তারপর দীর্ঘ কুয়াশা- সকাল থেকে রাত
মাদারবোর্ডে জাল বুনে মাকড়সা
এভাবেই ইচ্ছে জাগে আত্মহননের
পারদ জমে র‍্যামে, চৌচির হয় আশা ।

মা! কাঁদছো কেন! এই দেখো আমি তোমার সামনে।
বাবা! আমি তোমার সেই রাজকন‍্যা।
এই দাদা!আমার সাথে ঝগড়া করবিনা বুঝি।
কেউ যে শুনতে পাচ্ছে না আমার কথা; আমি যে লাশ।

স্বপ্নগুলো শুধু ডানাই মেলল,
ইচ্ছেঘুড়ির মত উড়ল না।
লক্ষ্যগুলো শুধু স্থবির হল,
চঞ্চলতা পেল না।
শৃঙ্খল শুধু জড়িয়ে গেল,
স্বপ্নপূরণ হল না।

হাঁট‌তে হাঁট‌তে প‌থে কতবার হোঁচট খে‌য়ে‌ছি
আ‌মি ভূলু‌ন্ঠিত হ‌য়ে‌ছি বারবার
তবু উ‌ঠে দাঁড়ি‌য়ে‌ছি ফের আবার
বু‌কে ছিল প্রত্যয়,সংশয় ভাঙ্গার দৃঢ় চিত্ত
আমি টি‌কে র‌য়ে‌ছি ভে‌ঙ্গে ফে‌লে সব হতাশা।

আমি মুজিব কে দেখিনাই গল্প শুনেছি
পাতা ভরা কালো কালি দিয়ে মুজিবের গান লিখেছি।
গড়বে বলে সোনার বাংলা স্বপ্ন ছিল পিতার
সে স্বপ্ন ভেঙে দিলো এক রাতের কালো আধার,

এক সমুদ্র নোনা জল শুকিয়ে
মনের আকাশে মেঘ হয়ে উড়ে চলে,
সুবিশাল এক পাহাড়ের ঠিকানায়
যার পাদদেশে আমার স্বপ্নের বাড়ি।

বহুদূর, দূরান্তে দুরন্ত কে যেন ডাকছে আমায়
জয়োল্লাসের অপেক্ষায়, বলছে সে-
জিরানো যাবে পরে, এসো-
সুড়ঙ্গ শেষে আশার আলোক রেখা ঐ দেখা যায়!

রাজন আমাকে ডেকে বললো,
ঐযে, ওই দেখেন গোল হয়ে পড়ে আছে;
দেখা যায়?
বললাম, দেখা যায়।
কি দেখেন?
কেউ ঘুমাচ্ছে।

স্বপ্ন আকাশ ভেসেছে
প্রেমের খেলায় মেতেছে,
শিকড় যেন নড়ছে
কি থেকে কি করছে ?

নয় স্বপ্নে, নয় দূরে, দিনে-দুপুরে দেখেছি তারে,
কাছেই ছিল, এখন দূরে; বহু-দূরে।
সাত-সমুদ্র তেরো নদীর পারে-তেপান্তরে?