ভালোবাসার বদলে আমি
পেলাম অবহেলা
সবাই কেন আমায় নিয়ে
করে শুধু খেলা।

প্রতীক্ষা শুরু সে সেদিন থেকেই,অন্ধকার জঠর-বিশ্বে ছোট ছোট হাত পা
নড়া চড়া ও আবর্তন নাভিরজ্জুর কেন্দ্রাতিগ বলে ,পৃথিবীর প্রথম আলো_
নাড়ি ছিঁড়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষায় প্রথম মোহভঙ্গ_।
উদ্ধত শঙ্খ ও উদ্যত উলু জিহ্বা ও স্তব্ধ হয় দু-পায়ের মাঝে শ্রোণী মানচিত্রে।
মায়ের দু ফোঁটা চোখের জল হারিয়ে যায় নবজাতকের অবুঝ শ্লেষ্মায়।

তারপর! অবহেলার লম্বা রেশ...
অনিচ্ছাকৃত খুকুমণি থেকে কন্যে দায়।
বেয়াড়া গ্রন্থির মোচড়ে শরীর মানচিত্রে নব সংযোজন, পর্বতসঙ্কুল রঙিন বসন্ত।
নিভৃত আহ্বানে পর্যটকের প্রতীক্ষা!
অবশেষে দায়মোচী ঘর বদলের পালা, পরকে আপনের গুরুদায়িত্ব...।

নববধূ, গৃহিণী, মাতা...
নিজেকে উজার করে সন্তান পালন, পরিশেষে বধূবরণ _।

জীবন চক্রে আবারও নব প্রতীক্ষা পর্যায়...
পুত্র পুত্রবধূর শ্রদ্ধা খোলক মোচনে ঘৃণা উদয়, এখন সংসারে অবাঞ্ছিত ও অনভিপ্রেত।
প্রলোভনের ফাঁদে পরিত্যক্তা পথহারা, অগতির গতি ঠিকানা "প্রতীক্ষালয়' ...।

তবুও না-পালিত সন্তানদের সহানুভূতির খাদ্যদানে
কোনক্রমে জঠরাগ্নি নির্বাপণ খোলা হাওয়ায়।
আবার প্রতীক্ষা শুরু...
না পুত্র পুত্রবধূর সংসারে অবাঞ্ছিত হয়ে নয়...
চির শান্তির ও চিরঘুমের দেশে!

তোমার জন্য কেদে যাই একাকী রাতে
স্বপ্ন আমার দেয় না ধরা দুহাতে
তাই আর নয় কোন অভিনয়
নয় আর ছেলে খেলা
অবহেলা না দিয়ে ভুলে যাবে বলে দিও
অবহেলা আর নয় চলে যাব জেনে নিও।

বুকের ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকারের মতো -
ঘুমিয়ে রয়েছে অনিবার্য মৃত্যু ,
মুহূর্তেই সহস্রাব্দের ঘুম ভেঙে জেগে উঠবে আর্ত চিৎকারে ।
তবুও জলের গান হয়ে জীবন ছুটে চলে,
বহতা নদীর সাথে ।

তোমার যদি আটকে আসে দম
তোমায় যদি ভীষণ টানে হাওয়া,
বুকের ওমেও প্রেম যদি হয় কম
হাতছানি দেয় অন্যরকম চাওয়া;

যত কথা বুকেতে
পারি না যে বলতে
প্রিয়া আমার অভিমানি
চায় না যে শুনতে।

হাঁটছি আর হাঁটছি
কোথাও খোঁজে পাইনি তাকে।
স্মৃতিগুলো অবিচল এখনো
ঠাঁই দেয়নি আমাকে।
প্রেম আজও অসমাপ্ত ।

স্বর্গের লোভ দেখিয়ে যারে করেছো তোমরা “অন্তঃপুরবাসিনী”
অথচ প্রতিদিনই নরকের মাঝে তার বসবাস! চিৎকার করে বলে উঠে একদিন,
“পোড়াও তোমরা আমায় আরও আগুণের লেলিহান শিখায়
আমি সতী হতে চাই! আমি স্বর্গ চাই!”

ওরা দিন মজুর, ওরা খেটে খাওয়া মানুষ
রক্ত ঘাম নিংড়িয়ে ওরা কামায়,
অভুক্ত সংসারে খাবার তুলে দিয়ে তবে খায়
কোথাও কভু যদিবা কাজ পায়।

মাঝ রাতে রং চং মুখে মেখে,
বসে আছি এই শহরের রাজপথে...
চোখের ভাষায় হাঁকডাক করে দেহ টারে করতে নিলাম,
আঁধারের বুকে আজ সব প্রেম বিলিয়ে দিলাম.....।

যখন তুমি দাদী হবে
তখন তোমার নাতি-নাতনীদের
একটা গল্প শোনাবে।
সেই রাজ্যহীন রাজপুত্রের ;

আমার প্রথম বই, শত কবিতার-
তোমাকে দিয়েছিলাম সুপ্রিয়; শুভেচ্ছা
প্রত্যাশায়, মতামত চেয়েছি স্বেচ্ছায়;
আমার হৃদয়সৃষ্ট প্রাণ চেতনার।

মাগো তোমার পায়ের চিহ্ন মুছে গেছে
আঙ্গিনার আশ পাশ থেকে
মৃত্তিকায় মিশে গেছে তোমার রক্ত মাংশ,হাড্ডি
তবুও পদধ্বনি তোমার চার পাশের ধুলায় ধুলায়

আজ সেই মনে পরে তাহার কথা,
সে আর কেউ নয় বিদ্রোহী নজরুল।
মুখ যে তার ফুটন্ত গোলাপ পাঁপড়ি সমাহার
অক্লান্ত,অসিমান্ত দুর্লভ জীবন বন্দনা তাঁহার।

ভোরের শিশির বিন্দু
সূর্য উদিত হলে
তোমায় হারাব বলে
চোখে ভাসে মহাসিন্ধু।