শরতের এক পশলা বৃষ্টির মতো
কেউ একদিন আমায় ভিজিয়ে দিয়েছিল
ভালবাসার গোধূলি রঙে ॥

ছোটনের খুব ইচ্ছা করে শুধু একবার, শুধু একবার প্রিয় মুখটা পিছনে তাকিয়ে দেখে। ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে তাকে বলে, রাইসা আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। এতটা আমি নিজেকেও বাসি না।
কিন্তু ছোটন ফেরে না।

সেই মরা মুখ, আর ভালো লাগে না, নিজেই ক্ষেপে ওঠে, কিন্তু একজন মোছাদ্দেক কামলা কি বা করতে পারে ?

"সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল..."

পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে
স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে
ড্রয়িংরুমে রাখা বাকসোতে বন্দী!

মানুষের শরীর তার নিজ দায়িত্বে ব্যাকটিরিয়া ভাইরাস আর কঠিন সব জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে অবিরাম। মানুষের মন লোভ লালসার কাছে পরাজিত হয় অনবরত। সাদা মনে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত শক্তির যোগান থাকে।

কপাল ভিজে উঠেছে। শ্বাস বড় হতে হতে এখন ছোট হওয়ার দিকে এক পা দু পা করে আগাচ্ছে।

শেষ বিকেল। বেলা তিনটা বাজে।
শীতটা আগেভাগেই ঝাঁকিয়ে বসেছে। করিমন বিবি বাড়ীর পেছনের বিলে পিটটা একটু তাতিয়ে নিতে বসেছে। রোদটা ভালোই লাগছে। খোলা পিট।

ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে আবার ছোড়দাকে ফিসফিসিয়ে বললাম- "বল তো, পরগাছা কাকে বলে?" ও বলল-"যে আমার মা-বাবার বাড়িতে থাকে, আমাদের দেওয়া পোশাক পড়ে অথচ আমাদের না দিয়ে একা একা রোজার খাবার খায়, একাই ভালো রেসাল্ট করে, তাকে পরগাছা বলে।" শেষে ফেরার পথে আমরা তিনজনে বুদ্ধি করলাম আফিয়াকে আচ্ছা করে জব্দ করব।

যে ভালোবাসা থেকে অসাম্যের প্রবল প্রাচীর ভেঙে যাবে। সবাই বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার পাবে। শেষরাতে আভা পৃথিবীকে জাগিয়ে তুলছে। সুগন্ধি ফুলের বুকে ভ্রমরগুলো গুণগুণ করে গান গাইছে।

একটা ছায়া ক্লান্ত হয়ে অপর ছায়ার উপর থেকে নেমে আসে। বাউরি বাতাসে উষ্ণতা পাক খেতে খেতে ঘন হয়... শ্রান্তিতে ভেঙ্গে পড়ে সঙ্গিনীর ........

আমি তখন নটরডেম কলেজের ছাত্র। দেশের সেরা কলেজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে খ্যাত। দেশের সেরা সেরা ছাত্রদের মাঝে নিজেকে কখনো কখনো ভীষণ অসহায় মনে হতো।

গ্রাম ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরে আসার দুই বছর না ঘুরতেই পঞ্চমবারের মতো বাসা বদলে ফেলেছিলেন আব্বা ।

বিড়াল কিন্তু সাগরের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে একদিন ডাঙায় এসে পৌঁছাল । দিন দশেকের আনাহারে মৃতপ্রায় অবস্থা । এই কদিনে সে যত কষ্ট পেয়েছে ততই বেড়েছে ইঁদুরের প্রতি তার রাগ আর ঘৃণা ।

গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়ার পর একজন বৃদ্ধ টাইপের অফিসার আমার দিকে এগিয়ে এলেন ভিতরে নিতে ।
আপনি এখন থেকে আমাদের এখানকার মেহমান , আপনার এরিয়ার অনেককেই পেয়ে যাবেন এখানে আশা করি ,সময় ভালো কাটবে । লান্চ হয়েছে ?
নাহ !
শেষ কখন খেয়েছেন ?
কাল রাত ৫ টায় ।