এলাকার সবাই জানে যে নিরব কেমন প্রকৃতির ছেলে । নিরবের পরিবারে আছে ওর মাবাবা সহ ওর বড় দুই ভাই,বড় এক বোন ও ওর ছোটবোন দোয়েল । নিরব ভাই বোনদের মধ্যে চার নাম্বারে আর ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ।

কি যেন একটা গভীর দৃষ্টি নিয়ে ও প্রায়ই আমার দিকে তাকাতো । শুরুতেই আমি বিষয়টা লক্ষ্য করেছিলাম।কিন্তু কিছু বুঝতে পারছিলাম না।সে ছিপছিপে গড়নের প্রায় পাচঁ ফুট সাত ইঞ্চির বেশ লম্বা মেয়ে

ভোরে চোখটা খুলল বৃষ্টির আওয়াজে। ৭ টা বাজে। এখনও সূর্য মামা মেঘের আড়াল থেকে বের হতে পারেনি। আজ অফিসে অনেক কাজ।

চাঁদ দেখতে কার না ভাল লাগে?
তাই এই জাগতিক সংসারে হাজারও ব্যাস্ততার মাঝে একটু সময় করে মাঝে-মাঝে চাঁদ দেখতে চলে আসি আমাদের বাড়ির ছাদে।মাস গেলেই অপেক্ষায় থাকি কবে ভরা পূর্ণিমা আসবে আর

রাত দশটা ত্রিশ। চোখে তার আকাশের বিজলী রেখার মত লাল আঁকাবাকা রেখা। বোঝাই যাচ্ছে তার দুচোখে ঘুমের নেশা। কিন্তু এছাড়াও যে তার অন্তঃকরণে কি যেন একটার চরম আকাক্সক্ষা রয়েছে

ভালো আছিস তুই? নিশ্চয়ই ভালো আছিস । তোর মতো চমৎকার একটা মেয়ে খারাপ থাকতে পারে?
জানিস, আমি না প্রায়ই তোর মুখটা মনে করার চেষ্টা করি । কিন্তু কেন যে ঠিক মনে পড়ে না, বুঝে উঠতে পারি না ।

স্যার, আমি সুখ বিক্রি করি!
মিজান সাহেব টেবিলে রাখা ফাইল থেকে লোকটার দিকে মাথা তোলে তাকালেন। লোকটাকে দেখার পর পরই তিনি সামান্য চমকে উঠলেন। অদ্ভুত টাইপের একটা লোক টেবিলের সামনে দাঁড়ানো। লোকটাকে আগ্রহ করে কিছুক্ষণ দেখলেন।

আমি সারাদিন কাজ শেষে বাড়িতে এসেছি।এসে অনেক সময় বিশ্রাম নিলাম,কিন্তু আমার মনের মধ্যএ কি যেন একটা শুন্যতা বিরাজ করছে।কি যেন আমার করা হয়নি।

পনেরো মিনিট হলো ছেড়েছে ট্রেন। ঝকঝক শব্দটা এখন সয়ে গেছে কানে!
এয়ারফোনটা কানে গুজে দিয়ে প্লে-লিস্টটা অন করে বাইরের দিকে নীরব
দৃষ্টিতে তাকালো আবির।

এসব সাত পাচ ভাবতে ভাবতে ব্রাশের মাথায় আলতো করে পেস্ট লাগালো সে। হয়েছেটা কি তার! আগে তো কখনো ভাবতো না সে এসব, এত্ত কিছু। নাকি এখন মা থেকে, পরিবার থেকে এতটা দূরে থাকে বলে এতটা সুগভীর চিন্তাশক্তি আসছে তার।

আজ অনেক বছর পেরিয়ে গেলো, আমার আজও হয়তো জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তুমি হয়তোবা অনেক পাল্টে গেছো, যার জন্য আজ তোমার আর আমার মধ্যে এত বড় একটা ব্যবধান তৈরি হল।

রহিমুদি ছেলের মতো ভাল করে তেলমালিশ করছি। অন্য রকম একটা আনন্দ
ধুলাদিচ্ছে অন্য রকম একটা সুখ এর আগে এরকম সুখ আমি কখনো পাইনি।

ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধে জহির রায়হানের বীরত্ব ও শহিদুল্লাহ কায়সারের অবদান মনে রেখেছে কিন্তু তাদের ভ্রাতৃপ্রেমের কথা মনে রাখেনি।সম্ভবত ইতিহাস বিরত্ব মনে রাখে, আবেগ না।

টিফিন ক্যারিয়ার কাধেঁ ঝুলিয়ে কালো রঙের একটা সাইকেলে চড়ে বাবা প্রতিদিন কাজে যেত। আর মা তখন বাড়ির দরজায় দাড়িয়ে তাকিয়ে থাকতেন বাবার চলে যাওয়া পথের পানে।
বাবা আমার একটা সামান্য পিয়নের চাকরি করে।

সে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশদিয়ে কামাল ও তার বন্ধুরা হেঁটেযাচ্ছিল। সে দিনছিল ছুটিরদিন। এদিন যদি নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে হাঁটা যায় মনে পড়ে সেই ব্যস্ত সময়গুলির কথা।মনে পড়ে তখন নিজেদের যান্ত্রিকতার কথা।