সবুজের দিকে চেয়ে থাকি
জুড়ায় আমার দুটি আঁখি
গান গেয়ে যায় কত পাখি
বাংলাদেশকে বুকেতে রাখি।
-
কবিতাবাংলাদেশের মায়াশরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান
-
গল্পওখানেই ঝরেছিল মানুষের ঘামসুপ্রিয় ঘোষাল
এ আখ্যান ঘোর বর্ষার স্রোতস্বিনী নয়। জীবনের কামনা আর আকাঙ্খার কাছে কখনো হেরে যাওয়া , কখনো বা অমীমাংসিত হার-জিতের বাঁকে প্রোথিত, ব্যর্থ দীর্ঘশ্বাস বহন করা, কখনো বা হার জিত মেলাতে না পারা, সময়ের রুদ্ধদ্বারে আটকা পড়ে যাওয়া এক সাধারণ প্রান্তিকের। যার কথা কেউ মনে রাখে, কেউ বা ভুলে যায়। সময়ের স্রোতে ভেসে যায় স্মৃতি। কখনো-সখনো কোনো নিকটাত্মীয়ের স্মরণে সে মানুষ আবার ভেসে ওঠে, বর্তমান হয়। বর্তমান হয় ?
-
গল্পপায়েস ইউএনওJamal Uddin Ahmed
রক্ষণশীলতা নাকি নগরমুখী প্রবণতার জন্য এ অঞ্চলে বরাবরই ঐতিহ্যবাহী উৎসবের আমেজ কম। প্রাক-বিদ্যুতায়নের যুগে যা-ও জারী-সারি-পালা গানের কদর একটু ছিল, এখন তা-ও নেই। কদাচিৎ রথ-মেলা, ঘোড়দৌড়, নৌকা বাইচের কথা শোনা গেলেও নবান্ন নামের উৎসবের সাথে অধিকাংশ লোকের পরিচয় কেবল বইয়ের পাতায়ই।
-
কবিতানবান্ন ছড়িয়ে যাক ঘরে ঘরেমাইনুল ইসলাম আলিফ
হাতে নিয়ে সময়ের ফিতেটা
কিনেছি জীবনের ভিটে।
কোদালের ফলায় কর্ষিত জমিনে
রোপিত শস্যদানায় ফলেছে সোনার ফসল।
শুকরিয়া তোমার মেহেরবান। -
গল্পকার্তিকের নবান্নের দেশেAhad Adnan
আমাকে তখন নিশিতে পেয়েছে। অগ্রহায়ণের রাতটা কেমন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। এটা ঢাকা নয়, এটা তপ্ত কোন শহর নয়। আমি এখন উত্তরের একটা গ্রামে। হেমন্ত এখনও এখানে বাংলার সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
বছরের এই সময়টায় সূর্য ক্লান্ত হতে থাকে। কমতে থাকে তেজ। আর আমরা যারা নাগরিক ‘ঘানি টানি’, ইচ্ছে করে গ্রামে যেতে, শিকড়ে ফিরে যেতে, উৎসব করতে, নবান্ন উৎসব পালন করতে। -
গল্পনবান্নের আবর্তে প্রেমজুলফিকার নোমান
"জীবন নদীর বাঁকের মাঝে
সজীব প্রাণের উচ্ছলতা,
হারায় সকল চঞ্চলতা
পথ হারিয়ে মুক্তি খুঁজে।" -
কবিতাহেমন্ত বন্দনাএই মেঘ এই রোদ্দুর
এই হেমন্তের মিষ্টি হাওয়ায়, জীবন উঠে জেগে
রোদের উত্তাপ তপ্ত গরম, গেছে সবই ভেগে।
সোনালী খাম শীতের চিঠি, আনলো ঐ হেমন্ত;
পাকা ধানের গন্ধ নিতে, মানে না এ মনতো!
-
গল্পজীবন তরীমাইনুল ইসলাম আলিফ
আমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম।
উঠোনের ঠিক মাঝখানটা দিয়ে নিকষ কালো এলো চুলের এক পরী হেঁটে যাচ্ছিলো।
আধো রোদ আধো ছায়ায়,লাল জামা পড়া মেয়েটিকে কি যে মায়াবী লাগছিলো সেদিন! আহ চোখ জুড়িয়ে যাবার মতো। -
গল্পতিনামোঃ মোখলেছুর রহমান
সেদিন শুক্রবার, অফিস নেই; লেখালেখির ব্যারাম আছে বলে ডায়রিতে লাঙল চালাচ্ছিলাম। ব্যারামের সবিস্তার হল- স্ত্রীর শত বকাঝকা খেয়েও ব্যামোটা সারেনি। এমন সময় তিনা এল তার বাংলা বই নিয়ে। ‘আমার দেশ’ এর ষড় ঋতুর ‘হেমন্ত’ পড়ছিল- “ হেমন্তে নবান্ন উৎসব ঘরে ঘরে।” হটাৎ আমাকে প্রশ্ন করে নবান্ন উৎসব কি বাবা। আমি সংক্ষেপে বুঝালাম- ‘কৃষকের নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসব।’
-
কবিতাঅতিতের নবান্নAbdul Hannan
নবান্নের আনন্দে গীত গেয়ে ফেরে দলে দলে লাঠিয়াল,
বৃষ্টি ভেজার গুমোট হাওয়ায় খেলা দেখে সব পয়মাল।
সাঁপুড়িয়ারা ঝাপান গেয়ে দেখাবে সাপের খেলা,
সাজ সাজ রবে বসবে ঐ দিন ডানাকাটা পরী মেলা।
অক্টোবর ২০১৯ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।