পড়া লেখা শিখছি গো মা
অনেক বড় আমি,
গুলশানে মা ফ্ল্যাট টা আমার
বারিধারায় জমি ।
চার চাকার এক গাড়ি আছে
এসি শুবার রুমে,
ঠান্ডা পানিত গলা ভিজাই
ফ্রিজে বরফ জমে ।

স্বর্গের রূপ নিয়ে যখন এলি মোর ঘরে
বাতাসের কান্নায় জেনে গেলাম আমি
হাওয়ায় প্রতিধ্বনিত হলো পবিত্র ডাক
যন্ত্রনার পাহাড় মারিয়ে হাসলাম তোকে দেখে
দেহের ভিতর তৈরী হলো নতুন দেহের
যত্নে মায়া মমতায় কাঠামোর ফ্রেমে

মায়ের দিকে নজর দিলে
কবুল হজ্বের পূণ্য হয়।
মায়ের আদেশ পালন করলে
মহান আল্লাহ খুশি হয়।
মায়ের মন খুশি করলে
জান্নাত পাওয়া সহজ হয়।।

সবটুকু আলো তোমার দখলে জানি
তোমার অবুঝ সন্তানেরা বে- দখল দিতে চায়
তোমার ভালবাসা শয্যা পাতে তবুও অন্ধকারে,
গাল মন্দ জমেনা কখনও চিবুক চোয়ালের পাঠে
অনন্য হাসিতে নেভাও দাবানল;
নিবিড় বনানীর নির্ভর আবাসে।

আমি তোমাকে ভালোবাসিনি;
শুধু তোমার জন্য হৃদ মাজারে গড়েছি একটা সুখের নীড়।
আমি তোমাকে ডাকতে পারিনি;
শুধু তোমার জন্য তীব্র রোদে অপেক্ষা করেছি দিনের পর দিন।

যেদিনই জেনেছিলাম,
সে ঋণ কখনও শোধ করা যায় না;
অমোঘ সত্যের সে রূপ মিশে গিয়েছিলো
বর্ণপরিচয়ের দ্বিতীয়ভাগে পড়া গল্পগুলোর মতো।
কাঠামোটা ছিল তার,
হারিয়ে গিয়েছিলো ভেতরের প্রাণটাই।

মা --
কোনোদিন বলিনি তোমায় ভালোবাসি
কখনো বুঝতেও পারিনি -- ভালোবাসি
সত্যি কথা কি ভেবেই দেখিনি ---
কতটুকু ভালোবাসি l

জিজ্ঞেস করলাম আকাশ দেখে –
তোমার চেয়ে বিশালতা আছে কারও জগত মাঝে ?
উত্তরে সে বললো হেসে-
আমি ভীষন ক্ষুদ্র তোমার মায়ের মনের কাছে ।

এবারও তুমি ছেড়ে দিলে, মহীরুহ হব বলে......।
ভূমিষ্ঠ হয়েই করেছি চিৎকার “ওঁয়া”, তুমি শুনেছিলে “মা”।
আনন্দে আত্মহারা, উৎসবে মাতাল, “আমি মা, আমি মা”
ভুলে গেলে আমার কান্না - “ওঁয়া, ওঁয়া, ওঁয়া”।

অবয়বহীন নারী
বেঁচে আছে আজো বুকের ভিতর
স্বপ্ন সারি সারি,
নির্বাক স্মৃতিগুলো না ভুলে আজো
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি,