দিনের পুরোটা পথ পশ্চিমে বাঁক ঘুরে
মিশে যাচ্ছে রাতের গলিতে।
পর্বতের ছায়াও এমনকি মৃতপ্রায়।
গোধূলি ও সন্ধ্যার গিলাফে রচিত
দু'রঙের সামান্য ব্যবধান।

কতদিন পেরিয়ে গেলো, শুনিনি কণ্ঠ
ওপারের! মনে হয় যেন
চেয়ে থাকে এখনো স্নেহের চোখে তার
রেখে যাওয়া মানিকের ব্যথাতুর মুখে।

জননী তুমি
ধরণী রুপে
রেখেছ আচঁল তলে
মায়ায় জড়িয়ে ।
নিশুতি রাতে এ শহরে
চাঁদ টা ও কেমন যেন
সীসার চাদরে-

ছোট্ট অক্ষরে একটি কথা,
সেটি হল মা ৷
মাকে ছাড়া একটা সময়ও
থাকতে পারি না ৷

সে দিনের…..
মায়ের আত্মচিৎকার ।
আজও পাওয়া যাচ্ছে..
বাংলা ভাষার ফাঁকে ফাঁকে- - -।

আমার ভাষা বাংলা ভাষা,
সবার চেয়ে খাসা।
তুমি আমার মায়ের মুখের ,
শুধুই ভালোবাসা।

যে জন আমায় আলোকিত করে
তিল তিল করে;নিজ হাতে গড়ে
যখন হারাই অন্ধকারে,
ধিকি ধিকি বাতি জ্বালে..
তাহাকেই মা বলে।

কবির কবিতায় হয়না লেখা শেষ
কি তোমার স্নেহের আবেশ।
স্পর্শের সুভাস মেখে দুহাতে তোমার
দাওনি পেতে যন্ত্রনার লেশ।

স্বর্গ মাগো তোমার পায়ে, শান্তি তোমার কোলে!
যাচ্ছি মাগো কোথায় ভেসে, নাও না আঁচল তলে!‍!

তুমি আমার প্রথম প্রেম, তুমি স্নেহের আধার
তোমায় ছাড়া আঁধার নামে, চাই না কিছু আর

এবারও তুমি ছেড়ে দিলে, মহীরুহ হব বলে......।
ভূমিষ্ঠ হয়েই করেছি চিৎকার “ওঁয়া”, তুমি শুনেছিলে “মা”।
আনন্দে আত্মহারা, উৎসবে মাতাল, “আমি মা, আমি মা”
ভুলে গেলে আমার কান্না - “ওঁয়া, ওঁয়া, ওঁয়া”।