আমি শূন্যতাই ঘুরি আর তোমার মন মজুত,
আমার অন্তরে ভ্রান্তির সমাহার অযুত।
কাঠ পেন্সিল দিয়ে মুছে ফেলতে চায়,
ছোট্ট বেলার পাঠশালার শিশুদের ন্যায়।

পরী,অনেকটা পথ পেরিয়ে আজ আমি
তোমার চেনা শহরের রাস্তায়।
যে চোখের চাহনিতে
কোন বখাটে কবি,হারিয়ে ছিল তার সমস্ত কবিতার পংক্তি।

সুখ নেই, চোখের শিরায় ঢেলে দাও বিষাদের কথামালা
পুরাণ ঘেঁটে দেখেছি কষ্ট এলে আর কেউ মনে রাখে না।

ছি ছি আবারও এসেছ ?
কতবার বলেছি আসবে না কাছে
ওই দুর দিয়ে চলে যাবে আমার দৃষ্টির বাইরে।

আর এখন.....
মৃত্যুই আমার সব থেকে কাছের বন্ধু।
মৃত্যুর সাথে আমার গলায় গলায় ভাব।
রাতে এখন আর একা একা ঘুমাতে ভয় লাগে না;
বরং অনেক ভালো লাগে।
চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় আমি আমার সবথেকে প্রিয় জায়গা,
আমার কবরের ভেতরে।
আর আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে আমার সবথেকে কাছের বন্ধু,
মৃত্যু.....

জেলখানা এমনিতেই তো ভর্তি ,
ওখানে আরো মানুষ রাখলে
ওটাই তখন একটা দেশে পরিণত হবে ,
ওখান থেকে তখন স্লোগান আসবে,

চাকরিতে আমি, ভর্তিতে আমি
আমি যে গোরুর হাটে,
সেবালয়ে আমি, দেবালয়ে আমি
আমি থাকি পথে-ঘাটে।

দুচোখে হাজারো প্রশ্নে চোখ ছলছল করছে
বাবা আমার খারাপ মানুষ নয়...!
জাতি গড়ার সফল যন্ত্র লোকে তারে কয়
সে জাতির মুক্ত বাতাস ফেরাতে
করেছে নিজের অঙ্গ ক্ষয়,

এদেশের বুকে জন্ম নিয়ে
এদেশের শত্রু হইয়ো না
চাপানো আগুন বুক ভঁরা ব্যাথা
ব্যাকত করে,দাবিয়ে নিজেকে রেখোনা

সমাজ মানুষের ঘৃণার বলি যদি করো
মৃত্যুর বিভীষণ টেনে আনো অবুঝ যন্ত্রে
তবে অপেক্ষায় থেকো
স্বর্ণাঙ্কিত স্বর্গদ্বারে অপেক্ষায় থেকো
নরক যাত্রী হয়ে যাবার পথে
দেখা হবে ঘৃণার সাথে ।।।

যার স্বপ্নগুলো আজো আমি
এঁকে রেখেছি হৃদয়ের ক্যানভাসে
ভূতো হয়ে যাওয়া ভালোবাসার
সেই রঙ তুলি দিয়ে ॥

তুমি আকাশ স্পর্শ করো
তোমার খ্যাতি(!) ছাড়াক সীমানা

হয়তো আমি তোমার শত্রু গোছের কেউ
হয়তো বন্ধু ..
হয়তো তোমাকে খুন করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত
হয়তোবা অন্যকিছু ..
আমি জ্বিন-ভূত বা কোন জংলি পশু ,
যে আড়ালে শিকার ধরতে খাপ মেরে বসে থাকে ..

তোমার চোখে করুনা দেখি যখন
নিজের উপর ই আমার ঘৃণা হয়,
এই তুমি ই ছিলে আমার সেই জন
এতো নির্বিকার মানুষ কি করে রয় ?

যে বা যারা আজ আমাদের
তুললো মাথা উর্ধ্বে;
আমরা তাদের দিচ্ছি গালি
বলছি, "ওরে ছোড় দে!"