আমাকে নিয়ে যাবে অজানা তলদেশে
অচেনা এক পাখির দল,
আমারে আমি ছেড়ে নিথর দেহের স্বপ্ন ভেঙ্গে
আমি কী থাকবো সেই অবিকল?

অভ্যাগতের হাত ধরা তত্ত্বে
বিভাজনের ঘর গোছানো দেওয়াল,
মাথা ঠুঁকে যতটুকু
তাতেই এক একটা পাহাড় প্রমাণ।

এত সহজ নয়, শেষ পথটুকু শেষ হবার আগেই,
গুপ্তচর কিছু নিঃশব্দ তরঙ্গের ফিরে যাওয়া পর্যন্ত,
পড়ন্ত বিকেলে চটজলদি খুশি কিংবা টুকরো বেদনার

কী এক অমোঘ ঘোরের মেঘ পালকে
ছুটে ছুটে চলা দুর্নিমিত্ত বাঁধনে
সুখ,সমৃদ্ধি,নাম যশ আর মোহ
এসবই এখন আধুনিক ঐকান্তিক জীবন।

শিশিরে ভিজে গেছে
আলতো করে হাত দিয়ে মুছে দিয়ে তার ভেজা ভাব
মনে হল, তোর নরম গায়ে হাত বুলালাম

ভালোলাগা একটা অদ্ভুত বিসর্গ...!
কখনো আবেগি মন প্রফুল্ল হয়...
যেন সুরের ছন্দে মোহিত চারিদিক
যেন আনন্দের পুল্কি উড়ছে দিকবিদিক।

গিরগিটি মরে শরমে , ‍নিজেদের পরজয় দেখে
রঙ পাল্টানোর খেলায় মানবকুল তাদেরকে হারিয়েছে।
মিথ্যাকে ধাওয়া করতে দেখিনা আজ সত্যকে
দুর্ভিক্ষে পড়ে সহিষ্ণুতা আজ কোমায় গিয়েছে।

কবে থেকে গাছটায় পড়ে নি এক ফোটা জল,
ডালপালা শুকিয়ে খটখটে হয়ে গেছে।
টিকে আছে শুধু নগ্ন দেহখানি কোমল মৃত্তিকায়,
বাঁচায় স্বপ্ন নিয়ে চেয়ে আছে।

বিস্ময়কর অনুভূতির কথা আমি বলতে চাই
সাথে সাথে সাহস করি বলতে
শুধুমাত্র আমার ভালোবাসার কানে একা ,

ভুলে যাওয়া কিংবা চলে যাওয়া প্রস্থান নয়-
নয়তো গো বন্ধু,ছিন্ন-বন্ধন আদ্র-রজনী।
জীবনের খেলা এখানেই শেষ নয়।
আমিও মানুষ-

ভুবনে আমি যেই দিন করেছিলাম পদার্পণ
অবুঝ হয়ে-রয়ে শুনি আওঁয়াজ গনগন।
উলঙ্গ আমি রয়েছি আমার প্রসূতির পাশে,

মৃতপ্রায় কিছু ফুলগাছ,
ধূলোপড়া পাতায় বৃষ্টির কিছু অপরিণত ফোটা-
শিল্প গড়েছে।
ভাঙ্গা জানালার ফাকা দিয়ে রংধনু এসে লুটোপুটি খায়,
মদের টেবিলে পিপড়াগুলো বিদ্রোহী মিছিল করে।

প্রতিনিয়ত একই পথের যাত্রি হয়ে ছুটে চলেছি
পথ ধীর লয়ে
ক্লান্তিহীন দেহখান; অবসাদের ভাড়ে নুয়ে পড়ল
মন গলে ক্ষয়ে ক্ষয়ে;
কতটা সময় গেল অনুসন্ধিৎসায় বয়ে।

মনকে যখন আকাশ ভাবি,
চিন্তারা হয় মেঘ,
বৃষ্টি যেনো চোখের জলে,

ভেবেছি আজ প্রভাতে একটি কবিতা
লিখব
কবিতাটি কোন ব্যক্তি,গোষ্ঠী,
কারো পক্ষ বা বিপক্ষে নয় ।