অস্থির শহরের ব্যস্ততায় কদাকার জ্যাম,
নষ্ট সময়ের খেরোখাতায় আঁচড় কাটে বিরক্তির নখরে।
সারি বেঁধে বাড়ে যন্ত্রের জট,
ঘর্মাক্ত শরীরে লেপ্টে থাকে ক্ষোভের প্রলেপ।

লক্ষ-কোটি ভ্রুণের ম্যারাথনে
বিজয়ের হাসি হেসেছিলাম,
দশমাস মায়ের গর্ভে পরম মমতার স্পর্শে
অনেক অহংকারে পৃথিবীর বুকে এসেছিলাম।

কল্পরাজ্যের স্বপ্নডানায়-
ভর করে সে রোজই আসে,
কোন কথা বলেনা সে-
খল্‌খলিয়ে শুধু হাসে।

মন-মস্তিষ্ক-স্নায়ুতে,ইচ্ছা-স্বপ্ন-সাধনার বসবাস,
অব্যক্ত ভাষা প্রায়ই,মনের নদীতেই ভাসতে থাকে,
হায়রে জোয়ার কবে আসবি তুই?
ভালোবাসার এতো মায়াজাল ছড়ানো,দিবা রাত্রির প্রাণে,

বর্তমান জীবনের একটা দিনও
আমাকে ভালো চোখে দেখেনি।
প্রতিটা দিন আমাকে Insult করে।
শুধু ভাবে আমরা সমাজের অবাঞ্ছিত ছেলে।

কথা ছিল ফিরে আসবে সে-
আবার নাটাই হাতে উড়াবে ঘুড়ি,
উত্তরের নীল হিমেল হাওয়ায় ।

শব্দগুলো খসে পড়ে কবিতা হয়ে,
কবিতাগুলো ভেসে আসে আবৃত্তির স্বরে।
ভীরু স্বপ্নগুলো লুকিয়ে থাকে তাসের ঘরে
শুধু রাত বাড়ে, বাড়ে নিস্তব্ধতা,

আজ তোমাকেই বলছি অধরা,
কতদিন হলো দেখি না তোমাকে।
মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলেছি তোমার আশায়
তবুও তোমাকে পেলাম না কোখাও খুঁজে!
এই পৃথিবীতে যদি তুমি থাকো, তবে একবার
পথভুলে আসো, তোমাকে একটু ছুয়েঁ দেখি।

রোদেলা দুপুরে ক্লান্তি কাটে রেশ
হে ধরনী তুমি সেজেছোতো বেশ!
আরও কত রঙ্গীন সুবর্ণ সৌন্দয্য
বিরল বহুল্য আছে রুপ।

নির্ঘুম জেগে থাকা রাত্রিতে অথবা
আগুন লাগা সন্ধায় চুরি করে নেবো
ওই লাল টিপ পুরোটা।
এশিয়া থেকে নিকশিয়া সাজাবো
হেলেনের সুরে অনিন্দ্য স্পর্শে,
তোমার কল্পনায় আর তোমার অস্তিত্তে।

আমরা যতই যতন করে,
বানায় প্রাসাদ বাড়ি।
বিলাষ বহুল জীবন গড়ি
চড়ি দামের গাড়ি।

জোৎস্নাস্নানে এসো গো সখা
আঁচলে বাঁধিব জোছনা...
নয়ন তারায় হাসো গো সখা
কাজলে আঁকিব আল্পনা....

আজও নীল শরীরে স্বপ্নরা খেলে বেড়ায়....
অবহেলার নষ্ট চাঁদ ঠিকরে পড়ে
দুঃসহ খালি থালার কিনারে।
শত বেদনার খেলাঘরে বাসনার
ফুটো ছাদে শ্রাবণের মেঘেরা
ডাক দিয়ে যায়....

শুধু জানতে চাই,
দেশ কি আমার না তোমার,
না দুজনার,
যদি হয় দুজনার,
তাহলে তুমি আমার ভাই নহে বন্ধু,
তারপরেও কেন মারো আমায়।।

অবিলুপ্ত প্রেম আমায় আড়মোড়া করে বেঁধে ফেলে
পেরেক ঠুকে দেয় আলোর দরজায়
কেউ একজন এক সিরিঞ্জ ঘুম নিয়ে অসাবধানে এগোয় পায় পায়
আমি অন্ধকার অথবা তোমায় দেখতে পাচ্ছি সমান্তরালে!