অবশেষে ফিরে এলাম
তোমার ওই সুন্দর মনের কাছে
যে মনে বেধেছ আমায়, তোমায় পেলেম।
কতশত ফুলে গেঁথেছি মালা হৃদয় মাঝে
চোখ ঝরে পড়া অশ্রু’র বর্ণমালা

তোমাকে এখনো দেখি,করুণ বিস্মরণে একা।
রাত্রি দীর্ঘ হয়,নিদ্রাহীন - চোখে ভাসে
নগরীর নিয়নের রং,এখনো বৃষ্টি ঝরে;
বিছানার চারপাশে মেটে ঘ্রানে শীতল আবেশ-

স্বপ্নগুলো শুধু ডানাই মেলল,
ইচ্ছেঘুড়ির মত উড়ল না।
লক্ষ্যগুলো শুধু স্থবির হল,
চঞ্চলতা পেল না।
শৃঙ্খল শুধু জড়িয়ে গেল,
স্বপ্নপূরণ হল না।

স্বপ্ন দেখতাম…
একটা বাড়ি হবে, দোতলা;
দারোয়ান থাকবে, গোঁফওয়ালা।

আমি মুজিব কে দেখিনাই গল্প শুনেছি
পাতা ভরা কালো কালি দিয়ে মুজিবের গান লিখেছি।
গড়বে বলে সোনার বাংলা স্বপ্ন ছিল পিতার
সে স্বপ্ন ভেঙে দিলো এক রাতের কালো আধার,

ভাবনার দুয়ারে কড়া নাড়ে
থাকিতে পারি না ঘরে।
বসে না, মন কোন কাজে
মনে সব সময় ধ্বনি বাজে।
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখি
মনে মনে ছবি আাঁকি।

উচ্ছৃঙ্খল জমিদারের মত আলোর খেলা দেখিয়ে ম্রিয়মান হয়ে গেলো দুপুর।
বিশাল ফটক দিয়ে গড়িয়ে এলো সুড়কি খসা বিকেল।
একটু পরেই বড় বড় ভুতুড়ে ছায়া ফেলে এলো সন্ধ্যা।
তারপর রাক্ষুষে রাত এসে গ্রাস করলো গোটা জমিদারি মহল
ওদিকে নতুন সূর্যের অপেক্ষায় দিন গুনছে সভাকবি।