আজ তোমাকেই বলছি অধরা,
কতদিন হলো দেখি না তোমাকে।
মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলেছি তোমার আশায়
তবুও তোমাকে পেলাম না কোখাও খুঁজে!
এই পৃথিবীতে যদি তুমি থাকো, তবে একবার
পথভুলে আসো, তোমাকে একটু ছুয়েঁ দেখি।

ফুল যে দিলাম, শুভেচ্ছাটাও পাঠালাম,
তোমার জন্য সারাটাদিন মালা গাঁথলাম।
লেকের পাশে দুইজন বসে গল্প করলাম,

এক চিলতে মুচকি হাসিতে যখন মেলে দিয়েছো স্বপ্নলোকের অভয়ারণ্য

তোমরা কেউ,
একদিন হয়তো কড়া নেড়েছিলে আমার খাঁচায়,
শিশিরের মতো সূর্যের অপেক্ষা না করে
চলে গিয়েছ অন্য ভোরের আশায়।

নির্ঘুম জেগে থাকা রাত্রিতে অথবা
আগুন লাগা সন্ধায় চুরি করে নেবো
ওই লাল টিপ পুরোটা।
এশিয়া থেকে নিকশিয়া সাজাবো
হেলেনের সুরে অনিন্দ্য স্পর্শে,
তোমার কল্পনায় আর তোমার অস্তিত্তে।

'এই যে ভাই শুনছেন, ফরাশপুর কোথায় বলতে পারেন?
'চাঁদপুর, গোপালপুর, মেদিনীপুর কোথায় তা বলতে পারি। ফরাশপুরটা কোথায় ভাই?'
যাব্বাবাহ! এ যে আমাকেই উল্টো প্রশ্ন করে! গ্রাম গঞ্জের মানুষজন আজকাল অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে।

একটি সভ্য মনুষ্য সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে
ধূলিমাখা শরীরে অনেক খেটেছি আমরা।
প্রেমের রক্তিম ডানা ভেঙেছি দারুন স্পর্ধায়!
সরস মৈথুনে যুগল আনন্দে সৃষ্টি করেছি
নতুন প্রাণ
তবু গন্তব্যে পৌঁছা হলো না...!

তবেকি ছিলে তুমি ঘোর, কুয়াশাঢাকা চৌম্বক নেশা
আমার অঘোর গমন অবিরাম তোমার বলয়ে –
অক্লান্ত আমার পথ অধীর লুটায় তোমার কাননে, যেখানে
শিশির ধোয় কাব্য সুন্দর তোমার পাপ্র ত্যেকমাত্রায়।

বাবার প্রত্যেকটা ফেরার সাথে ঘামের গন্ধ থাকে ক্লান্তি থাকে
অচিরাৎ তা আমার ঘুম অবধি পৌঁছে যায় অনায়সে
ঘুম যখন টুটে যায়; বাবা তখন ভোরের কাক হয়ে আকাশে
আমি হয়ে যাই লালা ঠোটা টিয়া!

ইচ্ছে ছিল তোমাকে আকাশ দেবো জ্যোৎস্না রাতে নক্ষত্র সমেত
জেগে যাবে সারা শহর, লোক-লোকারন্যে হয়ে যাবে সমাবেশ।
গত বছরের জমানো সঞ্চয়ে কিনে দেবো বঙ্গোপসাগর
স্বপ্ন সাধে, সৃষ্টি সুখে সাজিয়ে তুলবো ভালোবাসার ঘর।

দিনের সকল ক্লান্তি ভুলে
আমি একটু শান্তি খুঁজি –
অন্ধকারে ।
সকল ব্যথা মনের কালি
ঝরে পড়ে অশ্রু হয়ে ।

আজও নীল শরীরে স্বপ্নরা খেলে বেড়ায়....
অবহেলার নষ্ট চাঁদ ঠিকরে পড়ে
দুঃসহ খালি থালার কিনারে।
শত বেদনার খেলাঘরে বাসনার
ফুটো ছাদে শ্রাবণের মেঘেরা
ডাক দিয়ে যায়....

পূজার বন্ধে বাড়ী চলে এলাম। তফিজ মিয়া ভাইও তাঁর ছেলেদেরকে নিয়ে বাড়ী এলেন, মোজাহারও এলো। সকলেরই বন্ধ হয়েছিল। তফিজ মিয়া ভাই তাঁর ছেলেদেরকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন, তাঁর স্ত্রী থাকতেন বাড়ীতে।

মন-মস্তিষ্ক-স্নায়ুতে,ইচ্ছা-স্বপ্ন-সাধনার বসবাস,
অব্যক্ত ভাষা প্রায়ই,মনের নদীতেই ভাসতে থাকে,
হায়রে জোয়ার কবে আসবি তুই?
ভালোবাসার এতো মায়াজাল ছড়ানো,দিবা রাত্রির প্রাণে,

চোখ বন্ধ করলে আমার সব সময় কেবল নিলা আশরাফ ভাই আর মাসুদের ছবিটাই ভেসে ওঠে।মেয়েটা এখন ও আমার দরজা বন্ধ করেই আছে।বড় অভিমানী মেয়ে আমার।কিভাবে দেব ওর প্রশ্নের জবাব?