ঘন্টার শব্দে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলি,
আনন্দে নেছে ওঠে আমার এই মন!
কে এসেছে জানো? শোন তবে তাই বলি!

বাবা বলে ডাকি,
আমাকেও বাবা বলে ডাকা হয়।
পৃথিবীর এক অদ্ভুতুড়ে নিয়ম,
যদি এটা ক্রমশ নতুনত্ব পেত
হয়তো বা জন্মের জন্মও শব্দ উচ্চারণে
সাহসের আকস্মিক উদ্ভাবন দিত না।

কখনো বজ্রকণ্ঠে নীলামে তুলি শ্রাবণ, কখনো পাগল হয়ে চুলকায় এলোচুল
কখনো থমকে দেয় বিষণ্নতার এক একটি লাল প্লাকার্ড,
বুকের ভিতরে দুমড়ে ফেলি, মুছড়ে ব্যাকুল হয় পরাণ!

বাবা মহান বটবৃক্ষ
করে ছায়া দান,
তার অভাবে জীবন সবার
হয়ে যায় শ্বশান।

ওর বাবার শোবার ঘর
আজন্ম পরিচিত, অথচ
কি বিভৎস্য অন্ধকার
খানিকটা বেশীই যেন আজ
বরফ কঠিন নিরাবতা

প্রতিটি দুর্বল পদক্ষেপ হয়েছে সবল
সকাল সাঝে খুঁজে পেয়েছি সাহস অনাবিল
পিতার স্পর্শে জীবন হয়েছে রঙিন
খুঁজে পেয়েছি পথ চলার দিশা সারাবেলা
দূর হয়েছে চলার পথের সকল মুসকিল।

আমার বাবা চাঁদ আনিবে চাঁদের দেশে গিয়ে
সারা গ্রাম ঘুরে বেরায় আমায় কাধে নিয়ে
পাখ-পাখালির সুরে-সুরে আমার সুর মিলায়
আমি নাকি আসছি তাদের পড়ন্ত এক বেলায় ৷

হায়! এতটা দিন পেরিয়ে আজও বাবার জন্য কাঁদি-
কারণ আমার বাবা যে ছিল চরম মিথ্যাবাদী।
মা যেদিন আমাদের রেখে গেলেন একা
সেদিন থেকেই বাক নিয়েছে আমাদের জীবন রেখা।

যতই বলি কঠোর
যতই বলি শাসক।
বাবা তো বাবা
রাখেন সব আবদার
ক্ষমা করেন বারবার

সূর্য্য-স্নাত দুঃখগুলো বুঝতে দিলে না তো কভু,
এখন কেমন আতকে উঠি সুখ পরবের মাঝে তবু।

সারা জীবন খেটেই গেলে তুলে দিতে এ মুখে ভাত,
শিষ্টভাবে পোহায় যেন ক্ষুধায় ঢাকা সে ঝড়ো রাত।