আচমকা ঘুম ভাঙ্গে
চিৎকার করে কাঁদি;
সর্বশান্তির ময়দান থেকে
তীরভূমি মৃত্যুর যাত্রী এখন।

গিরগিটি মরে শরমে , ‍নিজেদের পরজয় দেখে
রঙ পাল্টানোর খেলায় মানবকুল তাদেরকে হারিয়েছে।
মিথ্যাকে ধাওয়া করতে দেখিনা আজ সত্যকে
দুর্ভিক্ষে পড়ে সহিষ্ণুতা আজ কোমায় গিয়েছে।

কিছু সময়ের প্রাপ্তি, কিছু অনুভূতি, কিছু স্মৃতি,
কিছু বোধ, কিছু দ্বিধা, কিছু একান্ত আপন আলাপে
পূর্ণ করেছিলাম নিজেকে
সেই পূর্ণতার অভিশাপেরা ছাড়ছেনা পিছু।।

মৃতপ্রায় কিছু ফুলগাছ,
ধূলোপড়া পাতায় বৃষ্টির কিছু অপরিণত ফোটা-
শিল্প গড়েছে।
ভাঙ্গা জানালার ফাকা দিয়ে রংধনু এসে লুটোপুটি খায়,
মদের টেবিলে পিপড়াগুলো বিদ্রোহী মিছিল করে।

কবে থেকে গাছটায় পড়ে নি এক ফোটা জল,
ডালপালা শুকিয়ে খটখটে হয়ে গেছে।
টিকে আছে শুধু নগ্ন দেহখানি কোমল মৃত্তিকায়,
বাঁচায় স্বপ্ন নিয়ে চেয়ে আছে।

এই দিনটি কবে,
দেখবো আমি হবে?
নারীরা করবে পর্দা, লোকিয়ে থাকবে বাড়ি!
ছেলেরা পড়বে নামাজ, মুখে থাকবে দাড়ি!!

বিজয়ের সাফল্যে যত না আনন্দ, তার চেয়ে বেশি-
জীবনের জন্য জীবনের ত্যাগ, রক্তনদী খনন।
সাফল্যের মাঝে যত না প্রাপ্তি, তার চেয়ে বেশি-
হারানোর তালিকায় নিজেকে খোজা, সমস্যার সমাধানে।

ভেবেছি আজ প্রভাতে একটি কবিতা
লিখব
কবিতাটি কোন ব্যক্তি,গোষ্ঠী,
কারো পক্ষ বা বিপক্ষে নয় ।

মনকে যখন আকাশ ভাবি,
চিন্তারা হয় মেঘ,
বৃষ্টি যেনো চোখের জলে,

কেটে গেছে অনেক বসন্ত
কেটে গেছে বহু গ্রীষ্মের হালখাতা
তবুও ভুলতে পারিনি আজও
সেই স্বাধীনচেতা শান্ত মেয়ের কথা।

এত সহজ নয়, শেষ পথটুকু শেষ হবার আগেই,
গুপ্তচর কিছু নিঃশব্দ তরঙ্গের ফিরে যাওয়া পর্যন্ত,
পড়ন্ত বিকেলে চটজলদি খুশি কিংবা টুকরো বেদনার

তখন চলে গেলি, আহা কোথায় গেলি!
বুকের কাছে আলগোছে, এখনো বাঁধা আছে রাজকীয় বসন্ত
এপাশ থেকে ওপাশে, দ্যাখ কেমন নিরব উচ্ছ্বাসে-

হিসেব করে কি ভালোবাসা হয়
মনের লেনদেন হয় মনের মিলে
কিছু চাওয়া হয়তো না পাওয়া রয়
তাই বলে ভালবাসতে যাবে ভুলে ।

কী এক অমোঘ ঘোরের মেঘ পালকে
ছুটে ছুটে চলা দুর্নিমিত্ত বাঁধনে
সুখ,সমৃদ্ধি,নাম যশ আর মোহ
এসবই এখন আধুনিক ঐকান্তিক জীবন।

ক্ষমা কর মাগো যত কৃতঘ্ন বর্ণ চোরা অর্থ গ্রীধু মেকি নাগরিকে,
নুতন উষার কিরণে রাঙাবো তোমায় নয় অলৌকিকে
কাঁঠালচাপাটি সুবাস ছড়াবে হলদে আভায় রক্তিম তটে সবুজ জমিনে
মুক্তির মহানায়ক অবিসংবাদিত বীর পিতার সোনার কাননে।