জন্ম নেয় যন্ত্রণা দিনের শুরুটায়,
চুপ করে তাকিয়ে দেখি তার
অশ্রুভেজা চোখ,
আঁধার ঘরের ভিতর,

আমি বসে আছি আজ কত চুপচাপ শান্ত
মনের মাঝের হাজারো কষ্টের ছাপ লুকিয়ে
হাসতে হাসতে সুখের অভিনয়ে চাপা দিচ্ছি শত কান্না
কোটি কোটি লোক জনতার ভীড় পেরিয়ে।

ক্লান্তে ব্যথিত মন ও প্রান
লয়ে মাধব তুলিতে
পাবন ও রন তীর্যঘন,
লোহিত কনা কি শোভিতে।

মনলোভী মানুষ গুলো,
পায় কি মনের দেখা !
অতি লোভে মন কষ্ট,
জীবন টা হয় ফাঁকা।

শত ইচ্ছে স্বত্তেও অসহায়দের ভিড়ে হারাতে পারি না
রোহিঙ্গাদের ভিড়ে সেবাকে বিলিয়ে দিতে পারি না
ওদের কাছাকাছি গিয়ে জীবন দেখতে পারি না
না, যেতে পারি বন্যার্তদের খুব কাছাকাছি।

সকালের সোনামাখা রোদ ঝরে পরে উঠোনেতে
এক ঝাঁক কষ্ট নিয়ে লীন হয়ে যায় কুয়াশারা।
আবার সন্ধ্যায় সূর্য যখন দিগন্তে, সেরকমই
কষ্টের ঝাঁপি কুড়িয়ে বিদায়, কুয়াশা নেমে আসে।

ফেরি করে গেছেন কষ্ট ফেরিওয়ালা এক হেলাল হাফিজ
নানাবিধ
নানান রংবেরঙের নানান কষ্ট হরেক রকম;
আমি করি টগবগে যুবকের বেকারত্ব আহার
আর রিরংসু প্রেমিকের এঁটো প্রেমিকার অশ্রু ।

নাগরিক কোলাহলের এই শহরে
খটখটে রোদ্দুরও মাথার উপরে ,
তবু ছুটে চলেছি বিরামহীনভাবে ৷

চোদ্দই মার্চ, তুমি আর আমি
যাচ্ছিলাম এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে
হাতে হাত ধরে।
সবুজ নরম ঘাসগুলি গালিচা হয়ে বিছিয়েছিলো
আমাদের পায়ে,

বৃদ্ধাশ্রমের কোনে বশে এক মনে
বিলাপ করিছে বিলাশ,
সাথে লয়ে নাতি যে ছিলো তাঁর সাথী
এখন হলো তার সাতাশা।
পঁচিশটি বছর কেটে গেছে ওঁর
বৃদ্ধাশ্রম করে সার,