মনে হয়,
তোমার আমার ভাবনার মধ্যে পার্থক্য আছে,
যেমনটা নদীতে মাছ ভাসে আর পাখি গাছে ।

তোমারি মমতায়,হে বঙ্গ
চৈত্রের ওই প্রখর রৌদ্রে পথিকের মাথায় বটগাছ দেয় ছাঁয়া,
বৈশাখের ওই তুমুল ঝড়ে সেই গাছই আবার মেলে ছাতা৷

ছুঁয়ে নেই তোমার চিরনবীন মমতার স্পর্শ।
আমার চিবুক বুড়িয়ে গেছে মা...
কিন্তু তোমার মমতাগুলো যে পেয়ে গেছো অনন্ত যৌবন!!

কার সাথে তুই করিস প্রেম
কার সাথে তোর খেলা।
কার লাগি তোর মন কেঁদে ফেরে
শুধুই সারা বেলা।

কখনো চাই নি ,ভাবিনি, ডাকিনি
ছোট আকাঙ্খায় স্বপ্নে দেখিনি তেপান্তরের অশ্বপদধ্বনি,
তবুতো এসেছো,পাটি পাতা মন জুড়ে বসেছো ,

কার্তিক রোদেলা সকালে তোমার আগমন।
দূর্গতিনাশিনী দশভূজা বধিতে অসুর।
মন্ডপে মন্ডপে বেজে চলে ঢাক মন্দিরা।
ফুল ফলে নতুন কাপড়ে সজ্জিত তোমার ভূষন।

বেধেছিলি তুই মমতার বাঁধনে
ভুলি কি করে সেই মায়া মুখ ?
নেই তুই পাশে জীবনের আহবানে
তোর মমতা তেই খুজি ফিরি সুখ ।

মায়ের মত মমতা
কে দিতে পারে
অফুরন্ত ভালোবাসা
শুধু মা-ই দিতে পারে।

মায়া মমতা নেই দেশে
আমরা কোন পথে হাটঁছি দিন দিন
খুন গুম শিশুহত্যা থামছে না
যেনো হত্যার মহোৎসব চলছে

আজ মাঝরাতে গভীরে
স্বপ্নের ভেতর খোকা খোকা বলে
মা আমাকে মমতা ভরা কন্ঠে ডাকলো।
তখন সাত আসমানের উপর থেকে
প্রশান্তময় জান্নাতের দরজাগুলো খুলে গেলো

খোকনকে ছেড়ে কিভাবে তুমি থাক,
মনে পড়ে না আমায়,
যখনি ফিরে আসি ঘরে,
মা বলে ডাকি যে তোমায়।

ভোরের মিষ্টি বাতাসে ভেসে আসে সুঘ্রাণ
আড়মোরা ভেঙে ওঠে সূর্যমুখী ফুল
হাঁটি হাঁটি পা পা করে সকাল গড়িয়ে দুপুর
হামগুড়ি দিয়ে সূর্যটা তখন হারিয়ে যায়
সাদা মেঘের আড়ালে তোমাকে তখন খুব মনে পড়ে।

কবিতার এক একটা শব্দ যেন এক একটা অমূল্য ধাতু!
শ্রমিক যেমন কঠোর শ্রমে নিজ কর্ম সিদ্ধ করে-
তেমনি কবি তাঁর মস্তিষ্কের মগজ গলিয়ে শব্দ বের করেন!

সেদিন দেখি একটি মেয়ে ছেঁড়া জুতো পায়
চুলগুলো তার ময়লা রুক্ষ তাকায় না ডান-বাঁয়।
কাজ করে সব বাড়ি ঘুরে তবুও কিছু পায়না
ন্যায্য, প্রাপ্য পারিশ্রমিক ওদের যে কেউ দেয়না।

পশ্চিম সীমান্তে নামে মানুষের ঢল।
যেটুকু রয়েছে প্রাণ সাগরে ভাসায়
ভিটে মাটি পিছে ফেলে বাঁচার আশায়
খুঁজে পেতে মানবিক নিরাপদ স্থল।