\\এক\\
চারপাশে অতিষ্ঠ হবার মত উপাত্তের কমতি নেই। গলিটার প্রায় পুরোটা পথ জুড়ে ধুলো আর শুকনো কাদার আস্তর। বোঝাই যায় না কখনও এখানে পিচ ছিল। ধুলো উড়ছে। নাক মুখ

'আমি! আমি হচ্ছি বিবেক। মানে আমার নাম আর কি? অনেকে ‘জাতির বিবেক’ও বলে । সে অনেক বছর হলো আমি অদৃশ্য হয়েছি। দিন তারিখ মনে থাকে না আজকাল। শাহবাগে স্বাধীনতার পক্ষে একটা তারুণ্য শক্তি জেগেছে, চল ওখানে যাই।'...
এই বিবেকের তাড়না অদৃশ্য মনের ভেতের কুঁড়ে মরে অনেকের....এমনই এক ভীতু চরিত্র ...একা একদিন তার ..নিঃসঙ্গ সকাল বেলা, স্বাধীনতা উপভোগ, পাশের বাড়িতে পরকীয়া দেখে ফেরার ভীতি আর জাগরণ মঞ্চে যাবার আকুলতা মিলেমিশে এক গল্পের রূপ পেয়েছে হয়তো।

স্বাধীনতা; সেতো, লক্ষ শহীদের রক্তে রাঙানো।
স্বাধীনতা; সেতো, দু'লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতে জড়ানো....

মা কই তাড়াতাড়ি রেডি কইরা দাও। দেরী হয়া যাইতাছে।
আমিতো কিছুই বুঝতাছি না। মা চুলায় আগুন ঠেলতে ঠেলতে বলে,

উর্বশী সঙ্গে রেজওয়ানের খুব বেশি দিনের ঘনিষ্ঠতা নয়,মাস তিনেক হবে।চাকরির বদলি .........

এই তো সেদিনের কথা । পলাশীর আম্রকাননে তুমুল লড়াই হচ্ছে । তরুণ সেনা-নায়ক মীর মদন ও মোহনলাল অমিতবিক্রমে যুদ্ধ করে

রাত একটা কয়েক মিনিট।চারদিক রাতের জড়তায় লুকাতে চাইছে।কোনো দিকে কোনো শব্দ নেই।একটা চায়ের দোকান অর্ধেক খোলা তার পাশে ঝাপ লাগানো অবস্থায় একটা মটর .....

অন্ধকার কাল রাত।মাঝে মাঝে আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।মেঘ ডাকার শব্দ ভেসে আসছে।খুব বৃষ্টি হবে বলে মনে হচ্ছে।ক্যাপ্টেনের নির্দেশে হাবিব আর সুদীপ লোকজনকে নিরাপদ .......

১৪ ডিসেম্বর১৯৭১।পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে যুদ্ধ চলছে।স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ।মুক্তিযুদ্ধ।

বুলি অবেক্ষণ আগে দু একবার ফ্যাস ফ্যাস করেছিল মাত্র। এখন একবারে নিশ্চুপ। বুঝার কোন উপায় নেই বেঁচে আছে না মরে গেছে।

১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধ। চারিদিকে আতঙ্ক। পাক হানাদার বাহিনীর অমানুষিক নির্যাতন, নির্মম অত্যাচার। হাহাকার, চারিদিকে শুধুই হাহাকার। সন্তানের মা-বাবা হারানোর হাহাকার.....

রবি এই পোঁটলাডা লইয়া কালা মিয়ার পিছে পিছে যা। নয়া বাড়িতে গিয়া চুপচাপ মিজান মাষ্টারের হাতে এইডা দিয়াই আইয়া পড়বি। এক মুহূর্তও দেরি করবি না....

গভীর বনে একটা করাতিয়া ক্যাম্প আছে
তার দূরগামী চোখ আমাকে গ্রাস করে.....

১
এ্যারপোর্টের বাইরে দাঁড়িয়ে সজলের মনে হতে লাগলো এই কোন নরকে আমি এসে পড়লাম। সকাল ৯’টা বাজে,এ্যারপোর্টের ভিতরে তাও যা একটু ঠান্ডা ছিল,বাইরে তো তার থেকে প্রায় হাজার গুণ বেশি গরম। আর সেই

রোদেলা দুপুর। বেশ গরম পড়েছে এবার। রোদ্দুর তো না, আগুনের হলকা যেন ....... আগুন...সেই দুপুরের মত.....