বুকের ভেতর থেকে কে যেন মনটাকে ডেকে বলে একটু হেসে নিতে
হু হু হু হা হা হা…করেহেসে তো নিলাম, কিনতু তাকে তো আর খুজে পাই না
আসলে কোথায় লুকিয়ে থাকে সে, মাঝে মাঝে আমাকে এমন করে পোড়ায়ই বা কেন ?
ইচ্ছে করে সবকিছু ছিড়েখুড়ে পরখ করি একবার,
হৃদপিন্ডটাকে কলাপসিবল গেটে’র মত যদি একটানে খুলে ফেলা যেত
নিলয়-অলিন্দের চারটা প্রকোষ্ঠেই ঢুকিয়ে দিতাম আমার অক্ষি গোলক,
খুজে নিতে তারে, এক এক করে খুলে ফেলে সবগুলো কপাটিকা ।
বুঝতে পারিনা, হঠাৎ হঠাৎ নাকি আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়টা চড়াক করে উঠে
ইচ্ছে করে খুলিটাকে ফাঁক কর তন্ন-তন্ন করে ফেলি
বিল বেয়ে চলে যাওয়া মেঠো পথের মতো আঁকা বাঁকা-কুন্ডলী পাকিয়ে থাকা মগজের সবগুলো খাঁজ
কোথায় এমন করে ক্ষরণ হলে, রেটিনার উপর চোখের পর্দাটা ঝুলে গেলেও
স্টারসিনেপ্লেক্সের চেয়েও বড়, খুলে যায় আরো একটা পর্দা, যেখানে শুধু ভাসতে থাকে সেই মায়াবী মুখ।
মেডুলা থেকে থ্যালামাস বেয়ে একেবারেচাই উঠে আসতে হোয়াইট-মেটার ভেদ করে গ্রে-মেটার পয্যন্ত
ঐ যে সেদিন চলার পথে যখন হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলে, আর মিহি সুরে কী যেন বলতে চেয়েছিলে
এখনো তছনছ করে খুজি কী ছিল বলার তোমার, কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠি না
চোখ বন্ধ করে ঘাড়টা নুয়ে ফেলে,শুধু খামচে ধরে থাকি খুলিতে আটকে থাকা চুলগুলো
উঠে আসলে আসুক নখরে, থাবায়।
তখনো বন্ধ চোখের পর্দায় তোমার চলে যাওয়া মুখ,আমার দিকে বাড়িয়ে দেয়া প্রলম্বিত হাত
খামচে ধরে থাকা খুলি ভেতরে মস্তিষ্কের সমস্ত নিউরণ গুলোকে উত্তেজীত করে তোলে
তোমার নরম কন্ঠের সেই শব্দমালা তাদের ডেনড্রাইট, এক্সন বেয়ে সিনাপস থেকে সিনাপস’এ যখন ইমপাল্স ছড়িয়ে দেয়
সারা শরীরের সেবাম কোষগুলোর ক্ষরণে ক্ষরনে, ঘেমে, নেয়ে পুরো অস্থির আমি।
আমি তখন আর আমার নিয়ন্ত্রক থাকি না, পুরো আপাদমস্তক যেন একটা যান্ত্রিক কার্যকলাপে পয্যবসিত হয়ে যায়।
তারপর অনেক কষ্টে চোখ খুলে, ঘাড়টা সোজা করে,
রেটিনা’র লেন্স’এ প্রভাব ফেলতে চেপে ধরি সবগুলো অপটিক স্নায়ু একসাথে। সত্যি বলছি আমি কিচ্ছু দেখতে পাইনা…
আমি যেন কোন এক বর্ণান্ধ, কিচ্ছু বুঝি না লাল, নীল, সবুজ…
মনটাকে ডেকে তোলা সেই আবেগটা যার অবস্থান খুজে পাই না, চেপে বসে আবার হৃদয়ের উপর
তোমাকে না পেয়ে সব চাওয়াই যেন অধরা থেকে যায় আমার
মনে হয় গাঢ় অন্ধকারে নিমজ্জিত পুরো আসমান জুড়ে গজিয়ে উঠে গভীর অরণ্য কোন।
২৪ আগষ্ট - ২০১৩
গল্প/কবিতা:
৪৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী