ছেলেটির হাত মেয়েটির হাত ছুঁয়ে গেলে
হাত সরিয়ে নিয়েছিল মেয়েটি,
তার পায়ের পাতায় ছুঁয়ে গেলে ছেলেটির পা
দিয়েছিল হাই-জাম্প;
ছেলেটি অবাক চোখে মেয়েটির চোখের তারায়
খুঁজেছিল আগুন –

যখন ছিল মন বড়ই অধীর, উন্মত্ত পাগলা ঘোড়া
তখন তুই কেন ছিলি এত কৃপণা?
যৌবনের ঢেউ দেখিনি কি আমি তোর অঙ্গে
ভেজা পাতার মত তোর গালে জমেনি কি ঘামের শিশির বিন্দু,

কৃপণ হীনে উপার্জন।
ক্ষয়ে বহে নিমেষে,
চলে যাবে শেষে
গহিন অনলে,তাই
অপচয় নয়, এই ধনে
কঠোর কৃপণতা চায়।

চোখের কোণে জল,
আর তুমি মিথ্যে ভেবেছো আমার নীরবতা,
বুঝেও না বুঝার ভান করে উড়িয়ে দিলে মিথ্যাতে ।
তুমি পারো বটে সাহেব

জীবনের উত্থানপতনে দেখেছি মানবতার বিশালতা,
দেখেছি ক্ষাধার্থ কীভাবে খাবার খায়, তার প্রাঞ্জলতা।
সেটাই আনন্দ, সেটাই স্বর্গ

ঘরে ফেরা সুবোধ বালকের কানে তাই ঝংকার বাজে,
খা'রে নাগিন খা,কেপ্পনেরে খা, বখিলারে খা।

মধ্যাহ্নের বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া রাজপথ
অপরাহ্ণে শুকিয়ে যায় তোমার আনাগোনায় ,
সূর্যের কিরণে -
হৃদয় ভিজেছে সেই কবে , বিষাদের ঢলে
আজও আছে স্যাঁতস্যাঁতে -

সাঁঝের আঁধারে শর্বরী জামা উঠিয়ে
তার স্তন পুরে দিল আমার মুখে
যৌবনের প্রারম্ভিক খ্যাপাটে সিংহ যেন
ওৎ পেতে ছিল এরকম নিঃশব্দ আচরনে ।

এক যে ছিলো কিপটে বুড়ো
চুল ছিলো না মাথায়
তোশক-গদি না কিনে সে
শুতো একটা কাথায়।