অনেকদিন পর কথা হলো তোমার সাথে
প্রতিক্ষণ যে কন্ঠের অপেক্ষা থাকি
আজ হুট করে সে কন্ঠ শুনলাম!
তুমি বললে, কি অবস্থা?

শকুনের চোঁখে সুদূর অজানার দিকে তাকিয়ে
ইচ্ছেগুলোকে হত্যা করে খুনি হচ্ছি প্রতিদিন
জেনে আসা সবকিছু ধরে রাখার ক্ষমতা হারিয়েছি তখনই
তবু তৃষ্ণার্ত মন নিয়ে ক্লান্ত পায়ে হেটে যাচ্ছি বিরতিহীন।

অন্ধের জন্য এ রুপ যারা
দেখতে নাহি পায়,
খোদার নেয়ামত তবুও তারা
মিষ্টি সুরে গায়।

আমার বাগানে-
গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছ তুমি
ভেবে, বারে বারে ভুল করি।
এ যাতনা সয়ে না প্রাণে
তবু যাতনারে জড়ায়ে ধরি।

লোকে সদা ব্যর্থ ছাড়তে স্বার্থ
কেউ বলে কিছু নয় অর্থই অনর্থ ।
ক্ষুধার্তের হাহাকার রোগীর চিৎকার
তবু নেশা গাড়ি বাড়ি এ কেমন ডাক্তার ।
মুখোশের আড়ালে রমরমা ব্যবসা
নেতা হাতে ছাতা নিয়ে মাদকের বর্ষা ।

অজ্ঞানতায় অন্ধ চতুর্দিকে ঘোরে
ক্ষমতার লোভে যষ্টি ঘোরায় প্রহসনে মাতে
শাসনে মগ্ন আনন্দে আত্মহারা।

আমাদের এই নিয়নবাতির শহরে
কি ভীষণ গ্লানি নিয়ে ডুবে যায় অষ্টাদশী চাঁদ!
অন্ধত্বের গভীরতায় দেখা যায়না ওই ফুটপাত- অলিগলি অথবা চারপাশ।
যেখানে নেড়িকুত্তাগুলো খুবলে খায় কোনো বিপন্ন নারীর নগ্নপ্রায় শরীর!

সত্যের ফুল যে ফুটেছে চিরদিন,
আজও ফোটে তাই সত্যফুল রাত-দিন,
তবুও দেখলে না সেই ফুল শুধু তুমি!
সত্যফুল ফোটে চিরকাল-নিশিদিন।

জগত জুড়ে চলছে দ্বন্ধ আর দ্বন্ধ,
কেউ কি ভাবে কেনই এতো দ্বন্ধ?
যে দ্বন্ধের মূলে আছে জ্ঞানহীন ব্যক্তি,
বুঝতে চায় না যারা কোনোরূপ যুক্তি।

অষ্টাদশদিবস যুদ্ধবৃতান্ত শুনি
শোকভারে অপেক্ষিত ধৃতরাষ্ট্র মুনি।
বাহুমধ্যে করিলেন শক্তির সঞ্চয়;
কাঙিক্ষত আকাঙ্খা খণ্ডিব বাহুদ্বয়-

মানব,
তুমি বলেছিলে ভালোবাসা মানে
প্রেম আর বিশ্বাসে মোড়ানো বন্ধুত্ব..
আমার মনে হয় ভালবাসা হলো
অদৃশ্য আলোর মাঝে দৃশ্যমান অন্ধত্ব!

আমি কি অন্ধ ! নাকি এই মন হয়ে যেতেচায় ?
হওয়াটাই বোধ হয় ছিলো ভালো , বিবেক যে কুড়ে কুড়ে খায়।
চারি দিকে মিথ্যাচার অসততা আর কর্তব্যে অবহেলা
নাহি প্রকৃত ভালোবাসা চলছে নির্মম প্রতারণার খেলা।

বাবা-মার হাত ধরে হাটতে শিখেছি,
তাদের চোখের আলো দিয়ে পথ চলেছি।
সব পেয়েও যেন আমি কিছুই পেলাম না,
চক্ষু যে যার নেই তো তার সবই অজানা।

চোখের অন্ধত্ব সে তো তেমন -একটা
কিছু নয় আজকাল,
চিকিৎসায় হয়তো একদিন সেরে যাবে
এই পৃথিবীর ব্যাধি,

অন্ধ আমার দুচোখ জুড়ে আবার আলো ফুটল কি?
অবশ দেহের চারদিকে ফের আলোর পরশ জুটল কি?
মৃত্যু যে ওই নাড়ছে কড়া দুয়ার ধরে, শুনতে পাই—
চতুর্দিকে হাতড়ে মরি, চৌদিকে নেই কেউ কোথায়!