বয়স যখন ষাট তোমার,
হবে তুড় তুড়ে এক বুড়ি।

লাটি নিয়ে চলবে তুমি,
হাতে নেই চুড়ি।

আমি বড়োই একা,
কতো সময়ের পথ পেরিয়ে
শত আঁধারের রাত কাটিয়ে
তবু পায়নি তোমার দেখা,

তিনি সুন্দরের নির্দেশনা দিয়েছেন বারংবার
ছিল মানবজাতির জন্য অফুরন্ত আশীর্বাদ
অথচ,অমানুষ আর পশুত্বের ভীড়ে-
আজ গিজগিজ করছে পৃথিবী!

আমার সব কিছুই অন্যরকম।
এ বেলা ও বেলা--
সব অসময়ে সুসময়;
সময়ে কখনোই সুসময় আসেনি।
এই যেমন--

“আমার ভাষা মধুর ভাষা
এ আমার মাতৃভাষা,
এ আমার প্রানের ভাষা
এ এক যাদুর ভাষা,

কি এমন মুগ্ধতায় তুমি
দিয়েছো আমায় স্বরণ,
আমি কি পারি দিতে তোমার
সকাশে মরণ বিসর্জন?
ব্যর্থতা মানে আত্মনাশ; মানিনা
এই বিধি আমি,
ব্যর্থ হওয়া প্রতি খানা কর্ম
সফলের শুরু জানি

দুষ্ট অন্ধকারে দিশা জোনাকি পথ
শুঁয়োপোকার ভবিতব্যে লেখা প্রজাপতি ডানা
কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের অবসানে কোকিল সুর
ও রুক্ষ জ্যৈষ্ঠের শেষে সিক্ত আষাঢ় কথা
সব তো তোমারই দান হে প্রভু...।

সৌর বলয়ে ঘুরছে মেদিনী- একটু নয় বাঁকা
ঘুরছে এই মানব চক্র- গাণিতিক সুত্রে আঁকা,
প্রতিটি প্রাণ বুনে- সৃষ্টির নতুন নকশি কাঁথা
বহুবিধ তাঁতি গাঁথে একক তাঁতেই মাল্যগাঁথা।

শূন্য এক ঘরের মাঝে দুইটি ঝান্সা চোখ
তাকিয়ে আছে , খুঁজছে ফিরে করুন মৃত্যুলোক।
ধুকছে শুধু রুকছে যে সে ধরার বিষাদ ছায়া
ভ্রান্তি গুলো দিয়েছে ধুলো ভুলিয়ে দিয়েছে মায়া!

আমায় করো তুমি শুদ্ধ
করো নতুন জীবনদান
প্রতিটি ভোরের মত
নতুন সূর্যোদয়ে
আমায় করো তুমি প্রস্ফুটিত ।

আচ্ছা বলতে পারো-
বেহেশতে কি ভালোবাসা পাওয়া যাবে?
প্রিয়ার তর্জনী নিঃসৃত উষ্ণ আদরের
নহর বইছে যেখানে,

তীব্রো ব্যাথা ভারাকান্ত হৃদয়ে যখনি অভিমানের পাল তুলে হারিয়ে যাবো আত্নহত্যার মিছিলে,
তখনি ঐশ্বরিকতা সুর তুলেছে অনুভবের ছায়াতলে।

জলের কালো নীড়ে
আজও এঁকে যাই
তোমার রঙের আল্পনা
তুমি এক সুবিশাল তারার খন্ড
আমার ভালবাসার নীলাভ্র আকাশে ।

নগরী'র শরীর বেয়ে গলে পড়ছে নির্মল পাপ
এখানে এখন নির্ভয়ে বিহঙ্গী'দের মেলা বসে
থেকে থেকে ছড়ায় শুধু ওরা নরকের উত্তাপ!

একটা নভেলা লেখার আশায় চেয়ে আছি আকাশের মুখ
কোন্‌দিন আমার আকাশে জমবে বর্ণমেঘ
সেই বর্ণমেঘ থেকে আচমকা শব্দবৃষ্টি হবে
সেই শব্দবৃষ্টি বাক্যবান ঢেকে আনবে