এক ইন্দ্রিয় নিয়ে এগিয়ে চলে...
বাস্তবকে অপমান করে বাস্তবতাকে আঁকড়ে ধরে ,
আপন সত্তাকে ঊর্ধ্বপানে নিয়ে যায় যে ,
সে 'একটি কবিতা' .....

বহু পুরনো এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর মুখ আজ এক কর্মকর্তার মুখে।
একটা প্লাস্টিকের বল যা কখনও ফুটবল ছিল না হয়ত সেটি আজ খেলা করে ডালের বাটিতে পুচ্ছ পাখনার সাথে।
একটা ফুটবল।
একটা আইড় মাছ।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিষ কিন্তু এত সু বিশাল।

দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্যাদা বুঝে না। এভাবে চলছে গ্লাফপ্রবাসীদের করুণজীবন।

একটা জীবনের চলা আর থেমে থাকাটা আমার চোখে ভাসছে যেন ! ভেসে উঠছে 'থেমে থাকা'টার এই পার আর ঐ পার ।

"হাট্টিমা টিম টিম
তারা মাঠে পাড়ে ডিম
তাদের খাড়া দুটি শিং
তারা হাট্টিমা টিম টিম।।।"

যেটুকু একান্ত নিজের,
তা নিয়েই কেন করিনা দাবি -
"আমি মুখস্থ মানুষ নই!"

মমচিত্তে গুরুকে স্বরণ করে —
তবু পরাজিত হই
বিত্তশালীদের ধনুক ব্যবসার ভীড়ে —
ইতিহাসে ও বাস্তবে,
আমার জীবন ও যৌবনে সবখানে !

তোমার কিন্তু আর আসা হলো না। মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজে তোমার আঙ্গুলগুলো ওরা চাপাতি দিয়ে আলাদা করছিল আর বলছিল, স্যার, লেখেন আরও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখেন। ডিসেম্বরের কুয়াশা ভেজা মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ার সময় তোমার বিশ্বাস হচ্ছিল না এরা তোমারই ছাত্র।

শান্ত সুবোধ লক্ষী ছেলে হয়ে এস, এস,সি পরীক্ষা দিয়ে শেষ করলাম। আমাকে আর পায়কে; সারাদিন ছড়া আর কবিতা; যাকে কাছে পাই তাকেই শুনাই।

আখেরাতের বে-খবরদের
যতো শিক্ষাই থাকুক
এসব মানুষ একবার হলেও
শিক্ষা নিয়ে ভাবুক।

রোদ হতে না পারার ব্যর্থতায়
নিভে গেছে কত সহস্র সকাল!
কতো অসংখ্য আকাশে আলোগুলো
ঘুম চোখে অসহায় খুব!

আমি তোমাদের মাঝে স্বপ্ন দেখি
আমরা প্রিয় স্বাধীন জাতি,
প্রাণে প্রাণে মেতে ওঠে
পৌছে দিবে মুক্তির বাতি।

প্রকৃতি নিয়তি এক একজন দারুন শিক্ষক
হাল ছাড়বে তো পাল ছিড়ে মাস্তল ভাঙ্গবে,
যেখানে কর্ম যোগ বিয়োগ ফলাফল
নিয়তিতে বাধাঁ সেখানে যোগে উচ্ছাস
বিয়োগের দুঃখে সর্বনাশ ভেবে কি লাভ?

তাই সুশিক্ষার ইচর্চা হোক ,
আজকে সবার চাওয়া ।
শিক্ষার আলোয় শুরু হোক যেন ,
জীবনেরগানগাওয়া ।।

পিঁপড়ের কাছে পাই সঞ্চয়ের শিক্ষা
মাটি আমাকে দেয় সহিষ্ণুতার দীক্ষা ।