আজ কতদিন হয়ে গেছে, তাই না? তিন বছর? চার বছর? নাকি এরও বেশি? আমার তো হিসাব রাখা হয়নি । তুমিও নিশ্চয়ই রাখনি?

ছুড়ে ফেল্লাম ছাতা
এই বংশদণ্ড, আর এক টুকরো ত্যানা… প্রতিবন্ধ
আমার আর আকাশের সম্পর্ক
বর্ষাধারা গায়ে বসলো, হয়ে অনুভূতির রংহীন বর্ষাতি।

ফোনটা ভাইব্রেট করেই চলেছে । স্ক্রিনের
দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি । হাত কাঁপছে । এত
দিন,এতবছর পর আবার সেই নাম্বার থেকে ফোন
এসেছে বিশ্বাস হচ্ছে না ।

দুই সপ্তাহ পূর্বে ডাক্তার বলে দিল যা খেতে চায় খেতে দিন। সব আশাই তখন উড়ে গেল আমার পরিবারের। তাদের সঙ্গে আমিও গলা মিলিয়ে বললাম ‘হ্যাঁ তোমাদের বউ সত্যিই খুব ভাল মেয়ে ছিল।’

মেয়েটাকে আমি একদম খেয়াল করতাম না, মেয়েটাকে মানে মিরাকে । প্রিয় খেলোয়াড় মেসি হওয়ায়, ফোনের প্যাটার্ন লকেও এম লিখে রেখেছিলাম

সূর্য যেমন নিয়ম করে পূর্ব আকাশে উঠতো। ঠিক তেমনি আমিও নিয়োম করে যেতাম সেই রাস্তার ধাওে, শুধু একটি আশায় এক নজর বিন্দু কে দেখার জন্য। কিন্তু কোন লাভ নেই আমার এ দেখা শুধু চোখের দেখা।

অফিসে হঠাৎ কাজের চাপ বেড়ে গেলো। সকাল বুঝতে পারলো আজ লাঞ্চ করতে একটু দেড়ি হবে । ঠিক তাই হলো। বিকালে কাজে মন বসাতে পাছিলো না। প্রিয় মোবাইলটা হাতে নিয়ে কাকে কল করবে ভেবে পাচ্ছে না।

আল্লাহর প্রেম-পরশের গভীর আঁধারভরা রাত্রির। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে, সাথে সুর লহরীর বিচ্ছেদ বেদনায় জ্যোৎস্নায় নগরের রাস্তা ও মহল্লাগুলোকে আলোকিত করেছে আর বিদ্যুৎ আলো যেন তার সাথে নব মিলন ঘটিয়ে সত্যের ও মহাজ্ঞানের রবকে খুঁজছে।

বর্ষাকাল আসলেই তিন গাছ ভর্তি চালতা নিয়ে রাহেলা বেগম মহা ঝামেলায় পড়ে যান। এখানে চালতা ওখানে চালতা। সারা বাড়ি তখন চালতাময় হয়ে যায়।

আমায় যখন পৃথিবী নামক ভূখণ্ডে স্লো মোশনে ল্যান্ড করানো হয় , মনে হল শক্ত কিছু পায়ের নিচে ঠেকছে । কালো কুচকুচে আঁধারে হতভম্ব আমি , বিব্রত এবং ভীত ! অনেকক্ষণ বাদে আমি আকাশ ও তারকারাজির দিকে তাকালাম।

নারী, রহস্যময়ী! একথাটা কী প্রতিষ্ঠীত সত্য? নাকি পুরুষের মুগ্ধ হƒদয়ের প্রণয় কাতর উপহাস? মুনি ঋৃষীরা বলেছেন নারী চরিতম দেবানঃ নঃ জান্তি। অর্থাত নারীর মন বা চরিত্র দেবতারাও জানেনা।

সোনাইল গাছের আধো আলো আধো ছায়ার নীচে বসে বাহারি মানুষের আনাগোনা খুব ভালভাবে উপভোগ করছিল পড়ন্ত বেলা শেষে বৈশাখি মেলায়।

রাজনীতি মানে আমরা বুঝি বোধয় বিশাল কিছু। সংগঠন,নেতা,অনেক সদস্য আর তাদের অধীনে আপামর জনতা।

তার সাথে দেখা হল সময়ের কাঁটা বলছে প্রায় দশ বছর হয়ে গেলো। ঘড়ির কাঁটায় সময়টা হিসেব করলে দাঁড়ায় ৮৬৪০০ ঘণ্টা। এত তাড়াতাড়ি কিভাবে এতোটা সময় হারিয়ে ফেললাম??