যে জীবন দোয়েলের ফরিঙের

উষ্ণতা (জানুয়ারী ২০১৯)

আবু আরিছ
  • 0
  • ৪৯
সে হাঁটছে দ্রুতগতিতে।

তার এই হাঁটার ভঙ্গি দেখে যে কেউ মন্তব্য করে বসবে, বেচারির বাসায় হয়তো কোন বড় ধরনের অঘটন ঘটেছে। ঘটনা কিন্তু মোটেই সেরকম নয়। বাসায় ফেরার একমাত্র তারই নেই কোন তাড়াহুড়া। একা নিঃসঙ্গ জীবনযাপন। তিন তলার একটি বিল্ডিংয়ের নিচতলায় ছোট্ট পকেট রুম হলো তার বসবাসের আস্তানা। ছয় বছরের অধিক সময় ধরে সে এখানেই আছে । জীবন জীবিকার মাধ্যম হলো একটি এসোসুয়েট কোম্পানির চাকরি। সে চাকরির বয়সও পাঁচ পেড়িয়ে ছয়-এ পড়েছে।

এখন রাত এগারোটা বিশ। নিশুতি রাত বলা যায় না। সাধারনত রাত নিশিতে একা একজন মানুষকে প্রায়শই অস্থির ভঙ্গিতে হাঁটতে দেখা যায়। তবে তার ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার কোন মানে নেই। ঢাকা শহরে এগারোটা বলতে গেলে কোন রাতই নয়। হতে পারে শীত আর বৃষ্টির রাতে এটাই হাঁটার নিয়ম। কেননা এসময় চটজলদি মানুষকে মোহাবিষ্ট করে নেয় প্রকৃতি। একটা চঞ্চলতার ঘোর পেয়ে বসে মানুষের মনে মনে।

অগ্রহায়ণের সাতাশ তারিখ আজ। শহরের বুকে শীত এখনো তেমনভাবে জেঁকে বসতে পারেনি। আসেনি এখনো হিহি করে কাঁপার সময়। তবু কেন জানি তার কাছে ঠাণ্ডায় থরথর করে কাঁপার ভান করতে বড় ভালো লাগছে। এই ভঙ্গিতে ঘরে ফিরতে আলাদা এক ধরনের তৃপ্তি পাওয়া যায়। ফিরেই কম্বলের ভিতর সেঁদিয়ে যাওয়া। মৃদুমধুর উষ্ণতায় সিগারেট হাতে নিয়ে কত বিচিত্র ভাবনায় অবিমিশ্র সাঁতরানো...

মাঝেমধ্যে খুব ছেলেমানুষী কাণ্ড করে সে। গায়ের জামা খুলে কানে হেডফোন লাগিয়ে শুরু করে লাফালাফি। চেষ্টা করে গানের বিটে বিটে তাল দিতে। তার খুব প্রিয় গান, I took a pill ibiza....যখন শিল্পি টান দেয় Darling, all I know sad song....সেও তার সাথে সাথে মুখ মিলিয়ে গায়।

এই কাজটা করে সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য। মনকে অন্য কোন খাতে চালিত করার জন্য। সে অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে যে মনই সব কিছুর ক্রীড়নক। মন যদি নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন হতে বাধ্য। তবে কিছু কিছু বিষয় রপ্ত করা বড়ই কঠিন কর্ম। আহার, নিদ্রা, ভয়, মৈথুন....। এসবও নিজের আয়ত্বাধীন করতে কম পাগলামী করেনি সে। একবার সে না খেয়ে থাকার চেষ্টা করলো। ছাব্বিশ সাতাশ ঘন্টা পেরেছিল। তারপর আর পারলো না। বোঝা গেল Hunger is the great sauce কথাটি সত্যিই বটে।

না ঘুমিয়ে কতক্ষণ থাকা যায়, এটা নিয়েও তার চেষ্টার কমতি ছিলনা। তীব্র ঘুম তাড়ানোর জন্য একদিন সে অনেক পথ হেঁটেছিল। শেষে ক্লান্ত হয়ে একটা চায়ের দোকানেই ঘুমিয়ে পড়লো। হাত থেকে কাপ পরে ভেঙ্গে গেল। দোকানদার রেগে গিয়ে বলল, যান বাসায় গিয়া ঘুমান।
সে খুব স্বাভাবিক গলায় বলল, ভাই, আমি ঘুমিয়ে না থাকার সাধনা করছি।
'কি করছেন?'
'ঘুমিয়ে না থাকার সাধনা করছি।'
'এইডা আবার কেমুন সাধনা?'
'এইটা অনেক বড় সাধনা, কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহ বলেছেন, O you Enwrapped one. Stay up the night...
'আপনের মাথা কি ঠিক আছে?'
'মনে হয় নেই।'
'কাপের লাইগা ত্রিশ, চা পাচ, পয়ত্রিশ টেকা দ্যান।... পুরাতন পাগলের ভাত নাই, নতুন পাগলের আমদানি।'
'ভাই, ডায়লগটা আমারো খুব পছন্দের।'
'কি কইলেন?'
'বললাম চা'টা পুরোটা খাওয়া হয়নি, আরেক কাপ দিন, খেয়ে যাই।'
দোকানদার হাসতে হাসতে বলল, আপনে মানুষটা কেমন বুঝলাম না?
'সবকিছু কি বোঝা যায় ভাই, যেমন ধরুন পানি, কখনো বরফ, কখনো বাতাস...আবার আকাশ কখনো নীল, কখনো মেঘলা...সবকিছু বোঝার চেষ্টা না করাই ভালো....মহাজ্ঞানীরা বলে গেছেন Ignorance is bliss.

হনহন করে হাঁটার কারনেই বোধহয় ইটের সাথে ধাক্কা খেয়ে হুমরি খেয়ে পড়ে গেল সে। কেউ দেখে ফেলেনিতো? উঠে লজ্জিত ভাবে চারিদিকে তাকাতে লাগলো।

'কিরে, আছার খাইলি ক্যা?' চমকে পাশে ফিরে দেখতে পেল বস্তা পরা সেই পাগলটা। ওকে উপেক্ষা করে পা চালানোর জন্য উদ্যত হয় সে।
'ওই খাড়া খাড়া...
'দুর শালা পাগল।'

হাঁটায় আগের সেই ছন্দ ফিরে আসে তার। ওহ হো সিগারেট নেওয়া হয়নি...থমকে দাড়ালো সে। না, এদিকের কোন দোকান খোলা নেই। কি করা যায় এখন? কামাল ভাইয়ের দোকান অবশ্যি এখনও খোলা আছে। কিন্তু আবার এতখানি পথ...নেশার কাছে হার মেনে সে আবার উল্টো পথেই হাঁটা দিল।

কিরে আবার কই যাস?...পাগলটা বললো।
সে মনে মনে বলল, তোর মাথায় যাই।
'আমার মাথায় সিগারেট পাবি কই?'
পাথরের মত স্থীর হয়ে গেল তার পা দুটো। সেকি বাস্তবে আছে নাকি স্বপ্নে। বলে কি এই পাগল? ট্যালিপ্যাথি বা থট রিডিং এই জাতীয় কোন জিনিস জানে নাকি...

'ভয় পেয়েছিস না? তোর মনের কথা জাইনা ফেলছি এই জন্যে...যা সিগারেট নিয়া আয়। আমার জন্যও একটা আনবি...তামুকের বড় তেষ্টা পাইছে...

ফিরতি পথে সত্যি সত্যি সে পাগলকে একটা সিগারেট লাগিয়ে দিল। পাগল সিগারেটে টান দিয়ে বলল, তর চাবি কই?
সমস্ত পকেট হাতরিয়ে সে চাবি খুঁজে পেলনা।
'পাইছস?'
'না, চাবি কোথায় গেল?'
'ওই যে, রাস্তায় চাবি পইরা আছে।'

চাবি নিয়ে হাঁটতে শুরু করতেই পাগলটি বলল, যা যা তাড়াতাড়ি যা ব্যাটা তর্ জন্য একজনে অপেক্ষা করছে...

বাসায় ফিরে অনেকক্ষণ ভরা মুখে পানি দিল সে। সবকিছু কেমন ঘোরের মত লাগছে। পড়নে প্যান্ট শার্ট যেমন ছিল, সেভাবেই সে কম্বলের নিচে ঢুকে ঘুমের জন্য প্রতিক্ষা করতে লাগলো। লম্বা একটা ঘুম দিতে পারলে সব ঘোর কেটে যাবে। বিল্ডিংয়ের ছাদে দুম দুম শব্দে গান বাজছে। দু'দিন বাদে বাড়ির মালিকের মেয়ের বিয়ে। উপরের তলায় ছেলে মেয়েদের হৈ-হুল্লোড় হাসির শব্দ টের পাওয়া যায়....

ঘুমের আবেশ আসতে না আসতেই সে দরজায় টক্ টক্ শব্দ শুনতে পেল।
'কে?'
'আমি, দরজাটা একটু খুলুন।'
'আপনি কে? পরিচয় দিন।'
'দরজা খুলুন, পরিচয় দিচ্ছি। '
'নাম বলুন আপনার।'
'আমার নাম লীনা, ভালো নাম আকাশলীনা।'
'এখানে কি চান?'
'কিছু চাই না।'
'তাহলে চলে যান।'
'দরজা খুলুন, তারপর চলে যাচ্ছি। '
'আপনি ভূল রুমে এসেছেন?'
'ভূল রুমে আসিনি, আপনার নাম ফারহানুল ইসলাম ফাহাদ। আমি ফাহাদ সাহেবের সাথেই দেখা করতে এসেছি...

অগত্যা উঠে দরজা খুলে দিতেই হলো। বিরক্তি নিয়ে রুপবতী একটি তরুনী দাড়িয়ে আছে। তবে সে হাসিমুখে বলল, বাপরে বাপ, আপনি যেভাবে জেড়া শুরু করেছেন, এয়ারপোর্টওতো এভাবে জেড়া করেনা।
'আমার রুমটা আমেরিকা কিংবা বাইরের কোন দেশের চেয়েও প্রটেক্টেড...বুঝলেন, এখন বলুন, আপনার জন্য কি করতে পারি?
'কিছু করতে হবে না, একটু বসতে পারি?... ও আপনার খুব অবাক লাগছে তাইতো, এতরাতে একটা মেয়ে, তাও আবার একা, বলা নেই কওয়া নেই, দেখুন ওপরের সব রুম বুকট, থাকতে হলে কষ্ট করে থাকতে হবে, তাই মা আর সবুজ আঙ্কেলের অনুমতি নিয়েই একটু টাইম পাস করতে এলাম...আর একা এলাম কেন, যারা এখনো জেগে আছে তারা খুব ব্যস্ত, নো টেনশন দশ পনেরো মিনিট বাদে আবার চলে যাব...

ফাহাদ সাহেব মনে মনে বলল, টাইম পাস করার জন্য ভালো জায়গাতেই এসেছেন, আমার অনেক সাধনার একটা হলো কথা না বলার সাধনা, তবে সুন্দরীদের জন্য সে সাধনা শিথিলযোগ্য....তাও আবার এই রাত নিশিতে ভাবনার বিষয়ই বটে...

'এই যে মিষ্টার কি ভাবছেন?'
'না কিছু ভাবছি না।'
'চুপ করে আছেন, কিছু বলছেন না।'
'ও হ্যা, সবুজ ভাইদের সাথে তোমাদের সম্পর্ক কি?'
'অনেক দুরের, সবুজ আঙ্কেলের ওয়াইফের ফুপাতো বোন হলেন আমার মা।
'ও'
'সেতুর কাছে আপনার কথা শুনেছি আমি, অনেকদিন থেকে নাকি এখানে আছেন, খুবই অদ্ভূত মানুষ আপনি...কারো সাথে মেশেন না, কথা বলেন না...'
'সে রকম কেউ নেই, তাই বলি না।'
'সেতু, আপনাকে খুব পছন্দ করে আপনি জানেন?'
'জানি। কেউ কাউকে পছন্দ করলে সেটা টের পাওয়া যায়, ঘৃণা বা অপছন্দ করলে একটু পরে টের পাওয়া যায়...'
'কিভাবে বুঝলেন যে সেতু আপনাকে পছন্দ করে?'
'একদিন ও আমার জন্য আচাড় নিয়ে এলো, বললো নিজে হাতে বানিয়েছে, খেয়ে দেখে বলতে হবে কেমন হয়েছে। আরো কিছু টুকটাক ব্যাপার স্যাপার আছে, যা থেকে বোঝা যায়...'
'ও খুব কান্না করছে, বিয়ের কথাবার্তা শুরু হওয়ার পর থেকে আপনি একদিনও উপর তলায় যাননি।'
'কাল যাব।'
'এখন চলুন।'
'না, এত রাতে যাব না।'
'ওকে ডেকে নিয়ে আসি।'
'সবুজ ভাই রাগারাগি করবেন..'
'কেউ জানবে না, আন্টিকে বলে, ওর খুব মন খারাপ...'
'না, আজ বাদে কাল ওর বিয়ে, রাত বিরাতে এসব পাগলামীর কোন মানে হয়না। বিয়ের আগের দু' একদিন আগে সবারই একটু আতটু মন খারাপ থাকে...'
'আচ্ছা ঠিক আছে, আপনার কথা কি বলবো ওকে সেটা বলুন...'
'কিছুই বলতে হবে না।'
'ও কিন্তু আমাকে এখানে পাঠিয়েছে?'
'আমারও তাই মনে হয়েছে।'
'চলুন, বাইরে একটু হেঁটে আসি, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।'
ফাহাদ সাহেব মনে মনে বলল, এখানে শুইলে শুতে পারো, I promise you, I don't touch your body... কবি শরীরের ব্যাপারে বলেছেন, নাই, নাই, কিছু নাই, শুধু অন্বেষণ / দেহ শুধু হাতে আসে শ্রান্ত করে হিয়া। আমি আমার হিয়াকে শ্রান্ত করবো না...
'কি যাবেন?'
'এত রাতে যাওয়া ঠিক হবে না। তুমি এক কাজ করো, সেতুর ওখানে গিয়ে শুয়ে পড়ো।'
'না, আমার হাঁটতে ইচ্ছে করছে।'

পাতলা কুয়াশার আবরণ টের পাওয়া যায় চারদিকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঠাণ্ডাও বাড়ছে। ঘরের উষ্ণ কম্বল ছেরে বাইরে হাঁটার কোনো মানে হয়না। তবু বের হতে হলো...
'বাইরেতো বেশ ঠাণ্ডা? '
'হু'
'আপনার কি খারাপ লাগছে হাঁটতে? '
'না।'
'ভোর হওয়া পর্যন্ত আমরা হাঁটবো।'

ফাহাদ সাহেব চুপচাপ হাঁটতে লাগলেন। পাগলের কথাই সত্যি হলো তাহলে, এই মেয়েটির কথাই বোধহয় বলেছিল পাগল। কিভাবে এটা সম্ভব হলো? নাকি পুরো ব্যাপারটাই কাকতালীয়। সে স্বপ্ন টপ্ন দেখছে নাতো...
'কোনদিকে যাবেন?'
'এই দিকে, তোমাকে একজন পাগলের পরিচয় করে দেব।'
'পাগলের সাথে!'
'হু, এই পাগল কোনো সাধারণ পাগল নয়, সে ভবিষ্যত বলতে পারে...'
'ভবিষ্যত! আপনাকে বোকা বানিয়েছে। '
'বোকা বানায়নি, তোমার সাথে যে আমার দেখা হবে, সেটা পাগল আমাকে আগেই বলে দিয়েছে।'

ম্যাটার অব লাক পাগলকে পাওয়া গেল না। অবাক হওয়ার ব্যাপার না, তবু ফাহাদ সাহেব বিষ্মিত গলায় বলল, আরে আশ্চার্য, এখানেইতো ছিল।'
'পাগলরা এক জায়গায় কখনো থাকে না।'
'ওকে আমি প্রায়ই এদিকটায় দেখি।'
'দেখলে দেখতে পারেন, এখন নেই, তাতে এত অবাক হওয়ার কি আছে।'
'তোমার আমার ব্যাপারে ওর কাছে একটা ভবিষ্যত বাণী শোনা বড় প্রয়োজন ছিল।'
'কি ভবিষ্যত বাণী?'
'আমি আমার জীবনের প্রথম চুমুটা তোমাকেই দেব কিনা?'
'হ্যা, আমি সেই মেয়ে। তাই অনেক হাঙামা করে এই বিয়েতে আসতে হয়েছে আমাকে। আমি জানতাম আমার জন্য একটি মিরাকল অপেক্ষা করছে। I am the hundred percent perfect girl just for you...'

তারপর তারা একটি দোকানের আড়ালে লুকিয়ে গেল একটু উষ্ণতার জন্য। যদিও তার কোন প্রয়োজন ছিল না। প্রকৃতি তার শুভ্র কুয়াশার আবরন দিয়ে তাদেরকে সযতনে আড়াল করে রেখেছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

জীবনের গতি কখন কোন দিকে মোড় নেয় তা বলা কঠিন। এই গল্পে একা নিঃসঙ্গ একজন মানুষের খণ্ড চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কাকতালীয় ভাবে একটা মেয়ে তার জীবনে আসে। সে তার জীবনে ফিরে পায় খানিকটা উষ্ণতা...

২০ আগষ্ট - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪