এক পশলা চিমটি কেটে দাগী করেছো হেসে খেলে
ঠায় দাঁড়িয়ে
সাজা ভোগ করেছি নিতান্ত অবহেলায়
অনবরত স্বেচ্ছায় জখম হতে বড়ই সাধ জাগে তোমার কাঠগড়ায় ।

ওরা দিন মজুর, ওরা খেটে খাওয়া মানুষ
রক্ত ঘাম নিংড়িয়ে ওরা কামায়,
অভুক্ত সংসারে খাবার তুলে দিয়ে তবে খায়
কোথাও কভু যদিবা কাজ পায়।

আমায় অবহেলা করতে।
নাম না জানা অজস্র
নক্ষত্র কিংবা ধ্রুবতারা,

তুমি ছিলে আস্তকুড়ে
কষ্টে অতি কুঁড়েঘরে
নিলাম বুকে তুলি
ছোট্ট ছিলে অনাদরে
আদর দিলাম বুকটা ভরে
ফুটলো তবে কলি।।

বুকের ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকারের মতো -
ঘুমিয়ে রয়েছে অনিবার্য মৃত্যু ,
মুহূর্তেই সহস্রাব্দের ঘুম ভেঙে জেগে উঠবে আর্ত চিৎকারে ।
তবুও জলের গান হয়ে জীবন ছুটে চলে,
বহতা নদীর সাথে ।

রফিকেরে ডেকে বলে এ বাড়ীর জামাই
বস্তিতে থেকে করিস বংশের বড়াই
দেখ আমি কি মহাসুখে শ্বশুরের খাই
তোর তো দুপুরের বাজারই হয়নাই

চৈত্ রোর গোধুলি মাখা সন্ধায়
একা একা লাগে আমার
মনেপরে তোমার কথা এই গোধুলি মাখা সন্ধায়
যদি তুমি থাকতে আমার পাশে

কাশফুলে ঘেরা মাঠে,
দাঁড়ায়ে আছি সম্মুখে।
জেনো কহিতে চাই গুপ্ত কথা,
জেনো ভিরাইতে চাই সমস্ত হৃদয়ে,
জেনো মিশতে চাই শিরায় শিরায়।

আর কতকাল কাঁদবো বলো দুঃখে ভরা দিনে
সুখের ঘোরে গড়লাম আমি দুঃখের এক পাড়া,
যে পাড়াতে দুঃখের মাঝে সুখ গুলো আজ ঋণে
অবহেলিত এই জীবন হঠাৎ হৃদয়ে দিচ্ছে নাড়া।

শূন্য অঙ্গন, ভেজানো বহির্দ্বার -মানুষের বার্তা তো দিল না!
তবু আমি তাকিয়ে ছিলাম,
দূর পথের দিকে যদি ফিরে আসে কৃষ্ণ কলম্কিনী,

সেদিন ,
চৌরাঙ্গির মরে তোকে দেখলাম।
অনেক অনেক দিন পর।
নয় নয় করে পাঁচ পাঁচটি বছর
কেটে গেছে।

আমার এ জীবন নি‌য়ে তু‌মি
ক‌রে‌ছো উপহাস,
তোমার কা‌ছে ছিলাম ‌আমি
শুধুই বু‌নো ঘাস।

অবহেলা বাঁচিয়ে রাখে
অবহেলা কে,
মানুষদের দৃড় বিশ্বাস
অবহেলা তে।।

চৌরাস্তার মোরে, শহরের ষ্ট্রীটের অন্ধকার গলিতে যৌবন বিক্রির ছেলে খোদ্দের খোজে যে,
ওই মেয়েটি বেশ্যা।
গোপন যৌন পল্লিতে যে মেয়েটি রোজ নির্যাতিত হচ্ছে,
ওই মেয়েটি বেশ্যা।

আজো প্রতি রাতে
হাজারো শিশুর কান্নার পরে
ভালবাসা নামের খনিটা-
মা,
তাকে আঁকড়ে ধরে