আমি খুঁজে ফিরি গভীরতা,
আকাশের, বাতাসের, সোনালি ঊষার

পিতা বগলে ধরে উঁচিয়ে ধরেছিল উর্ধ্বপানে শিশুটিকে
আমি দেখেছিলাম সূর্যের কিরণ শিশুটির উপর পড়ে
শিশুটিকে যেন অবিকল এক্সরে পেপার মতো দেখা যাচ্ছে
শিশুর পাতলা বুকের পাঁজরের হাড়গুলো গুনা যাচ্ছিল।

আদিম গন্ধ নিয়ে উড়ে যায় চিল
জলজ বাতাসে
ডানা ঝাপটায়

কাছে কাছে থাকলেই কি কাছাকাছি হওয়া যায়
চোখে চোখ রাখলেই কি ভালোবাসা হয়ে যায়
হৃদয়ের কথা হৃদয় শুনলে
হৃদয়ের কথা হৃদয় জানলে

হৃদয় আমার অনাথ প্রফুল্লতায় কাতর
থমকে পড়ে আজ সে বোধ হয় পাথর
রবিনহুডের হাতকাটা জামা ছিল আমাদের ক্লাশের নবী’র
ব্যথাচেতন খামখেয়ালি অশরীরি আত্না স্মৃতি জাগায় গভীর।

ধ্বনি, বর্ণ ও শব্দেরা যদি নদী হতো, তাহলে
সে জলে সাঁতরে যেতাম; হয়ত পেলেও পেয়ে
যেতাম একটি সার্থক বাক্য; আকাংখা, আসক্তি
আর যোগ্যতা!

আমি তোমায় বিষাক্ত এক সাপের মত
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নেবো..
তোমার হৃদয় অদৃশ্য এক বিষের জ্বালায়
টইটুম্বুর ভরিয়ে দেবো!

রাজাকারের খুন ধর্ষন লুটতরাজ থেকেও ভয়ঙ্কর

দেশাত্ববোধর গভীরতা থেকেও দূর্নীতির মূল শেকড়

দেশের আনাচে কানাচের গভীরে গেড়ে যাচ্ছে নিয়মেই,

এ কোন নিকস অমানিশায় পথ খুঁজে খুঁজে
এতো ক্লান্ত আমি ?
এ কোন কূম্ভীপাকে জ্বলে জ্বলে এক আয়ুস্কাল
এতোটা হলাম ছাই ?

আমি এখনো আমার পিতার সামনে দাঁড়াতে পারিনা
অহেতুক আতংক সর্বএ আমাকে গ্রাস করে ফেলে
থেতলে দেয় আমার

আচ্ছা দাদু,আমার মা নাকি আমার থেকে অনেক বেশি সুন্দর ছিল?
সে আর বলতে হয় রে,তোর মায়ের লাল টকটকে রং দেখে মনে হতো,
এ যেন বিজয়ার দিন,মা দূর্গার সিতির লাল টকটকে সিদূর।

প্রেম আসে- একাকীত্বের পায়ে পায়ে,
একলা ঈশ্বর একারণেই হয়তো
এত প্রেমপাগল।

আমি কা‌রোর নই কেউ আমার নয়,
পর‌মের ত‌রে আমার জীবন এই‌তো অনুনয়।

ইলিশ মাছ তুমি খুব ভালবাসতে,
শেষ হয়েছে ইলিশের দিন গোনা
এ যুগের ইলিশ হ’ল কাটা পোনা ।

আমার না খুব একা একা লাগে
কেমন কান্না কান্না পায়
অকারণেই মন খারাপ---