড়ে ফেলে। তারপর বিছানায় উঠে কম্বলমুড়ি দিয়ে শুতে শুতে গলা উঁচু করে বলে, ‘তুমার ইচ্ছা হইলে পুলাপান লইয়া তুমি চইলা যাও, এই মাটির শিকড় আমি কাটতে পারুম না।’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

ফুরকানের মন-মনন, চিন্তা-চেতনায় বাংলার প্রভাবকে ছোপ ছোপ আঁকার চেষ্টা করা হয়েছে।

১৯ নভেম্বর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ১৬১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪