হাজার বছর পরে আমি ভাবি প্রাক্তনের কথা,
এক কৃষক, প্রখর রোদের সাথে যুদ্ধ অথবা অতিবৃষ্টির দৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে ফলিয়েছে ফসল।
সহধর্মিণীর পাখার বাতাসে যার হৃদয় হয়েছে শীতল,
-
কবিতানবান্নের গল্পNeerob
-
গল্পদশ কাঁঠা জমিনাজমুল হুসাইন
ঘ্যাচ করে উল্টে গেল বাম তর্জনীর নখ শুদ্ধ গোটা কর অব্দি।ফিনকি দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে এলো যুবা রক্তের তাজা উন্মাদনা।মুহুর্তেই করুন আর্তনাদে লহিতাভা ধারণ করলো কাঁদামাটি আর ঘাসের গালিচা।বাতাসের গন্ধে যেন ভেসে গেল আহ!
-
কবিতাআমি নবান্ন-আব্দুর কাদির
আমি আনন্দ, কৃষকের ঘামে
কৃষাণীর ঢেকি-ছাঁটা চালে
প্রেয়সীর নিমন্ত্রণে, নীল খামে।
রোদে পোড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শীতের প্রকোপে
আমাকে লালন করে, তবুও কেন অশ্রু ঝড়ে! -
গল্পকার্তিকের নবান্নের দেশেAhad Adnan
আমাকে তখন নিশিতে পেয়েছে। অগ্রহায়ণের রাতটা কেমন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। এটা ঢাকা নয়, এটা তপ্ত কোন শহর নয়। আমি এখন উত্তরের একটা গ্রামে। হেমন্ত এখনও এখানে বাংলার সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
বছরের এই সময়টায় সূর্য ক্লান্ত হতে থাকে। কমতে থাকে তেজ। আর আমরা যারা নাগরিক ‘ঘানি টানি’, ইচ্ছে করে গ্রামে যেতে, শিকড়ে ফিরে যেতে, উৎসব করতে, নবান্ন উৎসব পালন করতে। -
কবিতানবান্নের হাসিমনতোষ চন্দ্র দাশ
রূপালী নদীর বুকে ভাসে
পাল তোলা নাও
দুকূলে কাশফুলের সারি ঐ
দ্যাখো দূরের গাঁও। -
কবিতাসে দিন গুলো কই?মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু
দাদী নানী আচল গুজে ঢেকিতে ধান বানতো,
দাদা গাছে উঠে রসের ঠিলে পেড়ে আনতো।
মেটো পথে সায়ের গেয়ে যেতো বিয়ের পালকি,
চার আনাতে দুধের মালাই পাওয়া যাবে আর কি? -
গল্পদিন যার শিশিরের সুতোয় বোনারঙ পেন্সিল
প্রায় মাসখানেক জ্বরে ভোগার পর আজ শরীরটা বেশ ঝরঝরে লাগছে। কারো সহায়তা ছাড়াই ঠিক আগের মত ছুটতে ছুটতে সিড়ির সবগুলো ধাপ টপকে ছাদে চলে এলাম। ছাদে ওঠার পর টের পেলাম একটু একটু মাথা ঘুরছে। তারমানে জ্বরের শেষ ধাক্কাটা এখনো শরীরের কোন এক কোণে রয়ে গেছে।
-
কবিতাহেমন্ত বন্দনাএই মেঘ এই রোদ্দুর
এই হেমন্তের মিষ্টি হাওয়ায়, জীবন উঠে জেগে
রোদের উত্তাপ তপ্ত গরম, গেছে সবই ভেগে।
সোনালী খাম শীতের চিঠি, আনলো ঐ হেমন্ত;
পাকা ধানের গন্ধ নিতে, মানে না এ মনতো!
-
গল্পআসবে নবান্নেBiday Bela
তুমি বলেছিলে কানে কানে,
ধৈর্যহারা বাবু মশাই,
গভীর প্রেমের মুহে পরে খেয়েছো লাজ,
একটু ধৈর্য ধরো,
বাবার হাতে একটি কানাকড়ি ও নেই,
নবান্ন আসুক, গোলায় ধান উঠুক
তারপর... -
গল্পনবান্নের অশ্রুমোঃ আব্দুল মুক্তাদির
ভোর রাতের দিকে ঘুম ভেঙে গেল নাজিয়ার। অগ্রহায়ণ মাস পড়েছে। বাতাসে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। গা শিরশির করতে লাগলো নাজিয়ার। বিছানা থেকে উঠে ফ্যান অফ করে দিল সে। আবার বিছানায় শুয়ে পড়তেই সকালের একটা আলসেমি ছড়িয়ে পড়লো শরীরে। শুয়ে থাকলো বিছানায়, খানিকক্ষণ এপাশ ওপাশ করলো। কিন্তু আর ঘুম আসলো না।
অক্টোবর ২০১৯ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারী,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।