আমি ভালবাসি এদেশকে
ভালবাসি মা-বাবাকে
আফসোস! পারলাম না কোন মেয়েকে
শোকর খোদার জড়াননি যিনি আমাকে
ফিরত পাঠিয়েছেন তিনটি নদীর কুল থেকে

মাথার ওপর সূর্য ঝরায় লোহিত অভিমান,
তোমার প্রখর রূপের ছটায় সেও বুঝি আজ ম্লান।
আগুন-রাঙ্গা আলতা পায়ে দাঁড়ালে আলসেতে,
এসেছিলাম অনেকটা পথ তোমার দেখা পেতে।

নিভে যেতে পারি যেসব শর্তে
কোনটিই পূরণ করেনি বাতাস,
সুতরাং আজও জ্বলে যেতে হয়
প্রেমের স্পর্শে বাঁচার আশ্বাস ।

সাঁঝের বেলায় দীঘির পাড়ে
পা ঝুলিয়ে তুমি ,
দেখছি আমি ওই দূর থেকে
করছি লুকোচুরি ।

অস্ত্র দিয়ে করতে পারো
দেশ, মহাদেশ বিশ্ব জয়,
লাঠির জোরে বিরাট হাতি
সে ও করে তোমার ভয়!

প্রিয়তমা!
এখানে তোমার কি আছে?
ঘনবরফের স্মৃতি!
শীতের কুহেলীতে চাঁদরে জড়ানো ওম!
ঝড়েপরা হলুদপাতার উপড় একফোটা শিশির,

ভাবছি আমি কি লিখব আজিকে,
গান নাকি কবিতা সাজিয়ে?
গ্রীষ্মের প্রখর রোদে সব কিছু ছড়িয়ে
কাল বৈশাখীর তোপ নেয় সব উড়িয়ে,

রাত্রের ভালোবাসা,
রোদ্দুর হয়ে হৃদয়ে উঠুক।
আমি শিশিরের মাঝে তোমাকে খুজবো।

যদি কোন এক দিবস শেষে
তোমা দুয়ারে দাঁড়াই এসে ।
তুমি কি মোরে তাড়ায় দেবে
নাকি বক্ষমাঝে জড়ায়ে নেবে ।

যত অভিমান করে নাও তুমি,
তাতে নাহি কোন কিঞ্চিত ক্রোধ,
তবু তোমার স্নেহ কোলে রাখিব মাথা,
যেদিন দৃষ্টিপটে পড়েছিল তুমি,

কোন কাননে ফুটিলো ফুল এমন তাহার ঘ্রান,
ঘ্রান শুনে উছলে উঠে মম এই প্রান।
সুবাস শুনে প্রশ্ন জাগে কোথায় তাহার বাস,

তখনো ভোরের আলো আকাশের বুক চিড়ে পৃথিবীর বুকে উঁকি দেয়নি;
সূর্য তার ভালোবাসা নিয়ে মেঘের বুকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে,
প্রকৃতি হয়তো কিছু ঘটার অপেক্ষায় সমীরণের ঘনঘটা দিয়ে যাচ্ছে;

অনেক ভালোবাসি প্রিয়া তোমায় আমি
অফুরন্ত প্রেম
অসীম ভালোবাসা
শুধু তোমার জন্য।

রূপালি চাঁদের আলোয় উঠেছে উত্তাল সাগর,
সে সাগরের জল কণায়
বেঁধেছি তুমি আমি ঘর।

ছুঁড়ে ফেলতে পার যত
আমার দেয়া গোলাপ শত
ঠোট বাঁকাতে পার অবজ্ঞায়
কাদা লেপে আমার আশায়।