মায়াবী সন্ধ্যাগুলো হারিয়ে গেছে
মহাকালের গর্ভে;হারায় আরো সময়‌‌ ।
সেদিনও আমি ছিলাম গভীর ধূয়াসায়,
আজো;সাদা বক গুলো আরো দুরে
নিঃশব্দে চলে যায়,বাধাহীন এক সমুদ্রের খোঁজে।

স্বাধীন বাংলার পতাকা তলে
কোট, স্যুট পরে, টাই ঝুলে গলে
ধর্ষক, সন্ত্রাসী, খুনি মিলে
দখল নিয়েছে এ দেশ।

জন্ম নেয় যন্ত্রণা দিনের শুরুটায়,
চুপ করে তাকিয়ে দেখি তার
অশ্রুভেজা চোখ,
আঁধার ঘরের ভিতর,

তৃষ্ণার খর-স্রোতা নদী
নেড়ি-কুকুরের মতো শুয়ে ,
ভালবাসার কষ্ট খামে
দু’চোখে বৃষ্টি নামে।

ফেরি করে গেছেন কষ্ট ফেরিওয়ালা এক হেলাল হাফিজ
নানাবিধ
নানান রংবেরঙের নানান কষ্ট হরেক রকম;
আমি করি টগবগে যুবকের বেকারত্ব আহার
আর রিরংসু প্রেমিকের এঁটো প্রেমিকার অশ্রু ।

নিজ হাতে জ্বালিয়েছো চিতা
জ্বলছিও তাই অবিরত
জ্বলন্ত মোমবাতির মতোই গলে চলেছি।
তুমি দূর থেকে দেখছো আর
বসন্তের মৃদু সমীরে দোল খাওয়া

আমার অঙ্গে প্রেম প্রকাশক
রোদনের ভার আনে না
এমন কি অপ্সরীর প্রবল আবেদন
হৃদয়ের কোমল চাদর ধরে টানদেয় না

সময়ের পলেস্তারায় শুধুই খোবল, কদর্য, কলুষ
রেখাচিত্র ধরে রাখে মোদক হুল্লোড় –
অদৃশ্য দেয়ালজুড়ে ছোপ ছোপ বিবস্ত্র বিনাশ
ঝুলে রয় সভ্যতার বিনষ্ট জরায়ু – নিশিথের বাদুড়

চোদ্দই মার্চ, তুমি আর আমি
যাচ্ছিলাম এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে
হাতে হাত ধরে।
সবুজ নরম ঘাসগুলি গালিচা হয়ে বিছিয়েছিলো
আমাদের পায়ে,

তবুও ছেঁড়াদ্বীপ নাসাকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রোজরাতে
একবার করে ঘুমাতে যায়
তবুও ছেঁড়াদ্বীপ মানুষের মতো ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলে;