তুমি আসলেই কি তুমি?
যার জন্য আমার সব ভাবনা।
তুমি আসলেই কি তুমি?
যার জন্য আমার সব কান্না।
তুমি আসলেই কি তুমি?
যার জন্য হেটেছি অনেক পথ।
না এই তুমি সেই তুমি না,
তুমি আজ ধরেছ অন্যের হাত।

সত্যের ফুল যে ফুটেছে চিরদিন,
আজও ফোটে তাই সত্যফুল রাত-দিন,
তবুও দেখলে না সেই ফুল শুধু তুমি!
সত্যফুল ফোটে চিরকাল-নিশিদিন।

উনুনে হাঁড়ি বসাবার চাল নেই,কিন্তু উদর রাক্ষস
খাদ্য চাই তার।তিন-তিনটে সন্তান অনাহারে
কেঁদে কেঁদে অবশেষে পেরেশোন।জরাজীর্ণ
সংসার রাহেলার,এতটুকু খাব্ নেই।

দু্:খ ভূলানোর মহাঔষধ,
বাবার মত নাই।
সৃতীভরা আকাশ সমান,
বাবার মত কই!

মিনতি আমার রেখেছো বুকের গহীনে!
চেয়েছি কেবলি, আর যাই করো—
অভিযোগে ভরা ছলে
যেও নাকো দূরে চলে।
আজ তুমি ছাড়া এ কাঙাল বেলা,
বড় নিঃস্ব করে রেখে গেলে যেন স্থবির, একেলা।

আমি পারিনি চাহিয়া দেখিতে
সূর্যোদয়ের কপালে লাল টিপ ছিল আঁকা
একদা নিয়েছিল ছিনিয়ে জনতা
দিয়েছিল সেটে পতাকার মাঝে।

কবির মনে কাব্য ছিলো
পাখির ছিলো গান
চাঁদের গায়ে ঝলক শাড়ী
জোছনা অফুরাণ
যৌবন ছিলো মধুর বিধুর
রঙিন ছিলো আশা
অন্ধ মনের কোণে ছিলো
একটু ভালোবাসা।

বাবা-মার হাত ধরে হাটতে শিখেছি,
তাদের চোখের আলো দিয়ে পথ চলেছি।
সব পেয়েও যেন আমি কিছুই পেলাম না,
চক্ষু যে যার নেই তো তার সবই অজানা।

অন্ধের জন্য এ রুপ যারা
দেখতে নাহি পায়,
খোদার নেয়ামত তবুও তারা
মিষ্টি সুরে গায়।

সেই দিন ছিল ১৯৫২ এর ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ,
অপূর্ব সেই দিন কাঁপিয়েছিল শোষকের শাসনের ভিত,
জ্বলজ্বলে রৌদ্রের সেই দিন দিয়েছিল ভেঙ্গে পরাধীনতার শৃঙ্খল ,

নিজেকে রক্তাক্ত করে কি যে সুখ! কি যে সুখ প্রতিনিয়ত মৃত্যু বরণে!
মৃত্যু ক্ষুধা নিয়ে নব জন্ম লাভের!
সবাই ছেরে কথা কয়, ছাড়ে না কেবল আধার আমায়।

“বোবার শহরে মাইক বেচি
অন্ধের শহরে চশমা,
বধির নগরেতে হেডফোন
ভীতুর গ্রামে ‘অ্যাজমা’।

হৃদয়ের রক্তক্ষরণ
মানে না কোনো বাড়ন
দেখে আরাকানের চিত্র,
আগুনের লেলিহান
কাড়ছে মানব জান
কোথায় মানবতার মিত্র?

চোখের সামনে দেখছি অত্যাচারীর দম্ভ
এ যেন ঠিক চোখ আছে তবুও সে অন্ধ ,
শুনছি নির্যাতিতদের বুকফাটা আর্তনাদ ,
তবু আমার কন্ঠনালীর ভাঙেনিকো বাঁধ ৷

১৪ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিয়ে শুরুকরি
এ আনন্দের কথা না বলে কেমনে থাকতে পারি?
প্রিয়ার মুখের মিষ্টি মিষ্টি হাসি
ফেব্রুয়ারী তাই তো তোমাই ভালবাসি ।