তোমাকে করে গেছি বিশ্বাস
তার থেকে বড়ো কথা কই;
ওই মনে নিত্য বসবাস
চোখের পাতায় থই থই।

অন্ধ আমি,অন্ধ জগত্,অন্ধ বিশ্ব বাসি,
অন্ধত্বের চশমা চোখে হাসছি বদের হাসি,
অন্ধ চোখে আঁধার মাঝে বাজায় কালো বাঁশি,
বড্ড কালো আঁধার মাঝে কোন সে সর্বনাশী ।

যে মানুষটির জন্য তার অপেক্ষা
হতে পারে সে বোঝেনা ও দেখেনা।
প্রতি রাতে ওর বাসনা একটি প্রেমের

চোখের অন্ধত্ব সে তো তেমন -একটা
কিছু নয় আজকাল,
চিকিৎসায় হয়তো একদিন সেরে যাবে
এই পৃথিবীর ব্যাধি,

অন্ধের জন্য এ রুপ যারা
দেখতে নাহি পায়,
খোদার নেয়ামত তবুও তারা
মিষ্টি সুরে গায়।

বিতায় ঠিক আগুন লেগেছে কবিতা হয়েছে স্বার্থলোভ।
কবিতা বিষাক্ত আগুনে পুড়ে হয়েছে ছাই অথবা কবিতার গায়ে আগুন লেগেছে।
কবিতায় ঠিক আগুন লেগেছে কচুরিপানার হাতড়ে বেড়ানো মুক্তো খোঁজা অন্ধ দর্শন।

জীবন দিয়ে কেনা হল
স্বাধীনতার হাসি,
কাঁটা তারের বেড়ায় হল
ফেলানিদের ফাঁসি।

অজ্ঞানতায় অন্ধ চতুর্দিকে ঘোরে
ক্ষমতার লোভে যষ্টি ঘোরায় প্রহসনে মাতে
শাসনে মগ্ন আনন্দে আত্মহারা।

মন
যখন
নির্জন
কোন রাস্তার মতন,
সামনে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা এক একটা
গাড়ি যেন এক একটা অতীত, তাদের পেছনে
জ্বলন্ত চোখের মতন বাতিগুলি যেন চোখ টিপে,

উনুনে হাঁড়ি বসাবার চাল নেই,কিন্তু উদর রাক্ষস
খাদ্য চাই তার।তিন-তিনটে সন্তান অনাহারে
কেঁদে কেঁদে অবশেষে পেরেশোন।জরাজীর্ণ
সংসার রাহেলার,এতটুকু খাব্ নেই।

আমি অন্ধ কপাল মন্দ
নেই দুটি আমার চোখ
কাজ করতে পারি না পথ বন্ধ
এই আমার মনের শোক

হে মহামানব সভ্যতার মানুষ, আমি ধরণীর বুকে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি, কোন ধার্মিক হয়ে নয়।
আমি বেহেস্ত, স্বর্গ চাই না, আমি চাই ধরণীর বুকে মানুষকে ভালবাসতে, ভালবাসার গান বলতে।
আমি দেখেছি কত অসাহায় প্রেম ঝড়ে গেছে

মানুষ খুঁজি এই শহরে, খুঁজে বেড়াই রাত-দুপুরে।
মানুষ বুঝি লুকিয়ে থাকে, তাইতো খুঁজছি আপনারে ।

আশপাশে মানুষ দেখি না, দু'পায়া নানান প্রানী দেখি।
অভিনয়ে ব্যস্ত চারদিক, সমাজ-সংসার সব মেকি।

যদি বন্ধ হয় মৃত্যু উপত্যকা,
যদি বন্ধ হয় জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ,
যদি বন্ধ হয় রক্তস্নান,
যদি বন্ধ হয় বিস্তীর্ণ শ্মশান,
সেদিন জনতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে বলবো -
আমি 'স্বাধীন'

দু্:খ ভূলানোর মহাঔষধ,
বাবার মত নাই।
সৃতীভরা আকাশ সমান,
বাবার মত কই!