উড়ো উড়ো দিন রাত্রি, শুকনো পাতার মত।
মনের পাখি থমকে কাঁদে, ছিল অনেক নৃত্যরত।
নিজের প্রতি বাড়ছে দ্বিধা, বয়েস অনেক হলো।
অমন মনে কে লোকালো, একটু আড়াল খোলো।
দ্বিধা বিষয়ক কবিতা কি? দ্বিধা বিষয়ক কবিতা সম্পর্কে জানতে হলে জানতে হবে, দ্বিধা কি? দ্বিধা কে অভিধানে খুঁজতে গেলে পাওয়া যায়: দ্বিমত, সংশয়। কিন্তু 'দ্বিধা' অর্থ কি এর মধ্যে সীমাবদ্ধ? অপছন্দ করলেও, জীবনে অসংখ্যবার দ্বিধার মুখোমুখি হতে হয়। স্টপওয়াচ টিকটিক করে শেষ মুহূর্তের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে, ভয়ার্ত চেহারায় ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় কিন্তু ঠিক অপশন কোনটা তা বুঝে উঠা যায় না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কোনোটাই ছাড়তে মন চায় না, সব ধরে রাখতে চায় হাতের মুঠোয়, ভাবি বিপদ কাটিয়ে উঠা যাবে, শেষ মুহূর্তে ‘মিরাকিউলাস’ কিছু একটা হবে। কিন্তু শেষ অবধি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সব ছাড়তে হয় এবং ছেড়ে লাভ হয় না। দ্বিধা দোষের কিছু না, কিন্তু মাঝে মাঝে এ নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়! মানব জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে দ্বিধা - এ জন্য হয়ত, দ্বিধা নিয়ে হয় গল্প, রচিত হয় কবিতা। গল্পকবিতা ডট কমের কবিতার বিশাল সম্ভারে রয়েছে দুই বাংলার নবীন প্রবীণ লেখকদের লেখা নানা স্বাদের দ্বিধা বিষয়ক কবিতা - যা, পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়।
-
কবিতাদ্বিধাshopno aloঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
-
কবিতাএকটা স্লিপিং পিলহীন রাতবিজয় আহমেদঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
রাতটা নির্ঘুম-
বাহিরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির আন্দোলন বইছে।
জানালার কার্নিশে নেই কোনো পর্দার আঁচর।
অন্তরীক্ষ থেকে আঁছড়ে পরা আলোকঝটা
জানালার ভাঙা কাঁচ বেয়ে গৃহের অন্দরে
লুটাতেই আঁধারে মলীন হয়ে যাচ্ছে।
থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে ঘরের পুর্বদিকে
থাকা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিটা। -
কবিতাকোথায় গেলে একটু শান্তি পাবোসামিয়া ইতিঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
মন বিক্ষিপ্ত; অযাচিত লক্ষবিন্দু
প্রতিনিয়ত আঘাত; ঘাত_প্রতিঘাত,
অসহ্য হয়ে ওঠে বিন্দু বিন্দু করে
প্রত্যন্তকালের সময়ও।
আমি হাঁটি চলি কাজ করি
অথচ থেমে থাকি। -
কবিতাকুমড়ো ডগায় বিষাদ নামেতানজিলা ইয়াসমিনঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
শর্ত হল নীল জলের বুকে পা ফেলবো-
জলের বোতাম খুলতে হবে বাস্তবতায়;
যেন আঁচর না পড়ে এই জলের বুকে -
কবিতাদ্বিধার প্রাচীররায়হান মুশফিকঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
তুমি কি বোঝনা?
নাকি তুমিও দ্বিধার প্রাচীরে বন্ধি?
অপ্রকাশিত আবেগ দিয়ে তুমিও গোপনে ভালবাসো? -
কবিতাবিশ্ব বা প্রেয়সীসমাধিরঞ্জনঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
নন্দনকানন শূন্য সে, কন্টকাকীর্ণ হাত, অগ্নিবর্ণা গোলাপ
নিষ্কন্টক বৃন্ত রক্তাক্ত হাত অনর্গল অশ্রাব্য মাথায় অভিশাপ -
কবিতাঅভিমানখোরশেদুল আলমঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
আর কত ও পথে হাঁটবে ?
এবার ফিরো, গোধুলি থেকে চোখ ফিরিয়ে
ধুসর মাটি দেখো চিলের মতো।
তোমার অবর্তমানে সূর্য উঠতে খুব দেরি করে
দীর্ঘ রাতের শেষে আমার ঘুম ভাঙ্গে না, -
কবিতাবারীন্দ্রশিখর চৌধুরীঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
একদা প্রকৃতির বিরুপ আচরণে-এ ধরা
পড়লো মুসিবতে, যার নাম খরা। -
কবিতাতুমি আর তুমিদিপেশ সরকারঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
দিন যায়, রাত যায়।
কখনো প্রহর গুনে দেখেছ?
চাঁদ হাসে,চাঁদ কাঁদে।
রাত জেগে তার বিরহ খুঁজেছ?
নদীর জোয়ার,ভাঁটা।
কান পাতলে শুনতে পাও তার কান্না?
খসে পরা তাঁরা দেখে কার প্রর্থনারত!
কখনো জেনেছ সাগরে হৃদয় কেন এতো উত্তাল?
তুমি তো শুধু নিজেরটাই বোঝ। -
কবিতাদ্বিধামারুফ আহমেদ অন্তরঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
কত বছর অপেক্ষায় আমি
তোমায় শুধু খুঁজেছি
জনম জনম ধরে প্রিয়া ওগো
তোমায় ভালো বেসেছি। -
কবিতাএক কিশোরের জ্বলসে যাওয়া হৃদয়কবি এবং হিমুঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
তোমার কৈশোরে
কোন এক জলসায়,
অখ্যাত এক কিশোরের হৃদয় জ্বলসে গেল। -
কবিতাসাত বর্ষের বালকমহসীনুল ইসলাম আকাশঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
শত সহস্র কাজের ভিড়ে সামান্য অবসরে
পার্কে গিয়েছি সময়ক্ষেপণে দুই প্রহরের পরে।
চলতে পথে হঠাৎ করে পেছন ফিরে থামি,
সাত বর্ষের ছোট্ট বালক আমায় ধরল টানি। -
কবিতাভালোবাসি নাআবু সাঈদ সুইটঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
যাহা বলিব, সত্য বলিব
মিথ্য বলিব না
তোমাকে যে আর ভালোবাসি না -
কবিতারোগ ও রোগীদীপঙ্কর গোস্বামীঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
রোগ ও রোগী পড়ছিল না ধরা,
ভাগ্যিস ইতিমধ্যে আমি চোখের ডাক্তার
তুমিও দেখাতে এলে চোখ!
আবহাওয়ার পূর্বাভাস-জট কাটছে #
সংকোচের নিন্মচাপ সরিয়ে উড়ে যাচ্ছে দ্বিধার মেঘ। -
কবিতাতবুও আমার কোনো সংশয় নেইমোহসিনা বেগমঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
কোনো সংশয় নেই ভালোবাসা অথবা ঘৃণা
আমি কোনো রূপকথার গল্প বলছি না অমৃতের সন্তান;
এতোদিন পর ঘোড়ার ডিম পেয়েছি,
মাঙ্গলিক তপস্যা সত্ত্বেও কোমায় গেছে আমার
স্বপ্ন পুরাণ, মায়া মুকুর, স্মৃতি-বিস্মৃতি, যুগান্তরের
ঘূর্ণিপাক; বলতে পারো কেউ ঈশ্বরের পৃথিবী
এতো ছোট কেনো--------------?
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৪
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।