যার স্বপ্নগুলো আজো আমি
এঁকে রেখেছি হৃদয়ের ক্যানভাসে
ভূতো হয়ে যাওয়া ভালোবাসার
সেই রঙ তুলি দিয়ে ॥

আমি শূন্যতাই ঘুরি আর তোমার মন মজুত,
আমার অন্তরে ভ্রান্তির সমাহার অযুত।
কাঠ পেন্সিল দিয়ে মুছে ফেলতে চায়,
ছোট্ট বেলার পাঠশালার শিশুদের ন্যায়।

চলে গেছ তুমি।।
মানুষ চলে যেতে যেতে একবার হলেও ফিরে তাকায়
নস্টালজিয়ায়
তুমি তা-ও করলে না।

চাকরিতে আমি, ভর্তিতে আমি
আমি যে গোরুর হাটে,
সেবালয়ে আমি, দেবালয়ে আমি
আমি থাকি পথে-ঘাটে।

সুখ নেই, চোখের শিরায় ঢেলে দাও বিষাদের কথামালা
পুরাণ ঘেঁটে দেখেছি কষ্ট এলে আর কেউ মনে রাখে না।

যে বা যারা আজ আমাদের
তুললো মাথা উর্ধ্বে;
আমরা তাদের দিচ্ছি গালি
বলছি, "ওরে ছোড় দে!"

দুচোখে হাজারো প্রশ্নে চোখ ছলছল করছে
বাবা আমার খারাপ মানুষ নয়...!
জাতি গড়ার সফল যন্ত্র লোকে তারে কয়
সে জাতির মুক্ত বাতাস ফেরাতে
করেছে নিজের অঙ্গ ক্ষয়,

হাসুনাহানা গাছটি সযত্নে
লাগিয়ে রেখেছিলাম তোমার জন্যে
তোমার মেঘ ওঠা চুলে ফুলশয্যার রাতে
গুজে দেব বলে

চোখের সামনে কখনো সমুদ্র, কুহক, গ্লানি
কখনো যেনো সীমাহীন আকাশের হাতছানি..
আমরা ভেসে বেড়াই ইলোশন জগতে আর
অদৃশ্য ঘৃণ্য জীবনে ডুবে কেটে যাই সাঁতার।

আমাদের জতুগৃহে আজো জড়াজড়ি বাস করে
ঘৃণা আর ভালোবাসা,
তৈরি হয় মিঠে-কড়া অষ্টব্যঞ্জন।
তুমি আমি নিমিত্ত কেবল...

প্রেম-ঘৃণা জুটি বিনা কিছু নয়
সৃষ্টির মূলে প্রেমই যদি রয়
লয় জেনো তবে ঘৃণাতেই হয়
তাই ঘৃণা থাক লয়ের কারণে
হিংসা কিংবা ধ্বংসের রণে
বাকি সবই হবে প্রেম মন্থনে
হবে উদ্বায়ু ঘৃণা প্রেমেরই কারণে

যানি আমি যানি বাবু,
আমার কপাল কালো।
জন্ম দিয়ে মা,বাপে তাই,
ডাষ্টবিনেই ফেলে গেলো।

তুমি জানতো আমি ঘৃণা করি চমচম
তাই ঘৃণা ভরে খেয়ে ওদের করে ফেলেছি হজম ।।

হাত সরিও না চিবুকের থেকে
এই ছবি বুকে পুরে
নির্ঘুম কাটাবো আজ রাত
নির্ঘুম কাটাবো লক্ষ রাত।

মৃত্যুর মহাসমুদ্র পরিমাণ তৃষ্ণা জাগাও আর,
নাসিকাগ্রে নিয়ে যাও অত্যাচারী সব প্রাণ।
অতঃপর, ভরিয়ে তোল সমস্থ অক্সিজেন, বিষাক্ত হাইড্রোজেনে।
আর যন্ত্রণা কাতর করে তোল
মৃত্যু কষ্ঠের হাহুতাসে।