এবারে সত্যি সত্যি স্থবির হয়ে পড়ে জয়তুনের দিনরাত্রিগুলো। সে পুকুরঘাটে গিয়ে চুপ করে বসে থাকে। এক সময়ে মনেই পড়ে না, বাড়িতে স্বামী থালা নিয়ে বসে পড়েছে। ঘাট থেকে ফিরেই তাকে খেতে দিতে হবে।
ছেলে মেয়ে দুটো চোখের সামনে মারামারি করে নিজেদের ক্ষতবিক্ষত করে। মায়ের কাছে বিচারের আর্জি জানিয়ে চেয়ে থাকে দু’জন।
-
গল্প
ওমের খোঁজেফাহমিদা বারী -
গল্প
চারুনাজমুল হুসাইনতূর্য ইদানিং আমাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না।আমার সংগ পেলেই যেন ও খুশি।তৃতীয় নাম্বার বন্ধুর জায়গাটা ওর জন্যই ফিক্সড হল।অবশ্য ওর মা চারুকেও ভালো লাগতে শুরু করেছে,যদিও ম্যাডাম চারুকে চরম ভাবে ঘৃণা করি।তাকে দেখার পর থেকে বুবলি আর ফাল্গুনি আপার কথা নির্দিধায় ভুলে গেছি।
-
গল্প
রোদেলাকাব্যA R Shiponহাতে সিগারেট, কানে হেডফোন। একটু নির্জন জায়গায় বসে তোমাকে ভাবা। মনে হয় তুমি জীবন্ত। মানে আমার পাশেই বসে আছো। তোমার সাথে কথা বলি। তোমার হাত ছুয়ে দেই, তোমার চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাই আমি। সত্যি অসাধারন মূহুর্ত কাটে সেখানে। যদিও তুমি কল্পনায় আসো। তারপরেও ভালো।
-
গল্প
২৭ নম্বর পরীবাগমোজাম্মেল কবিরবিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসছে তখন। রাস্তার উল্টো দিকে একটা চায়ের দোকানে বসে চা খেয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে তাকিয়ে আছি দালান গুলোর দিকে। এখনো কি আশরাফ হোসেন এখানে বাস করেন? আমি কি কিছু জানতে চাইবো এই লোকটার বিষয়ে?
-
গল্প
উষ্ণতাএশরার লতিফঝুমার প্রসঙ্গ আসতেই রেশমির মনটা দ্রব হয়ে গেলো। মেয়েটা এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে কথা বলতে শিখেছে, কী যে মিষ্টি শোনায়। অভিমান করলে মাটিতে গড়াগড়ি খায়। রাতে মাকে না জড়িয়ে ঘুমুতে পারে না। এই বয়সের অন্য বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া আরম্ভ করেছে। কিন্তু রেশমি ঝুমাকে কাছ ছাড়া করতে চায়নি।
-
গল্প
নৌকা যাত্রীকালাম হাবিবগর্জন করতে করতে মেঘ সারা বসতি জানিয়ে দিলো 'তোমরা জাগো '। তখনিই আনন্দে মেতে সারা বসতির মেঘ আরও ঘন কালো হয়ে পুরো আকাশটাকে ছেয়ে ফেললো। যাত্রীদের মনে এবার একটু ভয়ের আশঙ্কা দেখা গেলো। বাতাস ও মেঘের গোপন কথা মেশিন টা একটু একটু বুঝতে পারলো। "
-
গল্প
বিচারকবিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্তসকাল থেকেই আদালত চত্বরটা লোকে লোকারণ্য । বিচারক আজ সাজা ঘোষণা করবেন । এই মামলার সাজা শোনবার জন্য সবাই উদগ্রীব । দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানির খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রত্যেকেই জানতে পেরেছে আর মোটামুটি এও অনুমান করেছে এই জঘন্য , নৃশংস হত্যার সাজা কি হতে পারে !! শুধু সিলমোহর সমেত বিচারকের মুখ থেকে শোনার অপেক্ষায় । বেলা যত বাড়ছে উদ্দীপনার পারদ ততই বাড়ছে ।
-
গল্প
অপেক্ষার শেষ বেলাSaiky Mizanশব্দেরা ভীড় জমিয়ে কথা দিত
"একদিন দুজনের দেখা হবে "
শতসহস্র মূহুর্ত পার হয়ে গেল তারপরে
বকুলের তলা পরে রইলো, ঘাস জমে গেলো চারিধারে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে তৃষা অপেক্ষায়
পথ কি ফুরালো? -
গল্প
গৃহদাহমাহমুদুল হাসানকিছুদিন পর জাকিরা কলেজ থেকে এসে হাসিমুখে মাকে বলল ‘আম্মা কাল দু’জন মহিলা আসবে। সন্তানের জীবনের প্রথম উপার্জন মায়ের হাতে দিলে মা যেমন প্রফুল্ল হয়- জোবেদা বেগমের মনটাও তেমনি প্রফুল্ল হয়ে উঠল, আনন্দে তার মুখটা চকচক করছে। সে বুঝতে পারছে এটা তার মেয়ের প্রথম কৃতিত্ব। তবুও জিজ্ঞেস করল ‘তোকে দেখতে? – হু। - ছেলে কি করে? - আনন্দমোহন কলেজ থেকে গণিতে মাষ্টার্স করেছে’ বলে লজ্জিত ও গৌরবময় ভঙ্গিতে সে চলে গেল।
-
গল্প
কষ্টআশরাফুল আলমকষ্ট কর যতন অতি
কষ্ট সবারই আপন।
চারিদিকেতে কষ্ট দেখি।
কষ্টে ভরা সারা জীবন।
জানুয়ারী ২০১৯ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুন,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
