হাতদিয়ে টেরপাই ঘাড়ে, যদি পাই, এবং পাইও কদাপি
ঘোলা চোখ – ফোলা আঙুর, একচোখা দাজ্জাল
টেরপাই ঝুপ-কোপতরঙ্গ তির্যক
গোল মেলে ঘোরবেঘোর নিকাশ

ভয় আজ তোমার চোখের চাহনিতে
হৃদয় নিঃড়ানো জমেথাকা বেদনাতে
ভয় আজ প্রতি পদক্ষেপে সকাল সাঝে
এখানে ওখানে জমে থাকা শত কান্নাতে।

জগতে আছে কিছু ভয় বিভ্রান্তি যত
মনেরই অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয় তত।
অনুভুতি আর অনুতাপে সৃষ্টি কর্মের ফল
সংবরণ কর সব যত নেতিবাচকতা রয়।

আমার রাত্রিবাস যেন নিদ্রাহীন কারাবাস।
জানালার শিক বুঝি জেলের গরাদের প্রতিকৃতি।
টিকটিকিদের অসহ্য ডাক থার্ড ডিগ্রি টরচারে বিধধস্ত কয়েদিদের আর্তনাদের মতো কানে বাজে আজ।
এপাশ ফিরে শুলে কোলবালিশের বিকৃত হাসি, ওপাশে নিঃসঙ্গ চাদরের ক্রন্দন।

অঙ্গ ভঙ্গী হাতের ঢং,
প্রয়োজন ভেদে চলে।
ভিক্ষুকের হাত সর্বস্থানে,
অভয় ভাবে চলে।

ছোট্টবেলায় বড়রা ভয় দেখাতেন – ‘জুজু আসছে’ !
শুনে ছুট্টে পালাতাম তাঁদের পিছন ৷
বন্ধ হত সমস্ত বিচ্ছুগিরি ও দামালপনা,
বন্ধ হত খেতে না চাওয়ার গোঁ ৷

দূর্নীতিকে বিদায় জানাইতে
পৃথিবীটাকে নিয়ম শিখাইতে
সিংহের মত গর্জে উঠিয়া
হারিয়েছি শক্তি তেজ!

এদেশ আমার-এদেশ তোমার
ভয় কেন তুমি পাও?
দৃপ্ত পায়েই এগিয়েই চলো
উর্ধ্ব ঐ পানে চাও।

চলে যাবো কোমল শব্দে; বন্দী প্রেম ছেড়ে
চিরমুক্ত হবার তরে
যা রয়েছে সব ভুলে চলে যাব।

তপ্ত রোদের সুপ্ত দহন অগ্নি ডানায়।
পুড়েছি, অঙ্গার হইনি নিকষ কালো ধোঁয়ায় ।
নেয়েছি ঘামে,মরিচীকায় ফেলেছি কদম।
যন্ত্রণার চিঠি লিখেছি ভায়োলেট খামে
ভৌতিক স্বপ্নের শব্দকথায় আতকে উঠে বুক ধুকপুক শিহরণে
কাটে বাকীটা রাতের বিষন্ন সময় ।