আমাদের কষ্টগুলো রোজ ইট-পাথরের প্রাচীরে চাপা পড়ে যায়,
কেউ দেখে না,
ক্রমশ এগুলো বাড়তে থাকে,
এই শহরের কেউ জানে না তা,
ভাবে, বেশ ভালোই আছি আমরা।

কতটা কষ্ট মনের গভীরে জানে না তো কেউ
নদীর গহীন বেদনা যায় না বোঝা দেখে তার ঢেউ ।
যত কষ্টই আমি পাই না কেন
দেয় তা আমাকে জেতার শক্তি এমন ;

কাজের মাঝে নিমজ্জিত জীবনে নাই দুঃখ
কাজের কষ্টে লুকায়িত স্বর্গময় সুখ।
কর্মকে হেলা করে বোকা শ্রেনীর লোক।
সংসার সুখের হয়, দূর হয় কষ্ট
সময়ের কাজ সময়েতে হয় না কোন কষ্ট।

নাগরিক কোলাহলের এই শহরে
খটখটে রোদ্দুরও মাথার উপরে ,
তবু ছুটে চলেছি বিরামহীনভাবে ৷

মন্দিরের পাশে সেই শ্মশান ঘাটে,
নিস্তরঙ্গ ছায়ার পিটে ।।
এক গহ্বরের সেই নিঃঝুম নালায়,
পাঁচটি কুকুরছানা সেঁটে।

ঝরে যাওয়া ফুল নয়
বাদারের পায়েহাটা পথে, কাপড়ের খাঁজে বিদ্ধহয়ে থাকা চোরকাঁটা’র মত
বুকের খাঁজে গেঁথে থাকা কষ্ট গুলো কে নিয়ে গাঁথি যাপিত জীবনের বিচরণ মালা।
এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে ঝুলে আছে সব অন্তরের আভরণ হয়ে থাকা আবেগের খাঁজে

জন্ম নেয় যন্ত্রণা দিনের শুরুটায়,
চুপ করে তাকিয়ে দেখি তার
অশ্রুভেজা চোখ,
আঁধার ঘরের ভিতর,

স্বাধীন বাংলার পতাকা তলে
কোট, স্যুট পরে, টাই ঝুলে গলে
ধর্ষক, সন্ত্রাসী, খুনি মিলে
দখল নিয়েছে এ দেশ।

আমার অঙ্গে প্রেম প্রকাশক
রোদনের ভার আনে না
এমন কি অপ্সরীর প্রবল আবেদন
হৃদয়ের কোমল চাদর ধরে টানদেয় না

ক্লান্তে ব্যথিত মন ও প্রান
লয়ে মাধব তুলিতে
পাবন ও রন তীর্যঘন,
লোহিত কনা কি শোভিতে।