দিনান্তের শেষে ভাবি বসে বসে
কেটেছে কৈশোর স্মৃতির আবেশে,
সব ফেলে যেতাম ছুটে ত্রিপান্তরে
মুক্ত গগণ তলে আর মাঝির বহরে।

পড়াশুনাটা আবিষ্কার
করলটা যে কারা,
ইচ্ছে করে কান ধরিয়ে
বেঞ্চে করি খাড়া।

ইচ্ছে করে টাইম মেশিনে চড়ে
আবার কৈশোরে যাই ফিরে ,
কত স্মৃতি হাসি কান্নার
স্নেহ প্রেম মায়া মমতার ।
মায়ের আচল ছিড়ে

আমি শিশু হতে চাই
আবার কিশোর হতে চাই,
যৌবন আমায় আদর স্নেহ
সব কেড়েছে ভাই।

ওরা শিশূ ওরা তরুন, ওরা বড় চঞ্চল-
ওরা চায় হাসি খুশি, ওরা চায় উচ্ছল।

দুঃখের কথা এই হলো যে, গরীব মোদের দেশ-
শিশু শ্রমিক ঝুঁকির কাজ, জীবন প্রদীব শেষ।

এক যে আছে ডিক্‌শনারি
আজব ভুলে ভরা
(সেথায়)Die মানে ‘দৌড়াদৌড়ি’
Run মানে ‘মরা’।

সন্ধায় খেলা শেষে দেরী করে বাড়ি ফিরে
মায়ের বকুনি শুনে পড়তে বসা
রাতে রুপকথার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া
সকালে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠে
আমপাড়া বুকে জড়িয়ে মক্তবে যাওয়া

একটা বটগাছ কিনতে চাই..
ঝুরি নামা বয়সী বটবৃক্ষ..
শান বাধাঁনো ছিমছাম পরিষ্কার বেদী ..

কিশোর বয়স হয় এমন
দেয় মাথা নাড়া, হুক্কার, গর্জন,
কাপিয়ে মাটি করিবে আঘাত, আনিবে প্রভাত।
মুক্ত করে দিবে আলোর দিশারী।

আমরা শিশু আমরা কিশোর
আমরাই তারুণ্য শক্তি
শিশু বলে করনা অবহেলা
আমরাই জাতির ভাবী মুক্তি