হে যুগপুরুষ! মহা-মানবিক তুমি,
'জীবে প্রেম'- মন্ত্র সাথে করি অন্বেষণ;
আপনে রচিছ প্রেম, নিজের ভূষণ-
চরণচিহ্নে গড়েছ কত দেশ ভূমি।

আজ প্রকৃতিতে ফুল ফুটেছে বলেই
নতুন মহা-বসন্তকাল জাগরণ ধ্বনি
পরিচ্ছন্ন ও নির্মল অন্তরে বাঁশির ধ্বনি শুনি
ময়ুর পালকের মতো রূপমাখা আনন্দ উৎসব

“আমার ভাষা মধুর ভাষা
এ আমার মাতৃভাষা,
এ আমার প্রানের ভাষা
এ এক যাদুর ভাষা,

পড়ন্ত বিকেলে
শুনশান ঘাটের গা ঘেঁসে হেলে
ঢ্যাঙা,লম্বা ,রুক্ষ শুক্ষ বাবলা গাছটা –
কোমরে তার আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা মোটা কাছিটা ,
অস্তিচর্মসার ডিঙি নৌকোটাকে
উদয়অস্ত থাকে পাহারায় ।

ধিক ধিক জ্বলছে আগুন,প্রেমের ফাগুনে
সময় যেন উদগ্রীব,দুই মনের মিলনে
আকাশ ধরেছে গান,বেদনার সুরে
কেউ যেন জ্বলছে আরো,দূর বহুদূরে

আশ্চর্য এক রহস্য- যার নাই কূল কিনারা ইয়ত্তা
শরৎ আর হেমন্তে- পাখিদের দলবদ্ধ আত্মহত্যা!
অগনিত পাখির ভিন্ন ভিন্ন জাতি আর নানা আকৃতি
মৃত্যুকূপে নিজকে সপে দেয়ার কুহকময় বিকৃতি।

তবু আরেকবার চোখ তুলে দেখ
আমার দিকে তাকাও
নিঃস্তব্দ শোক কান্না হয়ে ঝরে পড়ুক
বরফের কঠিনতা ভেঙে

তোমার কাছেই অগস্ত্য যাত্রা
তোমার কাছেই নিবিড়তম হারানো,
মহাপরিক্রমায় অসম্ভব সব গতি
যখন তখন যায় না ছোটা ফেরানো ।

আমার ছোট্ট একটা রাজ্য ছিল।
দিগন্ত তার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল,
ঘাসফড়িংয়ের স্বপ্নমাখা সবুজ কোনো স্নেহে।
পুবে একটা পদ্মপুকুর, গল্প লিখত
তার শান বাঁধানো ঘাটে।

কি এমন মুগ্ধতায় তুমি
দিয়েছো আমায় স্বরণ,
আমি কি পারি দিতে তোমার
সকাশে মরণ বিসর্জন?
ব্যর্থতা মানে আত্মনাশ; মানিনা
এই বিধি আমি,
ব্যর্থ হওয়া প্রতি খানা কর্ম
সফলের শুরু জানি

হাত দিয়েছি আগুনে
তাপ লাগেনি,
পোড়ায়নি আমাকে।
ঝাপটে ধরেছি আগুন
নিভেনি,

কী ভেবেছো, আমার সাথে হারিয়ে যাবে কোনখানে?
নীরবতার অতল জলে দিলেই বা ডুব সুনসানে!

তুমি কে!
কি নামে ডাকব তোমায়?
কেউ বলে তুমি ভগবান
যারা খ্রীশ্চান,
শুধু কি শোন তাদেরই কথা!
আজ এসেছি তোমারই দ্বারে
দেখব তোমায়, বলব আমি তোমার সাথে কথা।

অলৌকিক শক্তি নিজ সত্তার ক্রিয়াপদ বিশিষ্ট।
সব মরা তারা যদি মনস্কামনা পূর্ণ করে!
তবে প্রেমিকের বুকে এতো কেন
অব্যাপ্ত মায়ারুপি কালো দাগ।

শব্দের জঙ্গলে- খুঁজে ফিরি তাকে,
জানি, ইহজগতে তিনি নেই
কি জানি এক অব্যক্ত বেদনা, অভিমান
পলে পলে আকৃতি নিয়েছে তার।
তাঁকে খুঁজে ফেরে মন-
নিয়ত, সর্বত্র।