এ আমিত্ববোধ এক আদিম প্রবল
বুঝতে তা, কি আর এ কঠিন তেমন;

আমি দেখেছি সমুদ্রের কান্না
দেখেছি বরষা অপরূপ বন্যা।

আমার অনেক স্বপ্ন সাগর দেব পাড়ি,
এপার ছাড়িয়া ওপারেতে করবো সুখের বাড়ি।

তপ্ত মরুর বুকে উটের পিঠে সওয়ার হয়ে
যেন এক মুসাফির,চলেছি অজানা পথে

আমি কেউ নই, এখানে বা ওখানে আমি কোথ্থাও নেই ;
অথবা আমি তোমার কেউ ছিলাম বা কেউ হই বা না হই,

যখন আমি একজন লেখক, তখন আমার মনে ভাব জন্মে কিছু লিখতে। কিন্তু কি লিখিবো? প্রশ্ন জাগে মনে।আর যভন চোখের সামনে দেখি জুলুম,

নিরন্ন মানুষের মধ্যে শুধুই হাহাকার,
খড়কুটোও আজ মেলেনা তাদের কপালে।

আমার একান্ত ব্যক্তিগত আমিকে আমিই প্রতিনিয়ত ভাঙ্গি,
আমার পুরনো আমিকে এই আমিই বারবার ভেঙ্গেচুরে ফেলি,

সন্ধ্যার আলোকময় আঁধারে ফুটপাথের ধারে,
জরাজীর্ণ পলিথিনে মোড়া বস্তিঘরে,

বেল্কনিতে দুলছে আমার দোলনা অনেক বেশ,
লাগছে দারুন, ভীষণ করুন, শীতল হাওয়ার রেশ। এমনক্ষণে ভাবনা মনে

সাগরের শীতল জলে রুদ্ররা স্নান করে
নক্ষত্ররা নেমে আসে যমুনায়, কথাকয় হাসে

কে আমি
কি আমার পরিচয়

আমার যত অভিমান,সবই ঈশ্বরের সাথে
জগৎ-সংসারে সৃষ্টি প্রেরণ করে

আমি গিয়ে ছিলাম নোমরুদের শহরে
কোন একদিন...।

জলের ভিতর আসল রুপ একটি প্রতীকী কবিতা। মানুষের অহংবোধ ও আত্মগরিমাই যে সমাজের যাবতীয় অশান্তির মূল এ রুঢ় সত্য কথাই আমি বলতে চেয়েছি। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ যখন নিজের সীমাবদ্ধতা উপলব্ধি করতে পারবে এবং আমিত্বকে বিসর্জন দিতে পারবে তখনই সমাজে শান্তি আসবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।