প্রতিদিন সাদা-কালো মেঘের পালে উড়িয়ে দিই তোমার জন্য রঙিন খামে ভালবাসার চিঠি।
শীতের সোনা রাঙা সকালের অপেক্ষায় রাত কাটে। অবুঝ হৃদয় শীতের কুয়াশা মাখা
হিমেল বাতাশে তোমার সান্নিধ্যে আলতো ছোঁয়া পেতে ব্যাকুল হয় মধ্য নিশিতে।

আলো তুমি নির্বাপিত হয়ো নাকো
আমার ভালোবাসার দ্রাঘিমায়
জীবনের মহাবৃত্তে তোমাতে আমাতে
মিলেমিশে একাকার হই |

আমি তোমার সুবাসে হতে চাই অঙ্কুরিত ফুল
আমি তোমার অবুঝ মনের অজানা কোন ভুল

আমি ফুল ফাগুনের স্বর্গ ছেড়ে
সন্ধ্যা আবীরে হারিয়ে যাব।
তোমার স্বলাজ নীলাভ দীঘল নয়ন
গৌরি বরণ আলতা চরণ
নুপুর নিক্কনে ধরা দেব।

পুষ্প হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আমি,
নীল পরী রুপে হয়তো সামনে এসে দাড়াবে তুমি,
সব ভালবাসা প্রকাশ করতে না পারলেও
তোমাতেই বিভোর হব আমি।

হারিয়ে যাবে বলে ছেলেটি
বাড়ি ফেরেনি;
বাড়ি ফেরেনি মেয়েটাও
হারানোর নেশায়।

ছুঁড়ে ফেলতে পার যত
আমার দেয়া গোলাপ শত
ঠোট বাঁকাতে পার অবজ্ঞায়
কাদা লেপে আমার আশায়।

তবুও এক নৈঃশব্দ বিরাজ করে থাকে
তবুও এক স্তব্ধতা মূর্তিমান হয়ে ওঠে
তবুও এক শুণ্যতা সমস্ত গ্রাস করে নেয়।

একটি সুন্দর মুখ
যা দেখলেই মনে জাগে প্রেম।
প্রেম তুই কি করবি খেলা?
মনে কি দিবি ব্যাথা??

তখনো ভোরের আলো আকাশের বুক চিড়ে পৃথিবীর বুকে উঁকি দেয়নি;
সূর্য তার ভালোবাসা নিয়ে মেঘের বুকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে,
প্রকৃতি হয়তো কিছু ঘটার অপেক্ষায় সমীরণের ঘনঘটা দিয়ে যাচ্ছে;

পিদিম জ্বালিয়ে রেখেছি,
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর তোমায় দেখবো বলে।
পথের দিকে চেয়ে রই তোমার
অপেক্ষায়,

আঁচলের ভেজা চুলে, ওগো সোহাগিনি!
ক্ষণিক দাঁড়ালে এসে, তোমার উদাস-
চোখে ঝরিতেছে জল, বহিছে বাতাস-
এলোচুলে, এলোকেশে; কতইনা চিনি,

হঠাৎ জোছনার আনন্দ
যদি তোমার মন ছুঁয়ে যায়
কিংবা চাঁদের স্ফটিক নির্মল আলোয়
ভাবনারা পাখা মেলে
উড়ে আসতে চায়

কোমলতার; ভালবাসা-
দেখার কি আর বাকী ছিল?
মমতার ঐ আলতো ছোঁয়া,
নতুন করে জানার ছিল।
আমার কিছু বলার ছিল।

সেই কবে থেকে বলার জন্য সাহস জোগাচ্ছি
তোমায় অনেক ভালবাসি
জানি না আজ কি এমন হলো
হৃদয় বলল বলে-ই ফেলো