তার সাথে দেখা হল সময়ের কাঁটা বলছে প্রায় দশ বছর হয়ে গেলো। ঘড়ির কাঁটায় সময়টা হিসেব করলে দাঁড়ায় ৮৬৪০০ ঘণ্টা। এত তাড়াতাড়ি কিভাবে এতোটা সময় হারিয়ে ফেললাম??

১৯৫২ সালে বাঙালি জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। তাই বোঝা যায় ভাষা কত স্পর্শকাতর বিষয় হতে পারে মানুষের কাছে! আর এই

ছোট সেলটার এককোণায় দুহাঁটুকে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে গুঁটিসুটি মেরে বসে আছে রুবি। চোখে উদাস দৃষ্টি। চোখের কোণা থেকে গাল পর্যন্ত শুকিয়ে যাওয়া চোখের পানির সাদা দাগ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের (প্রথম-বর্ষ)-এৱ ছাত্ৰী ছিল নিতু।
সারাক্ষণ হৈ-চৈ হাসি-আনন্দ উল্লাস করে সময় কাটাতে পছন্দ করত

ভেতরে তোর মায়ের… ইয়ে শেষ হোক, ততক্ষণ পর্যন্ত চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক আমার সাথে, উইথ নো দুস্টামি…

সোনাইল গাছের আধো আলো আধো ছায়ার নীচে বসে বাহারি মানুষের আনাগোনা খুব ভালভাবে উপভোগ করছিল পড়ন্ত বেলা শেষে বৈশাখি মেলায়।

সিরাজের কথা শুনে রফিক ওরফে ডাকু রফিক তার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকে। সিরাজ যেন মিথ্যা বলছে।

রাজনীতি মানে আমরা বুঝি বোধয় বিশাল কিছু। সংগঠন,নেতা,অনেক সদস্য আর তাদের অধীনে আপামর জনতা।

বর্ষাকাল আসলেই তিন গাছ ভর্তি চালতা নিয়ে রাহেলা বেগম মহা ঝামেলায় পড়ে যান। এখানে চালতা ওখানে চালতা। সারা বাড়ি তখন চালতাময় হয়ে যায়।

প্রত্যেক বছর ঈদ-উল-আজহার দিন কোরবানি করা আমাদের পরিবারের জন্য অলিখিত সংবিধান। বিষয়টা এমন হয়ে গেছে যে টাকা না থাকলেও কোরবানি করতে হবে। আমি ছোট বেলায় কোরবানির পশুর পিছুপিছু ঘুরঘুর করতাম। আমার কাজ ছিল ছবি তোলা। এখন ছবি তুলি না; কাজ করি।

আমায় যখন পৃথিবী নামক ভূখণ্ডে স্লো মোশনে ল্যান্ড করানো হয় , মনে হল শক্ত কিছু পায়ের নিচে ঠেকছে । কালো কুচকুচে আঁধারে হতভম্ব আমি , বিব্রত এবং ভীত ! অনেকক্ষণ বাদে আমি আকাশ ও তারকারাজির দিকে তাকালাম।

রিয়াদ আম্মুর সাথে স্টেশনে এসেছে তার বড় আপুকে নেওয়ার জন্য ।
দুলাভাই ব্যাস্ত থাকাই খুলনা থেকে আপু একাই আসছে যশোরে ।
স্টেশনে অনেক্ষন থেকে অপেক্ষা করছে । এরই মধ্যে একটা মেয়ের সাথে তার বেশ চোখা-চোখি হয়েগেছে ,

আজ কতদিন হয়ে গেছে, তাই না? তিন বছর? চার বছর? নাকি এরও বেশি? আমার তো হিসাব রাখা হয়নি । তুমিও নিশ্চয়ই রাখনি?

দ্রুত নিঃশ্বাসের সাথে বুক উঠানামা করছে অস্বাভাবিকভাবে। তাকে দেখে লাগছে বাঘের তাড়া খেয়ে ছুটে পালানো কোন ত্রস্ত হরিণের মতো, বুঝি এখুনি এসে গেলো বাঘের নাগালে। ঘামে ভেজা মুখ ১০০ ওয়াটের বালবের আলোয় চকচক করছে। মনে হচ্ছে ছোট ছোট মুক্তোর দানা বিন্দু বিন্দু করে লাগানো আছে মুখের মাঝে।