মাঘ মাসের এক বিকালে মতিলাল ঘরের দাওয়ায় বসে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের সাথে চুটকির বিয়ের কথা জল্পনা-কল্পনা করছিল। হঠাৎ দেখল এলোচুলে একটি পনের-ষোল বছরের নতুন বউ বস্তির উঠোনে এসে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেল।

মাথায় তার নিখুত সিঁথি, দুপাশে নারিকেল তেলে চিকচিক করা মসৃণ চুল আর তার পেছনে শেষ প্রান্তে অনিন্দ্য খোঁপা

আমি এক সর্বময়ী শক্তিধর রাজা ,
কিন্তু আমি এগোতে পারি মাত্র একঘর ,
আমার শক্তি কিছু নেই আমায় পঙ্গু করে
রেখেছে।

রাত্রি এখন মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে পড়েছে, অনেক দূর থেকে একদঙ্গল শেয়ালের চিৎকার ভেসে আসছে থেমে-থেমে এবং তার সঙ্গে গৃহস্থবাড়ির কুকুরগুলোও কেমন বির্ভষভাবে টানাটানা ডেকে যাচ্ছে,

অন্ধকারে থাকতে আমার ভয় লাগে।খুব মনে পড়ে ছোট বেলায় অন্ধকারে কেমন জড়সড় হয়ে যেতাম, চিৎকার করে উঠতাম।আব্বু

ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে আবার ছোড়দাকে ফিসফিসিয়ে বললাম- "বল তো, পরগাছা কাকে বলে?" ও বলল-"যে আমার মা-বাবার বাড়িতে থাকে, আমাদের দেওয়া পোশাক পড়ে অথচ আমাদের না দিয়ে একা একা রোজার খাবার খায়, একাই ভালো রেসাল্ট করে, তাকে পরগাছা বলে।" শেষে ফেরার পথে আমরা তিনজনে বুদ্ধি করলাম আফিয়াকে আচ্ছা করে জব্দ করব।

একটু পরেই দেখতে পাবি কারন। রাত যখন মধ্য হয়েছে আর আজ যেহেতু আমাবস্যা, অবশ্যই দেখা হবে। তবে ভয় পাবি না একটুও। মনে সাহস রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকবি।

পৃথিবীর বুকে কুলা
ময়দান। তাদের মাথার
উপরে চাঁদ হাজার
হাজার তাঁরা জ্বলছে।

পায়ের সাথে ধাক্কা লেগে গয়নার ব্যাগ নালায় টইটম্বুর। সখিনার এক পা ক্ষেতের আলে অন্যটা নালার জলে। ওদের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে ঠাণ্ডা হাওয়া।
‘লক্ষ্মী সোনা, আমার সাথে সাথে বলো—আর কোনও দিন অনুরোধ করব না।’

শেষ বিকেল। বেলা তিনটা বাজে।
শীতটা আগেভাগেই ঝাঁকিয়ে বসেছে। করিমন বিবি বাড়ীর পেছনের বিলে পিটটা একটু তাতিয়ে নিতে বসেছে। রোদটা ভালোই লাগছে। খোলা পিট।

১২ অগাস্ট ২০০৯ সালের ছোট্ট একটা স্মৃতি। সেদিন সন্ধ্যার আকাশে কখনো লাল মেঘের বিচরণ মনটাকে উৎফুল্ল করে তোলে , কৌতূহলী চাঁদনী তখনও ঘুমের রাজ্য থেকে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে।

আজিজের কবরে রেডক্রসের একটি কাগজের ফলকে লেখা “ Anonymous Baby rescued from mount shinjar.He was 4 years old”.

সেই মরা মুখ, আর ভালো লাগে না, নিজেই ক্ষেপে ওঠে, কিন্তু একজন মোছাদ্দেক কামলা কি বা করতে পারে ?

তার মুখটা ম্লান দেখাল । কিছুক্ষণ পর বলল, জনি, বশির, নাসির সবাইকে বলেছি। তারা কেউ আসেনি । একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল শাব্বির ।

অন্যমনস্ক হয়ে চুলায় বসানো গরম কেটলীতে হাত দিয়ে চমকে উঠলো তিতির। ওঘর থেকে সবার তুমুল আড্ডা কানে আসছে,