"জীবন নদীর খেয়ার পারে
আসোক যত বাঁধা
তারে লইয়া ঘড় বাঁধিব
এটা মোর সহি শুদ্ধ আশা"

মাঝ রাতে রং চং মুখে মেখে,
বসে আছি এই শহরের রাজপথে...
চোখের ভাষায় হাঁকডাক করে দেহ টারে করতে নিলাম,
আঁধারের বুকে আজ সব প্রেম বিলিয়ে দিলাম.....।

আমার একটা পরিচয় দিয়ে দাও
যে পরিচয় আমার বাবার হাত ধরে হাঁটতে শেখাবে
যে পরিচয়ে আমার মায়ের শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে থাকবো

স্বর্গের লোভ দেখিয়ে যারে করেছো তোমরা “অন্তঃপুরবাসিনী”
অথচ প্রতিদিনই নরকের মাঝে তার বসবাস! চিৎকার করে বলে উঠে একদিন,
“পোড়াও তোমরা আমায় আরও আগুণের লেলিহান শিখায়
আমি সতী হতে চাই! আমি স্বর্গ চাই!”

যত কথা বুকেতে
পারি না যে বলতে
প্রিয়া আমার অভিমানি
চায় না যে শুনতে।

দেহ ময় ক্ষুধা নিয়ে
জেগে থাকে রাতের চাদোর
উষ্ণতার কবিতা লিখবে বোলে
এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে,

হে প্রিয় স্বদেশ,
আমাকে একা সংগ্রাম আর আন্দোলনের
মুখো মুখি দাঁড় করিয়ে
তুমি ঘুমিয়ে আছো
আর একটি নতুন যুদ্ধের জন্য
তা-কি সম্ভব প্রিয় স্বদেশ।

প্রায় মধ্য রাতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়
উঁচু দালানের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে
চলে যাই অনন্ত আকাশে
সকালের অাগেই ফিরে আসি
দেখি ভোর হওয়া

জীবন আনন্দময়, নয় হেলাফেলা,
জৈবিক তাড়নায় প্রেম-প্রেম খেলা|

বহু জন নানাভাবে "প্রেম" মানে জানে,
তাই, সৃষ্টির আদিতেই ভালোবাসা প্রানে|

তোমার অস্তাচলে তাকিয়ে
আচলের সুদীপ্ত বলিরেখাটি বিলাপ করে,
আমি তা সহ্য করি;
ভস্মতূল্য স্মৃতিপদক বসনখানি রিক্ত বলে
শক্ত করে হুমকি দেয় বারবার,

বৃষ্টি মানে ষোলয় ষোলয়
হঠাৎ ভিজে যাওয়া।
বৃষ্টি মানে পরিমাপহীন
চুমো গিলে খাওয়া।
বৃষ্টি মানে পাতার শরীর
শিরশিরিয়ে উঠা।

ছোট্ট খোকা,মস্ত বড়
বুড়ো বুড়ি, থর থর
আদেশ সব, বাষ্পীভূত
নির্বিকার চোখ, ভারে নত
কাঁদছে দেখ ,সুর মিলিয়ে
মানুষ নই, সরীসৃপ হয়ে

হাঁটছি আর হাঁটছি
কোথাও খোঁজে পাইনি তাকে।
স্মৃতিগুলো অবিচল এখনো
ঠাঁই দেয়নি আমাকে।
প্রেম আজও অসমাপ্ত ।

কে যেন বলল.......?
এখন আর কবিতার যুগ নাই-
সাহিত্য, বিজ্ঞাণ, মিডিয়া কোনটাই ভাবার সময় কারো নাই.
সেক্সের যুগে লালিত আমরা;
এমনকি ব্লগের লেখাগুলোতেও লেখকই পাঠক.

চৈত্ রোর গোধুলি মাখা সন্ধায়
একা একা লাগে আমার
মনেপরে তোমার কথা এই গোধুলি মাখা সন্ধায়
যদি তুমি থাকতে আমার পাশে