আশ্চর্য, আয়নাটা এখনও আছে! আধ মানুষ সমান সেই আয়নাটা। আমরা বলতাম হেড স্যারের আয়না। হেড স্যারের ঠিক পিছনে একটু উঁচু করে টাঙানো ছিল দেওয়ালে। চার ধার সেগুন কাঠে বাঁধানো, ম্যাড়মেড়ে পালিশ। ওখানে আয়না কেন, কোথা থেকে এল জানি না।
-
গল্প
হেড স্যারের আয়নাশৈলেন রায় -
গল্প
বিচারকবিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্তসকাল থেকেই আদালত চত্বরটা লোকে লোকারণ্য । বিচারক আজ সাজা ঘোষণা করবেন । এই মামলার সাজা শোনবার জন্য সবাই উদগ্রীব । দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানির খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রত্যেকেই জানতে পেরেছে আর মোটামুটি এও অনুমান করেছে এই জঘন্য , নৃশংস হত্যার সাজা কি হতে পারে !! শুধু সিলমোহর সমেত বিচারকের মুখ থেকে শোনার অপেক্ষায় । বেলা যত বাড়ছে উদ্দীপনার পারদ ততই বাড়ছে ।
-
গল্প
যে জীবন দোয়েলের ফরিঙেরআবু আরিছপাতলা কুয়াশার আবরণ টের পাওয়া যায় চারদিকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঠাণ্ডাও বাড়ছে। ঘরের উষ্ণ কম্বল ছেরে বাইরে হাঁটার কোনো মানে হয়না। তবু বের হতে হলো...
'বাইরেতো বেশ ঠাণ্ডা? '
'হু'
'আপনার কি খারাপ লাগছে হাঁটতে? '
'না।'
'ভোর হওয়া পর্যন্ত আমরা হাঁটবো।' -
গল্প
পরাজিত মুক্তিযোদ্ধাজাহাঙ্গীর মাসুদদাদুর জমিজমা বলতে শুধু ওই বাড়ি টুকুই। তাও ছেলের নামে লিখে দিয়েছে। খুবই কষ্ট হচ্ছিল দাদুর কাহিনী শুনে। দাদুকে জিঙ্গেস করলাম, দাদু আপনিতো মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সবাই আপনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই চেনে। দাদু খুবই আফসোস করে বললো আর মুক্তিযুদ্ধা! মুক্তিযোদ্ধা হয়ে কি পেলাম? কিছুই পায়নি!
-
গল্প
রোদেলাকাব্যA R Shiponহাতে সিগারেট, কানে হেডফোন। একটু নির্জন জায়গায় বসে তোমাকে ভাবা। মনে হয় তুমি জীবন্ত। মানে আমার পাশেই বসে আছো। তোমার সাথে কথা বলি। তোমার হাত ছুয়ে দেই, তোমার চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাই আমি। সত্যি অসাধারন মূহুর্ত কাটে সেখানে। যদিও তুমি কল্পনায় আসো। তারপরেও ভালো।
-
গল্প
পৌষালিAhad Adnanকিছু বলার আগেই আবার আসাদের গায়ে চড় থাপ্পড় পড়তে থাকে। ওকে টেনে নিয়ে আসা হয় চেয়ারম্যান বাড়ির উঠোনে। রাতের না শুকানো ঘা গুলো আবার জেগে উঠে। দুর্বল শিরাগুলো টগবগ করতে থাকে। বিধ্বস্ত আসাদ অনেক কষ্টে মাথা তুলতে চায়।
-
গল্প
চায়না পুতুলশরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানতুই না নিলে আর কে নেবে বল সখিনা ? চুলের মুঠি ধরে জোড়ে টান মেরে সালমা বেগম জিগ্যেস করলেন সখিনাকে।
জবাবে সখিনা বলল,না খালাম্মা,আমি জীবনে ও কোনো দিন চুরি করি নাই।বিশ্বাস করেন খালাম্মা আমি চোর না।আমি চুরি করি নাই।বিশ্বাস করেন আমার কথা। -
গল্প
ওমের খোঁজেফাহমিদা বারীএবারে সত্যি সত্যি স্থবির হয়ে পড়ে জয়তুনের দিনরাত্রিগুলো। সে পুকুরঘাটে গিয়ে চুপ করে বসে থাকে। এক সময়ে মনেই পড়ে না, বাড়িতে স্বামী থালা নিয়ে বসে পড়েছে। ঘাট থেকে ফিরেই তাকে খেতে দিতে হবে।
ছেলে মেয়ে দুটো চোখের সামনে মারামারি করে নিজেদের ক্ষতবিক্ষত করে। মায়ের কাছে বিচারের আর্জি জানিয়ে চেয়ে থাকে দু’জন। -
গল্প
রূপান্তরমোঃ মোখলেছুর রহমানমায়ের অবিকল যদি মেয়ে হয় তবে পড়শীরা মেয়েকে দেখে বলাবলি করে যে ‘মা একে বারে উগলে দিয়েছে’। সে অর্থে রুমি একশতে একশ।
তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা ভাল মায়ের সাথে তিনবোন একত্র হলে মাকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর;বাইরের মানুষ মনে করতো তারা চার বোন। এ নিয়ে কলেজেও হাসাহাসি কম হতনা। এতো গেল মা বন্দনা। -
গল্প
অপেক্ষার শেষ বেলাSaiky Mizanশব্দেরা ভীড় জমিয়ে কথা দিত
"একদিন দুজনের দেখা হবে "
শতসহস্র মূহুর্ত পার হয়ে গেল তারপরে
বকুলের তলা পরে রইলো, ঘাস জমে গেলো চারিধারে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে তৃষা অপেক্ষায়
পথ কি ফুরালো?
জানুয়ারী ২০১৯ সংখ্যা
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৬” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলীএ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
