কুঁড়ি হয়ে ফোটা ফুল কি ছিল ভুল শৈশবে
আনাড়ি হাতে অধরার সাথে সখ্যতা কেন ভবে,
আমি আনাড়ি, খেলে যায় পরী নীলজামা
শৈশব শিশু! শিশু পরী, শিহরণ অনুপমা।

তাহার প্রেমে আমি প্রেমিক হয়ে উঠেছি,
যাঁহার কাছে আমি নিজেকে সপেছি।
আমার কল্পনায় যাঁহার ছবি এঁকেছি,
পদচিহ্ন এঁকেছি বুকে।

হটাৎ সেদিন, হৃদয়ের জং ধরা সিন্দুকটি খুলে দেখি
স্বপ্নের ছোট্ট কৌটোটি নেই সেখানে;
তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়িয়ে
কোথাও পেলুম না ঘরের এখানে ওখানে।

ইশারায় মোর ভালবাসা
নাও তুমি বুঝে
তোমার মাঝে সেই ভালোবাসা
নেবো আমি খুঁজে।

নামটি তার গোমতী
নদীর কূলে পল্লবের দোল বিহঙ্গের কলতান৷
নওরোজ বন্ধুদের সাথে হাটা
এই নদীর কূলে ঘাসের সবুজ পাতা
যেন স্বর্গ থেকে আসা গালিচা

মনের কোটরে আছে বহু চোরা খোপ
প্রায়শ্চিত্ত শেষে দেখা হবে ফের।
যে হাত পাশে থেকেও হয়নি ধরা
সেদিন সে হাত ধরে শিশিরের ঘাসে,ঐ দূরে অরণ্যে হারাবো,আবার বন্ধুত্ব হবে।

আমার জন্য কবিতা লিখো
না থাক সুর তাল লয়
থাকুক কেবল একটু প্রেমের ছন্দ।

তুমি সেই স্রোতের রানী দক্ষিনা বাতাসিনী,
থাকলেনা চুপটি করে, তবে কি তুমি কাদম্বিনী।(২)

তোমার মায়াবী ওই হাসির টানে যায় আমার মন হারিয়ে,
ভালবাসার পুজারী হয়ে দিও আমায় হাত বাড়িয়ে।

রাতের আঁধারে দু’চোখ খুলে
বসে থাকি জানালার পাশে,
অবচেতন মনে স্বপ্ন যায় দুলে
আঁধারের বুকে বেড়াই ভেসে!

আচকা পুরাণ ডায়রি খুলে,
চেতন কোণে তোমার ছায়া,
ভালোবাসার অবাক মায়া,
আপন হাতে গড়া।