তুমি মেঘ হলে আমি
হব এক ফোঁটা জল,
তুমি কালবৈশাখী হলে
আমি হব দখিনা হাওয়া ।

তুমি ছিলে আমার বর্ণিল স্বপ্নে
তুমি ছিলে আমার দৃড় সংকল্পে
তুমি ছিলে আমার প্রাত্যহিক পথচলায়
তুমি ছিলে আমার নির্ভিক চিত্তে ।।

পাগলা কুকুর করছে তাড়া
গ্রাম ধরেছে ঘিরে
পাচ্ছে যাকে কামড়ে দিয়ে
রক্ত ঝরায় চিরে

যতই তোমাকে বোঝাই, এর নাম ‘কষ্ট’ নয়;
এ হলো আনন্দ ভ্রমন – সহজ যাতায়াত শুধু নয়,
এ হলো তোমার কাছে যাওয়া – যাতনা সারানো !
এতো কেবল একটি টিকেট আর চোখ বুজে
জানালার গ্লাস ঠেলে শ্যামলীর সিটে বসা নয় ।

মেয়েরা সুন্দরগুলো আঁচলে নিত;আর ছেলেরা রাখত বুক পকেটে
শীতের সকালে আড্ডা চলতো পিঠা উৎসবে,নরম রোদে অথবা
সুন্দর গায়ে মাখতো বিকেলে গোল হয়ে বসা আড্ডার মাঝে আগুনের হল্কায়।

প্রছন্ন গুধুলির দ্বার প্রান্তে নিভৃতে দন্ডায়মান
দেখছি কত শত বছরের মেঘনার এ বহমান।

কত শত ধ্বংসের মূলে তুমি, করেছ বিচরণ
কত সংস্কৃতি রেখেছ তুমার বুকে করেছ প্রণয়ন।

কাচের ঢিঁবির মতো পরাগের রেণু। ভ্রমর ছোঁবে সে ফুল বেশেখের বেণু
সেদিন ঘরের পাশে বসে আছে মেঘবতি আকাশের কেশ। জলের আদলে রেখে
কুহুকর্ণ চোখ,
বিভ্রমে নদী ভাঙে, জেলেপাড়া মেতে ওঠে আশ্বিনের দেশ।

মা, দেখো কি বিশাল সমুদ্র!
পরের জন্মে আমি কিন্তু রাশি রাশি জলের ঢেউ হবো!
ভাসবো- ভাসাবো তীর থেকে তীরে।
মা, দেখো কি ভীষণ নীল আকাশ!

একাএকাদিন কেটে যায়
বন্ধু তোমারঅপেক্ষায়
কবেপাবো তোমার দেখা
সেইআশায়দিন যে যায়।

প্রতীক্ষা যদি হয় বিষাক্ত নীল,
যদি টুকরো কাচের উপর পা রেখে এক যুগ
দাঁড়িয়েও থাকি,
নোনা রক্তিম জলে যদি প্লাবন হয় পৃথিবীর বুক,
আমি থাকবো তার জন্য,সে যদি আমার প্রাণের প্রিয়,

পাখির কলরব ঘেরা সকালের কুহেলির বাগানে
যে মুখচ্ছবি সূর্যের আলোয়
ভেসে ছিল চোখের সম্মুখে।

আজ আকাঙ্খায় বসতি আমার
স্মৃতিগুলো করছে খালি নড়াচড়া
প্রতীক্ষার প্রহর বাড়ছে তো বাড়ছেই
জীবনটা কি শুধু অতৃপ্তিতে ভরা।

সারাটি দিন গেল চলে
আসবে কখন বাবা?
সেই যে গেছে সকাল বেলায়
আর হয়নিতো দেখা!
সন্ধ্যা হলে আসবে যখন

অতসী ফুলের রঙে রঙে রাঙাবো
তোমার নিভূত নির্জনসকাল।

সোনালী আবেশে মিশে যাবে
দু’জনার অবিমিশ্র ভালবাসার
মমতায় জড়ানো পড়ন্ত বিকেল।

অপেক্ষার রাত আর কাটে না ।
বসে আছি চাঁদনি রাতের আলোয়,
খোলা আকাশের নিচে ।
কখন আসবে গগনের বুক চিড়ে,