গর্জন করতে করতে মেঘ সারা বসতি জানিয়ে দিলো 'তোমরা জাগো '। তখনিই আনন্দে মেতে সারা বসতির মেঘ আরও ঘন কালো হয়ে পুরো আকাশটাকে ছেয়ে ফেললো। যাত্রীদের মনে এবার একটু ভয়ের আশঙ্কা দেখা গেলো। বাতাস ও মেঘের গোপন কথা মেশিন টা একটু একটু বুঝতে পারলো। "
-
গল্প
নৌকা যাত্রীকালাম হাবিব -
গল্প
গৃহদাহমাহমুদুল হাসানকিছুদিন পর জাকিরা কলেজ থেকে এসে হাসিমুখে মাকে বলল ‘আম্মা কাল দু’জন মহিলা আসবে। সন্তানের জীবনের প্রথম উপার্জন মায়ের হাতে দিলে মা যেমন প্রফুল্ল হয়- জোবেদা বেগমের মনটাও তেমনি প্রফুল্ল হয়ে উঠল, আনন্দে তার মুখটা চকচক করছে। সে বুঝতে পারছে এটা তার মেয়ের প্রথম কৃতিত্ব। তবুও জিজ্ঞেস করল ‘তোকে দেখতে? – হু। - ছেলে কি করে? - আনন্দমোহন কলেজ থেকে গণিতে মাষ্টার্স করেছে’ বলে লজ্জিত ও গৌরবময় ভঙ্গিতে সে চলে গেল।
-
গল্প
অপেক্ষার শেষ বেলাSaiky Mizanশব্দেরা ভীড় জমিয়ে কথা দিত
"একদিন দুজনের দেখা হবে "
শতসহস্র মূহুর্ত পার হয়ে গেল তারপরে
বকুলের তলা পরে রইলো, ঘাস জমে গেলো চারিধারে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে তৃষা অপেক্ষায়
পথ কি ফুরালো? -
গল্প
বাদল মেঘের রিমঝিম “বৃষ্টি”Kaptan Noorঅন্তর দুমড়ে মুচড়ে ওঠে। নিজের মৃত্যুর দিন গোনার চাইতে আপনজনের চোখে অকাল মেঘের ছায়া ওকে বেদনাতুর করে তোলে। ভাবতে থাকে কেন এমন হল।
কিছুদিন আগে ভিডিওতে একটি হিন্দি ছবি দেখেছিল- ক্যান্সার আক্রান্ত দুটি ছেলে মেয়ের ভালবাসার ঘটনা। তখন কি ভাবতে পেরেছিল- তার নিজের জীবনেও এমন ঘটনার সূত্রপাত হবে। হায় নিয়তি এ কেমন খেলা তোমার! -
গল্প
ওমের খোঁজেফাহমিদা বারীএবারে সত্যি সত্যি স্থবির হয়ে পড়ে জয়তুনের দিনরাত্রিগুলো। সে পুকুরঘাটে গিয়ে চুপ করে বসে থাকে। এক সময়ে মনেই পড়ে না, বাড়িতে স্বামী থালা নিয়ে বসে পড়েছে। ঘাট থেকে ফিরেই তাকে খেতে দিতে হবে।
ছেলে মেয়ে দুটো চোখের সামনে মারামারি করে নিজেদের ক্ষতবিক্ষত করে। মায়ের কাছে বিচারের আর্জি জানিয়ে চেয়ে থাকে দু’জন। -
গল্প
বর্ণিল যাত্রাJamal Uddin Ahmedজাতপাতের খেলা এতদিনে এখনকার তরুণরা বুঝে গেছে। ইংরেজের তুলে দেয়া হিংসার কাঁটাতারের বেড়া ধুতিপরা দাদা আর লুঙ্গিপরা মিয়াভাইয়ের কোনো উপকারে আসেনি; বরং এই বিভাজনের ফায়দা ইংরেজের চেয়ে বেশি উঠিয়ে নিয়েছে স্বদেশী প্রভুগোষ্ঠী।
-
গল্প
রূপান্তরমোঃ মোখলেছুর রহমানমায়ের অবিকল যদি মেয়ে হয় তবে পড়শীরা মেয়েকে দেখে বলাবলি করে যে ‘মা একে বারে উগলে দিয়েছে’। সে অর্থে রুমি একশতে একশ।
তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা ভাল মায়ের সাথে তিনবোন একত্র হলে মাকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর;বাইরের মানুষ মনে করতো তারা চার বোন। এ নিয়ে কলেজেও হাসাহাসি কম হতনা। এতো গেল মা বন্দনা। -
গল্প
পরাজিত মুক্তিযোদ্ধাজাহাঙ্গীর মাসুদদাদুর জমিজমা বলতে শুধু ওই বাড়ি টুকুই। তাও ছেলের নামে লিখে দিয়েছে। খুবই কষ্ট হচ্ছিল দাদুর কাহিনী শুনে। দাদুকে জিঙ্গেস করলাম, দাদু আপনিতো মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সবাই আপনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই চেনে। দাদু খুবই আফসোস করে বললো আর মুক্তিযুদ্ধা! মুক্তিযোদ্ধা হয়ে কি পেলাম? কিছুই পায়নি!
-
গল্প
হেড স্যারের আয়নাশৈলেন রায়আশ্চর্য, আয়নাটা এখনও আছে! আধ মানুষ সমান সেই আয়নাটা। আমরা বলতাম হেড স্যারের আয়না। হেড স্যারের ঠিক পিছনে একটু উঁচু করে টাঙানো ছিল দেওয়ালে। চার ধার সেগুন কাঠে বাঁধানো, ম্যাড়মেড়ে পালিশ। ওখানে আয়না কেন, কোথা থেকে এল জানি না।
-
গল্প
উষ্ণতাএশরার লতিফঝুমার প্রসঙ্গ আসতেই রেশমির মনটা দ্রব হয়ে গেলো। মেয়েটা এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে কথা বলতে শিখেছে, কী যে মিষ্টি শোনায়। অভিমান করলে মাটিতে গড়াগড়ি খায়। রাতে মাকে না জড়িয়ে ঘুমুতে পারে না। এই বয়সের অন্য বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া আরম্ভ করেছে। কিন্তু রেশমি ঝুমাকে কাছ ছাড়া করতে চায়নি।
জানুয়ারী ২০১৯ সংখ্যা
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৬” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলীএ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
